অবতার
বানান বিশ্লেষণ : অ+ব্+অ+ত্+আ+র্+অ।
উচ্চারণ:
ɔ.bo.t̪ar
(অবতার)
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত
অবতার>
বাংলা অবতার
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:
অব (নিম্ন )-
{√
তৄ(গমন করা)
+
অ (ঘঞ্),
ভাববাচ্য}
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
অবতার
|
হিন্দু
দেবতা
|
হিন্দু
দৈবসত্তা
|
দেবতা
|
দৈবসত্তা
|
অতিপ্রাকৃতিক সত্তা
|
অতিপ্রাকৃতিক বিশ্বাস
|
বিশ্বাস
|
প্রজ্ঞা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
অর্থ :
হিন্দু ধর্মমতে, হিন্দু ধর্মমতে সৃষ্টির কল্যাণের জন্য বিষ্ণু বিভিন্ন সময়ে মানুষ বা অন্য কোনো মূর্তিতে আবির্ভূত হয়েছিলন। দেবতার অংশ হিসেবে আবির্ভূত সত্তাকে অবতার বলা হয়।
এর ভিতরে ৯টি অবতার ইতিমধ্যে আবির্ভূত হয়েছিলেন। দশম অবতার কলিযুগের শেষে আবির্ভূত
হবেন। নিচের যুগভেদে অবতারদের তালিকা দেওয়া হলো।
- সত্যযুগে আবির্ভূত চার অবতার:
১. মৎস্য অবতার,
২. কূর্ম অবতার,
৩. বরাহ অবতার
৪. নৃসিংহ অবতার।
- ত্রেতাযুগের তিন অবতার :
৫. বামন অবতার,
৬. পরশুরাম অবতার
৭. রামচন্দ্র
- দ্বাপর যুগের অবতার :
৮. কৃষ্ণ। তবে বিষ্ণুর অপর অংশ থেকে জন্ম হয়েছিল বলরামের। কিন্তু বলরাম কৃষ্ণের
আজ্ঞাবহ ছিলেন বলে, তাঁকে অবতার হিসেবে মান্য করা হয় না। এছাড়া এই যুগে পরশুরাম
জীবিত ছিলেন।
- কলি যুগের অবতার :
৯. বুদ্ধ
১০. কল্কি অবতার।
সমার্থক শব্দাবলি : অংশ, অংশন, অবতার
ইংরেজি
incarnation; an incarnation, an avatar; a personation