বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
মালা হতে
খসে-পড়া ফুলের একটি দল
পাঠ ও পাঠভেদ:
মালা হতে খসে-পড়া ফুলের একটি দল
মাথায় আমার ধরতে দাও, ওগো, ধরতে দাও।
ওই মাধুরীসরোবরের নাই যে কোথাও তল,
হোথায় আমায় ডুবতে দাও, ওগো, মরতে দাও ॥
দাও গো মুছে আমার ভালে অপমানের লিখা ;
নিভৃতে আজ, বন্ধু, তোমার আপন হাতের টিকা
ললাটে মোর পরতে দাও, ওগো, পরতে দাও ॥
বহুক তোমার ঝড়ের হাওয়া আমার ফুলবনে,
শুকনো পাতা মলিন কুসুম ঝরতে দাও।
পথ জুড়ে যা পড়ে আছে আমার এ জীবনে
দাও গো তাদের সরতে দাও, ওগো, সরতে দাও।
তোমার মহাভাণ্ডারেতে আছে অনেক ধন—
কুড়িয়ে বেড়াই মুঠা ভ'রে, ভরে না তায় মন,
অন্তরেতে জীবন আমার ভরতে দাও ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
পাঠভেদ:
মাথায়
আমার ধরতে দাও,
ওগো,
ধরতে দাও।
[গীতবিতান
(বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)]
মাথায়
আমার ধরতে দাও গো
ধরতে দাও।
[পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 229]
এই গানের মূল পাণ্ডুলিপির সর্বত্রই এরূপ 'দাও,
ওগো' -এর স্থলে 'দাওগো' লেখা আছে
নিভৃতে আজ,
বন্ধু,
তোমার আপন হাতের টিকা
[গীতবিতান
(বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)]
নিভৃতে আজ,
বন্ধু,
তোমার আপন হাতের টীকা
[পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 229]
স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ
খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩)
পাঠভেদ অনুসারে নিচের পাঠভেদ দেখানো হলো।
ধরতে দাও ওগো ধরতে দাও....
ডুবতে দাও ওগো মরতে দাও....
পরতে দাও ওগো পরতে দাও....
সরতে
দাও ওগো সরতে দাও....: বিশ্বভারতী পত্রিকা,
কার্তিক-পৌষ ১৩৫৯
ধ'র্তে
দাও ওগো ধ'র্তে
দাও....
ডুব্তে
দাও ওগো ম'র্তে
দাও....
প'র্তে
দাও ওগো প'র্তে
দাও....
স'র্তে
দাও ওগো স'র্তে
দাও.... :
গীতবিতান
(আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 229-তে
লিখিত এই গানের শেষে সময় ও স্থান লেখা আছে- '২৭ ভাদ্র/সুরুল'।
উল্লেখ্য,
১৩২১ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে
রবীন্দ্রনাথের বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুরুলের কুঠি বাড়িতে কৃষি-গবেষণার
জন্য বসবাস শুরু করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথ প্রতিদিনই গরুর গাড়িতে সকাল
বেলায় শান্তিনিকেতন থেকে সুরুল যেতেন এবং বিকেলে ফিরে আসতেন। রবীন্দ্রনাথের
এই যাতায়াত শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল
২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত।
রবীন্দ্রনাথের এই যাতায়াত
শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল
২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত।
তাঁর এই আসা-যাওয়ার ভিতরে ২০শে আশ্বিন
পর্যন্ত ৫৭টি গান রচনা করেছিলেন। এর ভিতরে এই গানটি তিনি
২৭ ভাদ্র [রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর]
সুরুল-এ রচনা করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৩
বৎসর ৫ মাস।
[৫৩ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। পূজা ৪১, বন্ধু ৯। পৃষ্ঠা: ১৯ [নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৪১। উপবিভাগ: বন্ধু ৯। পৃষ্ঠা ২৩ [নমুনা]
প্রথম সংস্করণ [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। ৩৪ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৪০] [নমুনা]
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৯৩)। গীতালি ৩৪ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ২৪১-৪২]
স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ (৪২, অরূপরতন) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩) ১৮ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৫৯-৬২।
পত্রিকা:
প্রবাসী [অগ্রহায়ণ ১৩২১ বঙ্গাব্দ। গীতিগুচ্ছ ১৩। পৃষ্ঠা: ১০৬] [নমুনা]
বিশ্বভারতী পত্রিকা (কার্তিক-পৌষ ১৩৫৯ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
গীতালি
নামক
গ্রন্থে এই গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এই বছরেই 'প্রবাসী
' পত্রিকার 'অগ্রহায়ণ
১৩২১ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় গানটি প্রকাশিত হয়েছিল।
১৩২৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
'কাব্যগ্রন্থ'-এর নবম খণ্ডের 'গীতালি' অংশে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম
সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে এই গানটি
গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে।
বিশ্বভারতী পত্রিকা য় কার্তিক-পৌষ
১৩৫০ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় গানটি
প্রকাশিত হয়েছিল। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে পূজা
পর্যায়ের ৪১ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
রাগ ও তাল:
স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৩) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ ছন্দে ‘দাদরা’ তালে নিবদ্ধ।
কীর্তন। তাল: দাদরা । [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, জানুয়ারি ১৯৯৩)। পৃষ্ঠা: ৭৩]।
কীর্তন। তাল: দাদরা।
[রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা:
১২৭।
অঙ্গ:
কীর্তনাঙ্গ
[দাদরা
তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
[রবীন্দ্রনাথের
কীর্তনাঙ্গের গানের তালিকা]
গ্রহস্বর: র্সা।
লয়: মধ্য।