বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
সংসারে তুমি
রাখিলে মোরে যে ঘরে
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান
(বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ:
পূজা: ১০৭
সংসারে তুমি
রাখিলে মোরে যে ঘরে
সেই ঘরে
রব সকল দুঃখ ভুলিয়া।
করুণা করিয়া
নিশিদিন নিজ করে
রাখিয়ো
তাহার একটি দুয়ার খুলিয়া॥
মোর সব কাজে মোর
সব অবসরে
সে দুয়ার রবে
তোমারি প্রবেশ তরে,
সেথা হতে বায়ু
বহিবে হৃদয় ’পরে
চরণ হইতে তব
পদধূলি তুলিয়া॥
যত আশ্রয় ভেঙে
ভেঙে যায়, স্বামী,
এক আশ্রয়ে রহে
যেন চিত লাগিয়া।
যে অনলতাপ যখনি
সহিব আমি
এক নাম বুকে বার
বার দেয় দাগিয়া।
যবে দুখদিনে
শোকতাপ আসে প্রাণে
তোমারি আদেশ
বহিয়া যেন সে আনে,
পরুষ বচন যতই আঘাত হানে
সকল আঘাতে তব
সুর উঠে জাগিয়া॥
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাওয়া যায়নি।
-
পাঠভেদ:
চরণ হইতে তব পদধূলি
তুলিয়া
যত আশ্রয় ভেঙে ভেঙে যায়, স্বামী,
এক আশ্রয়ে রহে যেন চিত লাগিয়া।....
এক নাম বুকে বার বার দেয় দাগিয়া।....
পরুষ বচন যতই আঘাত হানে :
ব্রহ্মসঙ্গীত
স্বরলিপি ১ (মাঘ ১৩১১)
চরণ হইতে তব পদরজ তুলিয়া।
সে- দুয়ার খুলে’
আসিবে তুমি এ ঘরে,
আমি বাহিরিব সে-দুয়ারখানি খুলিয়া।
যত বিশ্বাস ভেঙে ভেঙে যায়, স্বামী,
এক বিশ্বাস রহে যেন চিতে লাগিয়া।....
দেয় যেন তাহে তব নাম বুকে দাগিয়া।....
রুক্ষ বচন যতই আঘাত হানে :
গীতবিতান (আশ্বিন
১৩৩৮)
চরণ হইতে তব পদরজ তুলিয়া॥
যত বিশ্বাস ভেঙে ভেঙে যায় স্বামি,
এক বিশ্বাস রহে যেন চিতে লাগিয়া।....
দেয় যেন তব নাম বুকে দাগিয়া।....
পরুষ বচন যতই আঘাত হানে :
স্বরবিতান ৪ (চৈত্র
১৩৪৬)
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটির
রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। প্রভাতকুমার তাঁর
'গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচি' গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন- '১৩০৭ সালের পৌষ
মাসের মাঝামাঝি হইতে ফাল্গুন মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে নৈবেদ্যের ৯০টি গান ও
ও কবিতা লিখিত হয়।' এই বিচারে নৈবেদ্যের এই গানটিকে এই সময়ের ভিতরে রচিত
বলে অনুমান করেছেন।
এই সময়ে
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৩৯ বৎসর।
[রবীন্দ্রনাথের
৩৯ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
-
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
ষষ্ঠ খণ্ড (মজুমদার লাইব্রেরি, ১৩১০), নৈবেদ্য ৮৮, পৃষ্ঠা ১২০-১২১ [নমুনা
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
সপ্তম খণ্ড (ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ), নৈবেদ্য ১০০,
পৃষ্ঠা ১১৯-১২০। [নমুনা
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
অষ্টম খণ্ড
(মজুমদার
লাইব্রেরি, ১৩১০),
গান ইমন
কল্যাণ-ঝাঁপতাল
পৃষ্ঠা ৩২২-৩২৩
[নমুনা
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
গান
-
গীতবিতান
- প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮।
১৩০৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'নৈবেদ্য'
নামক গ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছিল।
পৃষ্ঠা:
২০৮-৯]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
- প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী,
মাঘ
১৩৪৮),
পর্যায়:
পূজা,
উপবিভাগ: প্রার্থনা ১৬,
পৃষ্ঠা:
৪৫।
[নমুনা
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী,
পৌষ ১৩৮০),
পর্যায়:
পূজা ১০৭
,
উপবিভাগ:
প্রার্থনা ১৬,
পৃষ্ঠা: ৪৯।
-
ধর্ম্মসঙ্গীত(ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ)।
গান, পৃষ্ঠা: ৮২-৮৩।
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
নৈবেদ্য
-
প্রথম সংস্করণ।
(আদি
ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র,
১৩০৮
বঙ্গাব্দ),
গান সংখ্যা
১০০।
পৃষ্ঠা: ১৯৯-২০০
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
- রবীন্দ্ররচনাবলী অষ্টম খণ্ড (বিশ্বভারতী, ফাল্গুন ১৩৯২)।
১০০ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৭৪-৭৫
।
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি প্রথম ভাগ (১ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ)ইমন কল্যাণ-ঝাঁপতাল। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল। ।
-
স্বরবিতান
চতুর্থ (৪) খণ্ডের (মাঘ
১৪১২)
৩য় গান।
পৃষ্ঠা: ১৫-১৮। ইমন কল্যাণ-ঝাঁপতাল।
[নমুনা]
- পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী ফাল্গুন ১৮২৪ শকাব্দ, ১৩০৯)। ইমন কল্যাণ-ঝাঁপতাল।
পৃষ্ঠা ১৭৩।
[নমুনা]
-
সঙ্গীত প্রকাশিকা
(চৈত্র
১৩০৯ বঙ্গাব্দ)।
ইমন কল্যাণ-ঝাঁপতাল। পৃষ্ঠা: ১১২-১১৫। [নমুনা]
-
রেকর্ডসূত্র:
রেকর্ডসূত্র পাওয়া যায় নি।
-
প্রকাশের কালানুক্রম:
১১ মাঘ ১৩০৯ বঙ্গাব্দ [২৫ জানুয়ারি ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ]
৭৩তম মাঘোৎসবের
সন্ধ্যার অধিবেশনে এই গানটি পরিবেশিত হয়েছিল।
এই
গানটিতে রবীন্দ্রনাথের পত্নী মৃণালিনী দেবীর অকাল-মৃত্যুর বেদনা ধ্বনিত
হয়েছে।
গানটি নৈবেদ্য কাব্যগ্রন্থের জন্য রচিত হয়েছিল ১৩০৭ বঙ্গাব্দে।
এরপর যে সকল গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল,
সেগুলো হলো-
নৈবেদ্য প্রথম সংস্করণ (১৩০৮),
সঙ্গীত প্রকাশিকা (মাঘ
১৩১০)
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৩১০)কাব্যগ্রন্থ
ষষ্ঠ খণ্ড
(১৩১০),
গান
;
দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৩১৬),
কাব্যগ্রন্থ
সপ্তম খণ্ড
(১৩২৩),
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ষষ্ঠ ভাগ (১৩১৮),
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১) ও
গীতিচর্চ্চা
(১৩৩২)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
- গানটি প্রথম
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের
মাঘ মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা, পর্যায়ের উপবিভাগ: প্রার্থনা হিসেবে।
১৩৭১
বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের ১০৭
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। অখণ্ড গীতাবিতানের
তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি: