অঞ্চলে ইংরেজদের উপর আক্রমণ করে। এই আক্রমণে তিপ্পেরা অঞ্চলে ১৮৬ জন ইংরেজ নিহত হয়
এবং ১০০ জনকে তারা বন্দী করে। খ্রিষ্টাব্দের ২০শে জুন প্রশাসনিক সুবিধার
জন্য
রাঙ্গামাটি,
বান্দরবান
এবং খাগড়াছড়ি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এই সময় বরকল
ব্রিটিশ প্রশাসনিক সুবিধার আওতায় চলে আসে।
ব্রিটিশদের সাথে কুকিদের বিক্ষিপ্ত
সংঘর্ষ চলে ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। প্রথম দিকে ব্রিটিশরা প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির
সম্মুখীন হলেও ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে দিকে কুকিদের অনেকাংশে দমন করতে সক্ষম হয়।
এরপর ১৮৯১ এবং ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশরা কুকুদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ
ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে বরকল থানা প্রতিষ্ঠিত
হয়। পাকিস্তান শাসনামলে বরকল থানা হিসেবেই থেকে গিয়েছিল। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে
বাংলাদেশে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের সূত্রে বরকল উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। তবে
উপজেলাটি প্রশাসনিক কার্যক্রম বরকল থানার আওতাধীনেই রয়ে গেছে।
এ উপজেলায় ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। এগুলো হলো- শুভলং, বরকল, আইমাছড়া,
ভূষণছড়া ও বড় হরিণা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: বরকল উপজেলার স্বাক্ষরতার হার ৩৬.১০%। এ উপজেলায় রয়েছে
১টি কলেজ, ৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি দাখিল মাদ্রাসা, ১টি কারিগরী প্রশিক্ষণ
কেন্দ্র, ১০টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
কৃষি: প্রধান কৃষি ফসল ধান, আলু, তুলা, আদা, হলুদ, মরিচ, শাকসবজি, গম,
সরিষা।
ফল: আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, জাম, পেয়ারা, আনারস, পেঁপে।
নির্বাচনী আসন: ২৯৯ পার্বত্য রাঙামাটি।
দর্শনীয় স্থান:
তথ্যসূত্রঃ