অকচ

বানান বিশ্লেষণ : অ+ক্+অ+চ্+অ।
উচ্চারণ:
ɔ.kɔc (অ‌.কচ্)

অ.কচ্ [অ এবং কচ্ ধ্বনি দুটি একাক্ষর সৃষ্টি করে। অ নঞর্থক, তাই কচ্ ধ্বনি কোচ হব না]

শব্দ-উৎস: সংস্কৃত कच (অকচ্)>বাংলা অকচ।
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:

পদ: বিশেষণ {নাম-বিশেষণ, গুণবাচক, ব্যক্তিবাচক, পুরুষবাচক}
অর্থ:
কচ অর্থ চুল। মাথার চুল পড়ে গেছে বা নাই এমন অর্থে-অকচ।

সমার্থক শব্দাবলি: অকচ, কেশহীন, খলতিখল্বাট, খল্লীট, চুলহীন, টেকো, নিষ্কেশ, নেড়া, বিকচ
বিপরীতার্থক শব্দ:  অকচা [স্ত্রীলিঙ্গার্থে]
ইংরেজি:
having no hair, bald, baldheaded

 

পদ: বিশেষ্য

ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিকসত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | দক্ষতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

অর্থ: হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে- কেতু নামক গ্রহের । দানব বিপ্রচিত্তি ঔরসে ও সিংহিকার গর্ভে একজন অসুর জন্মেছিলেন উল্লেখ্য, সমুদ্রমন্থন শেষে উত্থিত অমৃত অসুরদের বঞ্চিত করে দেবতারা পান  করেছিল ইনি কৌশলে গোপনে অমৃতপান করতে থাকলে চন্দ্র ও সূর্য এঁকে চিনতে পেরে বিষ্ণুকে জানান বিষ্ণু তাঁর সুদর্শন চক্রের দ্বারা এই দানবের মাথা কেটে দেন কিছুটা অমৃত পান করায় এই দানব ছিন্নমস্তক হয়ে অমরত্ব লাভ করেন দেহভাগ অচেতন অবস্থায় পতিত হয়। পরে রাহু বিষ্ণুর কাছে গ্রহ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভের প্রার্থনা করেন। বিষ্ণু তা মঞ্জুর করলে, মস্তক অংশ রাহু এবং এবং দেহাংশ কেতু নামে পরিচিতি লাভ করে। এই গ্রহের প্রভাবে মেঘ অপসারিত হয়, এই কারণে একে অকচ বলা হয়।


সূত্র: