বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
প্রভু
আমার,
প্রিয় আমার পরম ধন হে।
পাঠ ও পাঠভেদ:
প্রভু আমার, প্রিয় আমার পরম ধন হে।
চিরপথের সঙ্গী আমার চিরজীবন হে ॥
তৃপ্তি আমার, অতৃপ্তি মোর, মুক্তি আমার, বন্ধনডোর,
দুঃখসুখের চরম আমার জীবন মরণ হে ॥
আমার সকল গতির মাঝে পরমগতি হে,
নিত্য প্রেমের ধামে আমার পরম পতি হে।
ওগো সবার, ওগো আমার, বিশ্ব হতে চিত্তে বিহার–
অস্তবিহীন লীলা তোমার নূতন নূতন হে ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 478] [নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
ক.
রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
Ms.478
-তে গানটির রচনাকাল উল্লেখ আছে, '৫ই আশ্বিন'। উল্লেখ্য,
১৩১৭
বঙ্গাব্দের
২৫শে
শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় আসেন। এরপর তিনি ৩১শে শ্রাবণ কলকাতা থেকে
শিলাইদহ যান। সেখান থেকে পতিসর ঘুরে তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন ১১ই আষাঢ়। আর
শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন ১৪ই ভাদ্রে। দীর্ঘ সময় পর তিনি ৪ থেকে ১৫ আশ্বিনের
ভিতর
তিনি
৩টি গান রচনা করেছেন। এর ভিতরে এই গানটি রচনা করেন
৫
আশ্বিন [বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ।]। এই বিচারে বলা
যায়, গানটি
রবীন্দ্রনাথ তাঁর ৪৯ বৎসর ৫ মাস বয়সে রচনা করেছিলেন।
[৪৯
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
কাব্যগ্রন্থ দশম খণ্ড (ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩), ধর্ম্মসঙ্গীত। পৃষ্ঠা: ২৪৩-২৪৪। [নমুনা: ২৪৩, ২৪৪]
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'ধর্ম্ম-সঙ্গীত' থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ৪০২] [নমুনা]
গীতলিপি চতুর্থ ভাগ (১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১১ বঙ্গাব্দ)। সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
গীতালি সংযোজন-৩ (১৩৪৯ বঙ্গাব্দ)। রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী,আশ্বিন ১৩৯৩)। পৃষ্ঠা : ২৯৮।
ধর্ম্মসঙ্গীত (ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩২১ বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ১৩২। [নমুনা]
স্বরবিতান ষট্ত্রিংশ
(৩৬) খণ্ডের (ফাল্গুন ১৪১৩) ১৪ সংখ্যক গান।
কেদারা-একতাল। পৃষ্ঠা : ৩২-৩৩।
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী
(চৈত্র
১৮৩২ শকাব্দ, ১৩১৭ বঙ্গাব্দ)। কেদারা-একতালা।
পৃষ্ঠা: ২০৩।
পরিবেশনা:
১১ মাঘ ১৩১৭
বঙ্গাব্দ [বুধবার ২৫ জানুয়ারি ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ]-এ
৮১তম সাংবৎসরিক মাঘোৎসব
অনুষ্ঠিত হয়। এই মাঘোৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের ২১টি গান পরিবেশিত হয়েছিল।
এর ভিতরে প্রাতঃকালীন অধিবেশনে পরিবেশিত হয়েছিল ৮টি গান এবং সায়ংকালীন
অধিবেশনে ১৩টি গান পরিবেশিত হয়েছিল। এই গানটি পরিবেশিত হয়েছিল সায়ংকালীন
অধিবেশনে।
প্রকাশের কালানুক্রম:
১৩১১
বঙ্গাব্দে গীতলিপি চতুর্থভাগে সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
১১ মাঘ ১৩১৭
বঙ্গাব্দ [বুধবার ২৫ জানুয়ারি ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ]-এ
৮১তম সাংবৎসরিক মাঘোৎসব
অনুষ্ঠিত হয়। এই বছরের চৈত্র মাসে
তত্ত্ববোধিনী
পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
১৩২১ বঙ্গাব্দে 'ধর্ম্ম-সঙ্গীত' গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৩২৩
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত
কাব্যগ্রন্থ দশম খণ্ডে
গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের
প্রথম
সংস্করণে
অন্তর্ভুক্ত হয় 'ধর্মসঙ্গীত' থেকে। ১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে
এই গানটি গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে পূজা পর্যায়ের ৬৮ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছে।
রাগ : কেদারা। তাল: একতাল [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)]। পৃষ্ঠা: ৬৫]
রাগ: কেদারা। তাল: একতাল
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী,
জুলাই ২০০১,
পৃষ্ঠা: ১১৩।]
[কেদার
রাগে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
[একতালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]