বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
যখন তুমি বাঁধছিলে তার সে যে
বিষম ব্যথা
পাঠ
ও পাঠভেদ:
যখন তুমি বাঁধছিলে তার সে যে বিষম ব্যথা—
বাজাও বীণা, ভুলাও ভুলাও সকল দুখের কথা ॥
এতদিন যা সঙ্গোপনে ছিল তোমার মনে মনে
আজকে আমার তারে তারে শুনাও সে বারতা ॥
আর বিলম্ব কোরো না গো, ওই-যে নেবে বাতি।
দুয়ারে মোর নিশীথিনী রয়েছে কান পাতি।
বাঁধলে যে সুর তারায় তারায় অন্তবিহীন অগ্নিধারায়,
সেই সুরে মোর বাজাও প্রাণে তোমার ব্যাকুলতা ॥
তথ্যসন্ধান
পাঠভেদ:
পাঠভেদ আছে।
স্বরবিতান ৪৩
-এর ৮৩ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত পাঠভেদ অনুসারে
নিচের
পাঠভেদ তুলে ধরা হলো।
বাজাও বীণা,
ভুলাও ভুলাও
: স্বরলিপি অংশ,
গীতলেখা ৩ (১৩২৭)
আজ বাজাও বীণা,
ভুলাও ভুলাও
: কথার অংশ,
গীতলেখা ৩ (১৩২৭)
গীতবিতান (আশ্বিন
১৩৩৮)
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 229-তে
লিখিত এই গানের শেষে সময় ও স্থান লেখা আছে- '১২ই ভাদ্র'।
সম্ভবত রবীন্দ্রনাথ ভুল করে '১২ই ভাদ্র' লিখেছিলেন। কারণ এই পাণ্ডলিপির
পরবর্তী ৩টি গানের সাথে তারিখ লেখা হয়েছে ১০ই ভাদ্র। এই বিচারে এই গানটির
রচনার তারিখ হতে পারে ১০ ভাদ্র তারিখ।
উল্লেখ্য,
১৩২১ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে
রবীন্দ্রনাথের বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুরুলের কুঠি বাড়িতে কৃষি-গবেষণার
জন্য বসবাস শুরু করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথ প্রতিদিনই গরুর গাড়িতে সকাল
বেলায় শান্তিনিকেতন থেকে সুরুল যেতেন এবং বিকেলে ফিরে আসতেন। রবীন্দ্রনাথের এই যাতায়াত
শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল
২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত।
তাঁর এই আসা-যাওয়ার ভিতরে ২০শে আশ্বিন
পর্যন্ত ৫৭টি গান রচনা করেছিলেন। এর ভিতরে এই গানটি তিনি ১০ ভাদ্র
[বৃহস্পতিবার, ২৭ আগষ্ট]
-এ সুরুলে রচনা করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৩
বৎসর ৪ মাস।
[৫৩ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ [বিশ্বভারতী ১৩৮০]। পূজা ২০৯, উপ-বিভাগ: দুঃখ: ১৮।
স্বরবিতান ত্রয়োশ্চত্বারিংশ (৪৩) খণ্ডের[মাঘ ১৪১২] খণ্ডের ২১ সংখ্যক গান। [নমুনা]
পত্রিকা:
আনন্দসঙ্গীত [ভাদ্র ১৩২৩ বঙ্গাব্দ]। ইন্দিরাদেবী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
প্রবাসী
[অগ্রহায়ণ ১৩২১
বঙ্গাব্দ।
গীতিগুচ্ছ, ৫। পৃষ্ঠা: ১০৪]
[নমুনা]
প্রকাশের কালানুক্রম: গানটি প্রথম ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়েছিল গীতালির অন্তর্ভুক্ত হয়ে। এই বছরের অগ্রহায়ণ মাসে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল প্রবাসী পত্রিকার অগ্রহায়ণ সংখ্যায়। এরপর গানটি আনন্দসঙ্গীত পত্রিকার ভাদ্র ১৩২