যোগমায়া
বানান বিশ্লেষণ : য্+ও+গ্+অ+ম্+আ+য়্+আ।
উচ্চারণ: ɟo.go.maẽ.a
(জো.গো.মায়্.আ)
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত যোগমায়া
বাংলা
যোগমায়া
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:
√
যুজ্
(যুক্ত করা, মিশ্রিত করা)
+
অ (ঘঞ্),
ভাববাচ্য।}+মায়া
{√
মা
(পরিমাণ)+
য,
করণবাচ্য
+আ (টাপ্)}
পদ : বিশেষ্য
১. বিষ্ণুর স্ত্রী হিসাবে লক্ষ্মীদেবী যোগমায়া রূপে প্রসিদ্ধা। ইনিই সীতারূপে জন্মলাভ করেছিলেন।
২. অগ্নিপুরাণ ও ভাগবত মতে– ইনি, কৃষ্ণের জন্মের সময় যশোদার গর্ভে জন্মেছিলেন। উল্লেখ্য প্রায় একই সময় বসুদেবের ঔরসে দেবকীর গর্ভে জন্ম নেন কৃষ্ণ এবং ব্রজধামের নন্দের স্ত্রী যশোদার গর্ভে জন্ম নেন যোগমায়া। দেবকীর অষ্টমগর্ভজাত সন্তান কংসরাজাকে হত্যা করবে– এমন ভবিষ্যৎবাণী শোনার পর কংস দেবকীকে কারাগারে বন্দী করেন এবং একে একে তাঁর সাতটি সন্তান হত্যা করেন। ফলে দেবকীর অষ্টম সন্তান কৃষ্ণের জন্মগ্রহণের পরপরই, বসুদেব কংসের ভয়ে কৃষ্ণকে ব্রজধামে নন্দের বাড়িতে রেখে আসেন এবং তাঁর সদ্যজাতা কন্যা যোগমায়াকে এনে দেবকীকে প্রদান করেন। এই কন্যাটিকেই দেবকীর অষ্টমগর্ভজাত সন্তান মনে করে কংস হত্যা করতে উদ্যত হলে, যোগমায়া শূন্যে উঠে যান এবং কংসের হত্যাকারী কৃষ্ণের জন্মবার্তা জ্ঞাপন করেন।
৩. মার্কেণ্ডেয় পুরাণ মতে– আদ্য শক্তি মহামায়া।
মধু কৈটভের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রজাপতি ব্রহ্মা ভগবান বিষ্ণুর
যোগনিদ্রার স্তবস্তুতি করলে দেবী যোগমায়া মহাকালী রূপে প্রকট হয়ে
বিষ্ণুকে নিদ্রামুক্ত করেছিলেন।
এরপর বিষ্ণু জলমগ্ন সাগর থেকে পৃথিবীকে উদ্ধার করেছিলেন।