ভাষাংশ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনাসংগ্রহের সূচি
রুদ্রচণ্ড
উপহার ভাই জ্যোতিদাদা যাহা দিতে আসিয়াছি কিছুই তা নহে ভাই! কোথাও পাই নে খুঁজে যা তোমারে দিতে চাই! আগ্রহে অধীর হ'য়ে ক্ষুদ্র উপহার ল'য়ে যে উচ্ছ্বাসে আসিতেছি ছুটিয়া তোমারি পাশ, দেখাতে পারিলে তাহা পূরিত সকল আশ। ছেলেবেলা হ'তে, ভাই, ধরিয়া আমারি হাত অনুক্ষণ তুমি মোরে রাখিয়াছ সাথে সাথ। তোমার স্নেহের ছায়ে কত না যতন ক'রে কঠোর সংসার হ'তে আবরি রেখেছ মোরে। সে স্নেহ-আশ্রয় ত্যজি যেতে হবে পরবাসে। তাই বিদায়ের আগে এসেছি তোমার পাশে। যতখানি ভালবাসি, তার মত কিছু নাই– তবু যাহা সাধ্য ছিল যতনে এনেছি তাই! |
বিশ্বভারতী কর্তৃক প্রকাশিত
রবীন্দ্ররচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ডের (শ্রাবণ
১৩৯১) গ্রন্থ পরিচয় অংশে লিখিত এই গ্রন্থ
সম্পর্কিত পাঠ।
'রুদ্রচণ্ড'
কবির
প্রথম নাটক (গীতিনাট্য নহে)। ইহা ১৮০৩ শকে [২৫ জুন ১৮৮১] প্রকাশিত হয়। পৃষ্ঠাসংখ্যা
৫৩। 'রুদ্রচণ্ড' পুনর্মুদ্রিত হয় নাই। ইহার দুইটি গান গীতবিতানে তথা স্বরবিতানে
সংকলিত; উহাই সংক্ষিপ্ত ও সংহত আকারে "ফুলের ইতিহাস" নামে শিশু কাব্যে স্থান
পাইয়াছে।
'রুদ্রচণ্ডে'র গান দুইটি ১৩০৩ সালে প্রকাশিত 'কাব্য
গ্রন্থাবলী'র "কৈশোরক" অংশে স্থান পাইয়াছিল।