সুরথ
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {ক্ষত্রিয়হিন্দু পৌরাণিক মানব | হিন্দু পৌরাণিক সত্তা | ভারতীয় পৌরাণিক সত্তা | পৌরাণিক সত্তা | অতিপ্রাকৃতিক বিশ্বাস | কাল্পনিক সত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | কর্মক্ষমতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্তা | সত্তা |}

হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র।

মার্কেণ্ডেয় পুরাণের একাশীতিতম অধ্যায়ে ('শ্রীশ্রীদেবীমাহত্ম্য') আছে- 'স্বারোচিষ' মন্বন্ন্তরে চৈত্রবংশের রাজা ছিলেন সুরথ। সে সময় কোলাবিধ্বংসী রাজারা একত্রিত হয়ে- রাজা সুরথকে পরাজিত করে, তাঁর রাজ্য দখল করে নেন। রাজ্য হারা সুরথ পথে পথে ঘুরতে থাকেন। এই সময় সমাধি নামক এক ভাগ্যহারা বৈশ্যের দেখা পান। এই সৌভাগ্যক্রমে উভয়ই মেধস মুনির আশ্রমে হাজির হন। উভয়ের দুঃখের কথা শুনে মুনি তাঁদেরকে দেবী মহাময়া তথা দুর্গা কে পূজা করার পরামর্শ দেন।

মেধস মুনির পরামর্শ অনুসারে রাজা সুরথ এবং বৈশ্য  সমাধি অম্বিকারূপিণী দুর্গা দেবীর মৃন্ময়ী মূর্তি তৈরি করে পূজা করেছিলেন। সুরথ তিন বৎসর এই পূজা করার পর, দেবী আবির্ভুত হয়ে সুরথ ও বৈশ্যকে মনবাঞ্ছাপূরণের বর প্রার্থনা করতে বলেন। সুরথ প্রার্থনা করেছিলেন- যেন তিনি ইহ ও পরজন্মে কখনো রাজ্যচ্যুত না হন। বৈশ্য প্রার্থনা করেছিলেন- যেন তাঁর মমতার হেতুভুত আসক্তির বিনাশ হয়, এবং তাঁর সেরূপ জ্ঞানলাভ হয়। দেবী উভয়কে প্রার্থিত বর প্রদান করেন।
সূত্র: