বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম:
নিবিড় ঘন
আঁধারে
জ্বলিছে ধ্রুবতারা।
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ:
পূজা:
১৭৬
নিবিড় ঘন
আঁধারে
জ্বলিছে ধ্রুবতারা।
মন রে মোর, পাথারে হোস
নে দিশেহারা
॥
বিষাদে হয়ে ম্রিয়মাণ বন্ধ
না করিয়ো গান,
সফল করি
তোলো
প্রাণ টুটিয়া মোহকারা
॥
রাখিয়ো বল জীবনে, রাখিয়ো
চির-আশা,
শোভন এই ভুবনে রাখিয়ো
ভালোবাসা।
সংসারের সুখে দুখে চলিয়া
যেয়ো হাসিমুখে,
ভরিয়া সদা রেখো বুকে
তাঁহারি সুধাধারা
॥
RBVBMS 426 (i)
।
[নমুনা]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটির সুনির্দিষ্ট রচনাকাল পাওয়া যায় না। ১৩০৯ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ [২৫ জানুয়ারি ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ]
সাংবৎসরিক
ত্রিসপ্তিতম মাঘোৎসব (৭৩)-এর সন্ধ্যার
এই গানটি পরিবেশিত হয়েছিল ।
উল্লেখ্য, ওই উৎসবে মোট ২৩টি রবীন্দ্রনাথের রচিত গান পরিবেশিত হয়েছিল। এর ভিতরে এই গানটিসহ
মোট ১২টি গান ছিল নতুন। এই সময়ে রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪১ বৎসর।
[৪১ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী পঞ্চম খণ্ড (আনন্দ পাবলিশার্স, ১৪১৪ মুদ্রণ, পৃষ্ঠা: ১০৬)-এ এই সময়ের লিখিত গানগুলোর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে লিখেছেন-
গান-নির্বাচনে রবীন্দ্রনাথের সমকালীন মানসিকতাই প্রতিফলিত, মৃণালিনী দেবীর অকালমৃত্যু-জনিত সন্তাপ অধিকাংশ গানেই ধ্বনিত হয়েছে।
খ.প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
- গান
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ।
১৩১০ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত 'মোহিত সেন সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থের ৮ম ভাগের 'গান' অংশ থেকে গৃহীত
হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ২৩০-২৩১]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮), পর্যায়:
পূজা,
উপবিভাগ:
সাধনা ও সংকল্প:
২,
পৃষ্ঠা: ৭৭।
[নমুনা]
-
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০),
পূজা ১৭৬,
উপ-বিভাগ : .
সাধনা ও সংকল্প:
২।
-
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা:
৩৭]
[নমুনা]
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি প্রথম ভাগ (১ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ)। সাহানা-নবতাল। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
স্বরবিতান চতুর্থ
(৪) খণ্ডের (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৪১২) ১১ সংখ্যক গান।
সাহানা। নবতাল। পৃষ্ঠা: ৩৪-৩৫।
[নমুনা]
[সুরান্তর]
-
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৩০৯
বঙ্গাব্দ)।
সাহানা-নবতাল। পৃষ্ঠা: ১৭৫।
[নমুনা]
-
রেকর্ডসূত্র:
পাওয়া যায় নি।
- প্রকাশের কালানুক্রম:
-
১১ মাঘ ১৩০৯ বঙ্গাব্দ [২৫ জানুয়ারি ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ]
৭৩তম
মাঘোৎসবের সন্ধ্যার অধিবেশনে পরিবেশিত হয়েছিল। এরপর যে সকল
পত্রিকা এবং গ্রন্থাদিতে প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো- তত্ত্ববোধিনী
( ফাল্গুন
১৩০৯
বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ
অষ্টম খণ্ড
(১৩১০ বঙ্গাব্দ),
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
প্রথম ভাগ (১৩১১ বঙ্গাব্দ) ।
এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-
১১ মাঘ ১৩১৩ বঙ্গাব্দ [২৫ জানুয়ারি ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দ]
৭৭তম মাঘোৎসবে
এই গানটি পরিবেশিত
হয়েছিল।
এরপর গানটি প্রকাশিত হয়েছিল
গান
(প্রথম
সংস্করণ
১৩১৫
বঙ্গাব্দ) ও
দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৩১৬
বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১ বঙ্গাব্দ),কাব্যগ্রন্থ
দশম খণ্ড
(১৩২৩ বঙ্গাব্দ)।
এ
সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
-এ
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এরপর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ
মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের
সাধনা ও সংকল্প
উপবিভাগের দ্বিতীয়
গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড
গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ১৭৬ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের
তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপি:
-
স্বরলিপিকার:
-
কাঙ্গালীচরণ
সেন [ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি প্রথম ভাগ (১ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ)]। উল্লেখ্য, ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপির ১ম ভাগ ও স্বরবিতান-৪র্থ খণ্ডের ১৩৪৬ সংস্করণে- কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল। এই গ্রন্থের পরবর্তী সংস্করণ প্রকাশিত ১৩৫৮ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে। এই সংস্করণের সম্পাদনা করেছিলেন ইন্দিরাদেবী। এই সংস্করণে কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপিটি 'সুরভেদ/ছন্দোভেদ' অংশে স্থান পায়। সেই থেকে স্বরবিতান চতুর্থ খণ্ডের বর্তমান মুদ্রণ (মাঘ ১৪১২) পর্যন্ত ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী-কৃত
সম্পাদিত স্বরলিপিটি, মূল স্বরলিপি হিসেবে প্রকাশিত হয়ে আসছে।
[কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
-
সুর ও তাল: রাগ-সাহানা। তাল-নবতাল।
[স্বরবিতান চতুর্থ
(৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২)]।
-
রাগ:
সাহানা।
তাল:
নবতাল।[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৬৩]
-
রাগ:
সাহানা। তাল:
নবতাল।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১০৯]
-
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত।
-
সুরাঙ্গ: ধ্রুপদাঙ্গ
-
গ্রহস্বর: মা।
-
লয়: মধ্য।