বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমি
হৃদয়েতে পথ কেটেছি,
সেথায় চরণ পড়ে,
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমি হৃদয়েতে পথ কেটেছি, সেথায় চরণ পড়ে,
তোমার সেথায় চরণ পড়ে।
তাই তো আমার সকল পরান কাঁপছে ব্যথার ভরে গো,
কাঁপছে থরোথরে ॥
ব্যথাপথের পথিক তুমি, চরণ চলে ব্যথা চুমি-
কাঁদন দিয়ে সাধন আমার চিরদিনের তরে গো,
চিরজীবন ধ'রে ॥
নয়নজলের বন্যা দেখে ভয় করি নে আর,
আমি ভয় করি নে আর।
মরণ-টানে টেনে আমায় করিয়ে দেবে পার,
আমি তরব পারাবার।
ঝড়ের হাওয়া আকুল গানে বইছে আজি তোমার পানে-
ডুবিয়ে তরী ঝাঁপিয়ে পড়ি ঠেকব চরণ-‘পরে,
আমি বাঁচব চরণ ধরে ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229 ] [নমুনা]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 229-তে
লিখিত গানটির নিচে তারিখ উল্লেখ আছে- '৬ ভাদ্র/কলিকাতা'।
১৩২১
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতালির প্রথম সংস্করণে গানটির রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ
ছিল- ৬ ভাদ্র ১৩২১/কলিকাতা।
উল্লেখ্য,
৬ই
ভাদ্র তারিখে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন।
এই দিন কলকাতায় তিনি
এই গানটি-সহ মোট দুটি গান রচনা করেছিলেন। অপর গানটি ছিল-
আলো যে যায় রে দেখা
[পূজা-২৪২]
[তথ্য]
এই সময় রবীন্দ্রনাথের ৫৩
বৎসর ৪ মাস বয়সের রচনা।
[৫৩
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ। গীতালি ৪। পৃষ্ঠা ৪২২-৪২৩] [নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ২১৮, উপ-বিভাগ: দুঃখ-২৭।
রেকর্ডসূত্র: পাওয়া যায় নি।
প্রকাশের কালানুক্রম: ১৩২১ বঙ্গাব্দে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল গীতালি'র প্রথম সংস্করণের সাথে। এরপর কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ডের (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) গীতালি অংশে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
এরপর ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি
গীতবিতান
-এর
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮
বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা পর্যায়ের
উপবিভাগ দুঃখ
-এর ২৭
সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২১৮ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড
গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: সুধীরচন্দ্র কর। [স্বরলিপিটি বিশ্বভারতী পত্রিকা থেকে স্বরবিতান ত্রয়শ্চত্বারিংশ-এ গৃহীত হয়েছে]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ত্রয়শ্চত্বারিংশ-এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন দেখানো হয়েছে, ৩।৩ ছন্দ। অর্থাৎ 'দাদরা’ হিসাব গণ্য করা যেতে পারে।
রাগ: পিলু। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৩৩]
রাগ: পীলু, বারোয়াঁ। তাল: দাদরা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৬২]
গ্রহস্বর-সা। লয়-মধ্য।