|
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই সোমলতা বৈদিক সোমলতা নয়।
বৈদিক সোমলতা
এই সোমলতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় না। বেদের বহু সূত্রে
সোমলতার রস বা সোমরস বিষয় উত্থাপিত হয়েছে। ঋগ্বেদের প্রথম মণ্ডলের দ্বিতীয়
সূক্তে এই লতার রস দ্বারা বায়ু এবং ইন্দ্রকে সোমরস দ্বারা আহ্বান করা হয়েছে।
রমেশচন্দ্র দত্ত কর্তৃক ঋগ্বেদের (প্রথম খণ্ডেএ) অনুবাদ-এ, এই লতা এবং এর
সম্পর্কে বলা হয়েছে−
সোমলতা পেষণ করলে দুগ্ধের ন্যায়
শ্বেতবর্ণ এবং ঈষৎ অম্লরস নির্গত হয়, তাই মাদক অবস্থায় পরিণত করে পূর্বকালে
যজ্ঞে ব্যবহৃত হত।
প্রাচীন আর্যদের মধ্যে সোমরসের ব্যবহার ছিল, অতএব সে আর্য
জাতির শাখা ইরানীদের মধ্যে সোমের ব্যবহার ও উপাসনা ছিল। তারা সোমকে 'হোওমা'
বলতেন ও যজ্ঞে এর অভিষব দিতেন। বোধ হয় ইরানীয় আর্যগণ সোমরস স্বাভাবিক অবস্থায়
(unfermented)
ব্যবহার করতেন এবং হিন্দু আর্যগণ সোমরস মাদক অবস্থায়
(fermented)
পান করতে ভাল বাসতেন। ধারণ করা হয়
আর্যজাতির এই দুই শাখার মধ্যে
বিবাদের এটি অন্যতম
কারণ ছিল।
সূত্র