অন্তর্গত
একটি বর্গ বিশেষ।
সাগর তলে এদের এনিমেন ফুল গাছের মতো মনে হয়। তাই এদেরকে সাধারণত বলা হয়
(Sea
anemone)
। এর বাংলা নাম 'সাগর কুসুম'। এদেরকে জেলি ফিস ও প্রবালের কাছাকাছি জাতীয় প্রাণী
হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এদের ছাড়নো দণ্ডাকার অংশের মাথায় রঙিন ফুলের মতো অংশ থাকে। শিকারযোগ্য প্রাণী এর
সংস্পর্শে এলে, এরা ওই দণ্ড দিয়ে শিকারকে পেঁচিয়ে ধরে। এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে
ছোটো ছোটো সামুদ্রিক মাছ, কাঁকড়া, চিংড়ি ইত্যাদি।
এরা লম্বালম্বিভাবে শরীরকে ভাগ করে বংশবৃদ্ধি করে। আবার কোন কারণে ওদের শরীর ছিঁড়ে
গিয়ে কোন অংশ যদি পড়ে থাকে. তাহলে ওই খণ্ডিত অংশ থেকে জন্ম নেয় নতুন সাগর-কুসুম।
এছাড়া এরা বংশবৃদ্থির জন্য ডিম পাড়ে। খাদ্যশিকারের ক্ষেত্রে এদের অন্যতম বন্ধু
হিসেবে সন্ন্যাসী কাঁকড়া (Hermit
Crab)। এই কাঁকড়ার লেজ খুবই নরম। তাই
এদের শত্রুরা লেজ আক্রমণ করে। এই আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এরা সাগর-কুসুমের
দেহাংশে লুকিয়ে রাখে। এই সুযোগে সাগরকুসুমরা সন্ন্যাসী কাঁকড়ার লেজের উপর আশ্রয়
নেয় এবং সন্ন্যাসী কাঁকড়ার সাথে সাগরতলে ঘুরে বেড়ায়।
বিজ্ঞানীরা
এ্যাক্টিনিয়ারিয়া বর্গকে উপবর্গে ভাগ করেছেন। এই উপবর্গ দুটি হলো-