হৃদয়ে তোমার দয়া যেন পাই।
সংসারে যা দিবে মানিব তাই,
হৃদয়ে তোমায় যেন পাই॥
তব দয়া জাগিবে স্মরণে
নিশিদিন জীবনে মরণে,
দুঃখে সুখে সম্পদে বিপদে তোমারি দয়া-পানে চাই—
তোমার দয়া যেন পাই।
তব দয়া শান্তির নীরে অন্তরে নামিবে ধীরে।
তব দয়া মঙ্গল-আলো
জীবন-আঁধারে জ্বালো—
প্রেমভক্তি মম সকল শক্তি মম তোমারি দয়ারূপে পাই,
আমার ব’লে কিছু নাই॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 358] [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]।
পাঠভেদ:
পাঠভেদ আছে।
হৃদয়ে তোমায়
যেন পাই॥
তব দয়া শান্তির নীরে
: গীতলিপি ২
হৃদয়ে দয়া যেন পাই।....
তব দয়া শান্তিনীরে
: গান (১৯০৯)
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের RBVBMS 358
পাণ্ডুলিপিতে গানটির স্থান ও তারিখের
উল্লেখ আছে,
'৯ চৈত্র ১৩১৫/বোলপুর'।
এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৭ বৎসর ১১ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৪৭ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
কাব্যগ্রন্থ দশম খণ্ড (ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ, ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ), ধর্ম্মসঙ্গীত, পৃষ্ঠা: ২১৫-১৬।[নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
দ্বিতীয় সংস্করণ ইন্ডিয়ান প্রেস (১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী পরজ বসন্ত- কাওয়ালি। পৃষ্ঠা: ৩৯৪-৩৯৫। [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮), পৃষ্ঠা: ৩২২। [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮), পর্যায়: পূজা, উপবিভাগ: প্রার্থনা ৩০, পৃষ্ঠা: ৫১-৫২। [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০), পূজা ১২১, উপ-বিভাগ : প্রার্থনা ৩০, পৃষ্ঠা: ৫৫।
গীতলিপি ২য় ভাগ (১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৭ বঙ্গাব্দ)। সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।১
ধর্ম্মসঙ্গীত (ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ), গান, পৃষ্ঠা: ১০৪। [নমুনা]
স্বরবিতান
ষট্ত্রিংশ
(৩৬)
(বিশ্বভারতী,
ফাল্গুন ১৪১৩)
খণ্ড, ১৩ সংখ্যক গান,
পৃষ্ঠা ২৯-৩১।
পত্রিকা:
রেকর্ডসূত্র: রেকর্ডসূত্র নাই।
প্রকাশের
কালানুক্রম: গানটি প্রথম স্বরলিপিসহ প্রকাশিত হয়েছিল
প্রবাসী
পত্রিকার ভাদ্র ১৩১৬ সংখ্যায়। এর অন্যান্য যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, সেগুলো হলো-
গান
দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৩১৬),
গীতলিপি
২য় ভাগ
(১৩১৭),
ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১), ও
কাব্যগ্রন্থ দশম খণ্ড
(১৩২৩)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
- গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে।
এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের উপবিভাগ: প্রার্থনা হিসেবে।
১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের ১২১ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ
মাসে।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [নমুনা]
স্বরলিপিকার:
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। [প্রবাসী (ভাদ্র ১৩১৬)]
সুরেন্দ্রনাথ
বন্দোপাধ্যায়। গীতলিপি-দ্বিতীয় ভাগ থেকে স্বরবিতান-৩৬’এ
গৃহীত হয়েছে]
[দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
[সুরেন্দ্রনাথ
বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
সুর ও তাল:
মিশ্র পরজ-কাওয়ালি। [দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি, প্রবাসী ভাদ্র ১৩১৬]
রাগ: মিশ্র পরজ। তাল: ত্রিতাল। [স্বরবিতান ষট্ত্রিংশ (৩৬) (বিশ্বভারতী, ফাল্গুন ১৪১৩)]
রাগ-পরজবসন্ত। তাল-কাওয়ালি। [গান, ইন্ডিয়ান প্রেস (১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)]
রাগ : পরজ। তাল : ত্রিতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮৪।
রাগ:
পরজ।
তাল:
ত্রিতাল।
[রাগরাগিণীর এলাকায়
রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত
আকাদেমি, জুলাই ২০০১],
পৃষ্ঠা: ১৪৬।
[পরজ
রাগে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
[ত্রিতাল
তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত
সুরাঙ্গ: বাউলাঙ্গ।
গ্রহস্বর: দা।
লয়: মধ্য।