ঘৃতাচী
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { অপ্সরা |  হিন্দু পৌরাণিক সত্তা | ভারতীয় পৌরাণিক সত্তা | পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিক সত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | কর্মক্ষমতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা | বিমূর্তন  | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে  অপ্সরা বিশেষ মহাভারতের মতে শ্রেষ্ঠা ছয় অপ্সরার মধ্যে ইনি একজন

একবার বেদব্যাস হোমাগ্নী প্রজ্জ্বলিত করার জন্য দুটি অরণি (যজ্ঞের কাঠ) নিয়ে ঘর্ষণ করছিলেন
এমন সময় ইনি ঘৃতাচীকে দেখতে পান। তিনি ঘৃতাচীকে তীব্রভাবে কামনা করলে, ভয়ে ঘৃতাচী শুক পাখির রূপ ধরে সেখান থেকে পলায়ন করেন এদিকে তীব্র কামনায় বেদব্যাসের বীর্য অরণিতে পতিত হলে, সেখান থেকে শুকদেবের জন্ম হয়
 

প্রমিতি নামক এক ঋষির সাথে মিলিত হলে, এঁর গর্ভে রুরু নামক এক পুত্রের জন্ম হয় কুশনাভের সাথে এঁর প্রণয়ের সম্পর্ক স্থাপিত হলে, কুশনাভের ঔরসে এঁর একশতটি কন্যা জন্মগ্রহণ করে কুবেরের সাথে মিলিত হলে, এঁর গর্ভে চিত্রা নামক এক কন্যার জন্ম হয়

ভরদ্বাজ মুনি একবার তাঁকে স্নানরতা অবস্থায় দেখে অত্যন্ত কামাতুর হয়ে পড়েন এবং অবিলম্বে তাঁর বীর্যপাত হয় এই বীর্য ইনি একটি দ্রোণীতে (একপ্রকার পাত্র) রাখেন এই দ্রোণ থেকে এক পুত্র জন্মে ইনিই মহাভারতে বর্ণিত কৌরব- পাণ্ডবের অস্ত্রগুরু দ্রৌণাচার্য ছিলেন