মাত্রা
বানান
বিশ্লেষণ: ম্+আ+ত্+র্+আ
উচ্চারণ:
mat̪.t̪ra
(মাত্.ত্রা)
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত মাত্রা>
বাংলামাত্রা।
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: মাত্র {
√
মা(পরিমাণ) +
ত্র
(ত্রন্)>,
করণবাচ্য
+
আ
(টাপ্)}
পদ:
বিশেষ্য
অর্থ: পদ্যরচনাশৈলীতে ব্যবহৃত বিশেষ সময়জ্ঞাপক পরিমাপ।
কবিতার মাত্রাগত বিন্যাসের সূত্রে ছন্দের সৃষ্টি হয়। বাংলা কবিতায় এই
মাত্রাসংখ্যার নির্দিষ্ট নয়, একেক ছন্দে একেক অক্ষরের মাত্রাসংখ্যা একেক রকম
হয়। মূলত, এই মাত্রার ভিন্নতাই বাংলা ছন্দগুলোর ভিত্তি।
ইংরেজি:
meter, metre, measure, beat, cadence।
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
দোলা।
শব্দলক্ষণ গুণ |
লক্ষণগুণ |
সত্তাগুণ
|
বিমূর্তন |
বিমূর্ত সত্তা |
সত্তা |
}
অর্থ: সঙ্গীতে সম-সময়ে সমপ্রকৃতির ছন্দকে বলা
হয় তাল, আর ছন্দের প্রতিটি দোলাকে বলা হয় মাত্রা।
ইংরেজি:
meter, metre, time
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{মাত্রা |
বিশালত্ব |
লক্ষণগুণ |
সত্তাগুণ
|
বিমূর্তন |
বিমূর্ত সত্তা |
সত্তা |
}
অর্থ: গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানে- কোন স্থান বা বস্তুর
প্রতিটি বিন্দুকে নির্দিষ্ট করতে সর্বনিম্ন যতগুলো স্থানাংকের প্রয়োজন হয়,
তাকে মাত্রা বলে। বস্তুজগতে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা হলো মাত্রা। একটি সরলরেখা একমাত্রিক, কেননা এর প্রতিটি বিন্দুকে সংজ্ঞায়িত একটি মাত্র স্থানাংকই যথেষ্ট। অপরদিকে একটি তলের উপর কোন বিন্দুকে নির্দিষ্ট করতে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ - এই দুই দিকের স্থানাংক জানা প্রয়োজন, তাই একটি তল দ্বিমাত্রিক। তেমনিভাবে একটি ঘনকের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা - তিনটিই আছে, একারণে তা ত্রিমাত্রিক।
ইংরেজি:
dimension