ভুলি কেমনে আজো যে মনে
বেদনা-সনে রহিল আঁকা।
আজ সজনী দিন রজনী
সে বিনে গনি সকলি ফাঁকা॥
আগে মন করলে চুরি
মর্মে শেষে হানলে ছুরি
এত শঠতা এত যে ব্যথা
তবু যেন তা মধুতে মাখা॥
চকোরী দেখলে চাঁদে
দূর থেকে সই আজো কাঁদে
আজো বাদলে ঝুলন ঝুলে
তেমনি জলে চলে বলাকা॥
বকুলের তলায় দোদুল
কাজলা মেয়ে কুড়োয় লো ফুল
চলে নাগরী কাঁখে গাগরি
চরণ ভারি কোমর বাঁকা॥
ডালে তোর করলে আঘাত
দিস্ রে কবি ফুল সওগাত
ব্যথা-মুকুলে অলি না ছুঁলে
বনে কি দুলে ফুল-পতাকা॥
'...নজরুলের প্রশিক্ষণে প্রথম প্রকাশিত নজরুল-সঙ্গীত-এর রেকর্ডে আঙুরবালার গাওয়া দুটি গান ছিল, 'ভুলি কেমনে' ও 'এত জল ও কাজল', আরো ছিল নজরুলের স্বরচিত স্বকণ্ঠে আবৃত্তি 'নারী' কবিতা এবং কে. মল্লিকের গাওয়া 'বাগিচায় বুলবুলি তুই' এবং 'আমারে চোখ ইশরায় ডাক দিল হায়।' ঐ সব গান ও আবৃত্তির রেকর্ড হয়েছিল ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসের দিকে আর প্রকাশিত হয়েছিল শেষ দিকে।এই প্রশিক্ষণের সূত্রে নজরুলের রচিত চারটি গান- ধীরেন্দ্রনাথ দাস নজরুল ইসলামের কাছ থেকে শিখে নিয়ে, তা আঙ্গুরবালা ও কাসেম মল্লিক-কে শিখিয়েছিলেন। এই গানগুলো সম্ভবত রেকর্ড হয়েছিল এপ্রিল মাসে। তবে বিক্রয়ের জন্য প্রকাশিত হয়েছিল জুলাই মাসে। জুলাই মাসে প্রকাশিত প্রথম রেকডের দুটি গান ছিল-