অকম্পন
১. রাময়ণের মতে– অকম্পন ছিলেন রাবণের সেনাপতি ও মামা। সুমালীর ঔরসে কেতুমতির গর্ভে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সুমালীর মোট ১৪টি সন্তানের ভিতরে তিনি ছিলেন সুমালীর দ্বিতীয় পুত্র।
দণ্ডকারণ্যে রামের হাতে খর, দূষণ ও ত্রিশিরা-সহ প্রায় ১৪ হাজার রাক্ষস সৈন্য নিহত হলে– তিনি এই সংবাদ রাবণকে দেন। তিনি রাবণকে বলেন যে, দেবতা ও অসুরদের মধ্যে এমন কেউ নেই যিনি রামকে যুদ্ধে পরাজিত করতে পারেন। উল্লেখ্য, এঁরই প্ররোচনায় রাবণ সীতাকে অপহরণ করেছিলেন।
লঙ্কায় রাম-রাবণের যুদ্ধের সময়, আশ্বিন মাসের প্রতিপদ তিথিতে রাবণ চতুরঙ্গ সৈন্য নিয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। এই সৈন্যদলের সেনাপতি ছিলেন অকম্পন। হনুমানের নিক্ষেপ করা একটি বিশাল গাছের আঘাতে তিনি যুদ্ধক্ষেত্র নিহত হন।
২. বায়ু পুরাণ মতে- মহর্ষি কশ্যপ্যের ঔরসে খসার গর্ভে জন্মগ্রহণকারী রাক্ষস বিশেষ।
৩. ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ মতে- হিরণ্যকশিপু'র সভার একজন অসুর।
৪. মহাভারতের মতে- কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অভিমন্যুর মৃত্যু হলে, যুধিষ্ঠির শোকে কাতর হয়ে কৃষ্ণ-দ্বৈপায়নের কাছে মৃ্ত্যুর বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। কৃষ্ণ-দ্বৈপায়নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজা অকম্পনের একটি গল্প শুনিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, সত্যযুগে অকম্পন নামক এক রাজা ছিলেন। যুদ্ধে এই রাজার পুত্র নিহত হন। পুত্রশোকে রাজা কাতর রাজা ভেঙে পড়েন। এই অবস্থায় নারদ তাঁর কাছে এলে, তিনি মৃত্যুর উৎপত্তি বিষয়ে জানতে চান। এরপর নারদ তাঁকে মৃত্যুর উৎপত্তি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছিলেন।
[৫২ অধ্যায়, ব্যাসকর্তৃক মৃত্যুৎপত্তি কথন। দ্রোণ পর্ব। মহাভারত]