বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম:
এত জল ও কাজল চোখে, পাষাণী আন্লে বল কে
এত
জল ও কাজল চোখে, পাষাণী আন্লে বল কে।
টলমল জল-মোতির মালা দুলিছে ঝালর-পলকে॥
দিল কি পুব হাওয়াতে দোল, বুকে কি বিঁধিল কেয়া?
কাঁদিয়া কুটিলে গগন এলায়ে ঝামর-অলকে॥
চলিতে পৈঁচি কি হাতের বাঁধিল বৈচি-কাঁটাতে?
ছাড়াতে কাঁচুলির কাঁটা বিঁধিল হিয়ার ফলকে॥
মুকুলী-মন সেধে সেধে কেবলি ফিরিনু কেঁদে,
সরসীর ঢেউ পলায় ছুটি' না ছুঁতেই নলিন-নোলকে॥
বুকে তোর সাত সাগরের জল, পিপাসা মিট্ল না কবি
ফটিক জল! জল খুঁজিস্ যেথায় কেবলি তড়িৎ ঝলকে॥
-
রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। উল্লেখ্য,
বঙ্গবাণী পত্রিকার জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৪, মে-জুন ১৯২৭) সংখ্যা গানটি প্রথম প্রকাশিত
হয়েছিল। এই সময়
নজরুল ইসলামের
বয়স ছিল ২৮ বৎসর ৪ মাস।
-
প্রাসঙ্গিক বিষয়: প্রশিক্ষণের সূত্রে নজরুলের রচিত চারটি গান- ধীরেন্দ্রনাথ দাস
নজরুল ইসলামের
কাছ থেকে শিখে নিয়ে, তা
আঙ্গুরবালা ও
কাসেম মল্লিক-কে শিখিয়েছিলেন। এই গানগুলো সম্ভবত রেকর্ড হয়েছিল এপ্রিল মাসে। তবে
বিক্রয়ের জন্য প্রকাশিত হয়েছিল জুলাই মাসে। জুলাই মাসে প্রকাশিত প্রথম রেকডের দুটি
গান ছিল-
- এইচএমভি [জুলাই ১৯২৮ (আষাঢ় ১৩৩৫)। পি ৯৯৭৪। শিল্পী:
আঙ্গুরবালা।
- ভুলি কেমনে আজো যে মনে [তথ্য]
- এত জল ও-কাজল চোখ [তথ্য]
- পত্রিকা:
- বঙ্গবাণী। জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৪, মে-জুন ১৯২৭) সংখ্যা।
- নওরোজ। আশ্বিন ১৩৩৪ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯২৭)। নজরুলকৃত-স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল।
- রেকর্ড
-
গ্রন্থ:
- বুলবুল
- প্রথম সংস্করণ [কার্তিক ১৩৩৫ (নভেম্বর ১৯২৮)]। গান ৯। মান্দ্-কাওয়ালি।
- নজরুল-রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ফাল্গুন ১৪১৩। ফেব্রুয়ারি ২০০৭। বুলবুল। গান
৯। হাম্বীর-কাওয়ালি। পৃষ্ঠা: ১৫৮]
-
নজরুল-গীতিকা
- প্রথম সংস্করণ। সেপ্টেম্বর ১৯৩০। ভাদ্র ১৩৩৭।
মান্দ্-কাওয়ালি। গজল। ১৬।
পৃষ্ঠা: ৭৫।
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা
ফাল্গুন ১৪১৩/মার্চ ২০০৭।] নজরুল গীতিকা। ৬১। গজল।
মান্দ্-কাওয়ালি। পৃষ্ঠা: ২১২-২১৩]
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি: সুধীন
দাশ।
[নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি,
পঞ্চম খণ্ড। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট,
ঢাকা] পঞ্চম গান। পৃষ্ঠা: ৫১-৫৫।
[নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রেম
- সুরাঙ্গ:
গজল