অংশপত্র
বানান বিশ্লেষণ :
অ+ং+শ্+অ+প্+অ+ত্+র্+অ।
উচ্চারণ:
ɔŋ.ʃo.pɔt̪.t̪ro
(অঙ্.শো.পত্.ত্রো
)
শব্দ-উৎস: সংস্কৃত অংশ>বাংলা অংশ + সংস্কৃত পত্র>বাংলা পত্র।
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:
অংশ {√অংশ্ (ভাগ করা) +অ (অ),,কর্মবাচ্য।}+পত্র {√পত্ (পতিত হওয়া) + ত্র (ষ্ট্রন), অধিকরণবাচ্য।}
অংশের পত্র/ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
মজুদ পত্র |
প্রত্যয়ন পত্র |
আইনসম্মত নথি |
নথি |
রচনা
|
লিখিত যোগাযোগ
|
যোগাযোগ
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
অর্থ:
কোনো প্রতিষ্ঠানের মোট মূলধনকে কোনো এককের
মূল্যমানের দ্বারা সমান ভাগে ভাগ করলে, এর প্রতিটি ভাগকে বলা হবে শেয়ার বা অংশপত্র।
এই অংশপত্র হলো- যৌথ
মূলধন দ্বারা সৃষ্ট বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের আংশিক মালিকানার অধিকার প্রদান করে এমন
একটি দলিল। এই অধিকার বলে অংশপত্রের অধিকারী ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের সভায় অংশগ্রহণ
এবং মত প্রকাশের অধিকার লাভ করে। একবার অংশপত্রে লগ্নি করলে লগ্নিকারী মূলধন নগদ
অর্থে ফেরত পায় না। তবে কোম্পানী বন্ধ হয়ে গেলে অংশপত্রের সংখ্যাগত মানের ভিত্তিতে
সম্পদের অংশ পাওয়া যায়। আবার শেয়ার বাজারে প্রতিষ্ঠানের অংশপত্র তালিকাভুক্ত থাকলে,
তা চলতি বাজার দরে বিক্রয় করা যায়। মূল কোম্পানি অংশপত্রের অধিকারীদের ভিতর প্রতি
বৎসর লভ্যাংশ বিতরণ করে থাকে।
এক্ষেত্রে
শেয়ার প্রতি অর্জন (Earnnings
Per Share
বা
EPS)
রীতি অনুসরণ করা হয়। অর্থাৎ মোট মুনাফা থেকে কোম্পানি-কর
বাদ দেওয়ার পর কোম্পানীর কাছে মুনাফার যে অংশ অবশিষ্ট থাকে, তাকে অংশপত্রের
সংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে অংশপত্র-পিছু যে অর্থ পাওয়া যায়, সেই অংশটুকু অংশপত্রের
মালিকদের ভিতর বিতরণ করা হয়।
সমার্থক শব্দাবলি:
অংশপত্র,
শেয়ার
।
ইংরেজি:
share।