মহেশখালী
বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। ভৌগোলিক অবস্থান উত্তর ২১°৫৫′ পূর্ব″ ৯১°৯৫′। এটি বাংলাদেশের মূলখণ্ড সংলগ্ন একটি দ্বীপ। এই কারণে এই উপজেলাটি মহেশখালী দ্বীপ নামেও পরিচিত। কক্সবাজার থেকে এর দূরত্ব ১২ কিলোমিটার।
ইতিহাস :
আগে এই দ্বীপটি মূলখণ্ডের সাথে সংযুক্ত ছিল। পোর্তুগিজ পরিব্রাজক সিজার ফ্রেডরিক এবং ড. সুনীতিভূষণ কানুনগো-র মতে, ১৫৫৯ খ্রিষ্টাব্দের এক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের কারণে— এই অঞ্চলের একটি বিরাট অংশের মাটি ধুয়ে খালে পরিণত হয়। ফলে বর্তমান মহেশখালী নামক ভূখণ্ডটি মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দ্বীপে পরিণত হয়। জনশ্রুতি আছে, কোনো এক কৃষক এই দ্বীপের একটি বনের ভিতর মহেশ (হিন্দু পৌরাণিক দেবতা মহাদেব-এর অপর নাম) -এর মূর্তি পান। এরপর এই দেবতার নামে একটি মন্দির তৈরি করে, সেখানে ওই মূর্তিটি স্থাপন করেন। পরে এই দেবতার নামের সাথে খালী (খাল অর্থে) শব্দ যুক্ত হয়ে— এই স্থানটি মহেশখালী নামে পরিচিত লাভ করে। উল্লেখ্য এই মন্দিরটি বর্তমানে আদিনাথ মন্দির হিসাবে অভিহিত হয়ে থাকে।
লোককাহিনী অনুসারে মহেশখালীর মৈনাক পাহাড়ে মহাদেব আবির্ভূত হয়েছিলেন ত্রেতাযুগে। রাম-রাবণের যুদ্ধের সময় মহাদেবের আশীর্বাদ লাভের জন্য রাক্ষসরাজ রাবণ কৈলাশে যান। দেবতাদের অনুরোধে মহাদেব রাবণকে শর্ত দেন যে, রাবণ যদি তাঁকে বিরতিহীনভাবে তাঁকে নিয়ে যেতে পারে, তবেই তিনি লঙ্কায় যাবেন। এই শর্ত মেনে মহাদেবকে মাথায় নিয়ে রাবণ লঙ্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে রাবণ মৈনাক পাহাড়ে অবতরণ করতে বাধ্য হয়। শর্তভঙ্গ হওয়ায় শিব মৈনাক পাহাড়ে অবস্থান গ্রহণ করেন। অন্য লোককাহিনী মতে— জনৈক নাগা সন্ন্যাসীর সহায়তায় নেপাল থেকে পাথরের অষ্টভূজা দুর্গামূর্তি মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেছিলে কোনো এক মহাদেবের উপাসক। সমুদ্রের মধ্যে মৈনাক পর্বতের অবস্থান বলে রামায়ণেও উল্লেখ আছে। অনেকে মনে করেন এই মৈনাক পরবতটিই হলো মহেশখালী দ্বীপের মৈনাক পাহাড়।
মহেশখালীর ইতিহাসের সাথে 'নাথ'
সম্প্রদায়ের যোগ আছে বলে অনেকে মনে করেন। উল্লেখ্য নাথ সম্প্রদায়ের প্রথম গুরু
মৎস্যেন্দ্রনাথের (মীননাথ) শিষ্য,
গোরক্ষনাথের-এর আবির্ভাব কাল হিসাবে
খ্রিষ্টীয়
সপ্তম শতাব্দী বিবেচনা করা হয়।
তাঁর রচিত গ্রন্থ গোরক্ষ বিজয় প্রকাশিত হয়েছিল ষোড়শ শতাব্দীতে। নাথ
সম্প্রদায়ের চারজন সিদ্ধগুরু
মৎস্যেন্দ্রনাথ,
গোরক্ষনাথ, হাড়িপা এবং
কাহ্নপার প্রভাব
বাংলাদেশের অনেকস্থানে ছাড়িয়ে পড়েছিল। ধারণা করা হয়, নাথ সম্প্রদায়ের কোনো এক শিষ্য
মহেশখালীতে এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। বাংলাদেশের দিনাজপুর, ঝিনাইদহ, বগুড়া অঞ্চলে
গোরক্ষনাথের শিষ্যদের দ্বারা নির্মিত
মহাদবের মন্দিরে মতো, বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে এই মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল।
উল্লেখ্য মন্দিরের অনতিদুর একটি বাজারের নাম গোরকঘাটা বাজার। এই নামের সাথে
'গোরক্ষ' নামের মিল পাওয়া যায়। আদিনাথ মন্দিরের লোক কাহিনীতে নেপাল রাজা, নুর
মোহাম্মদ সিকদারের উল্লেখ আছে। গোরক্ষ বিজয়েও কবীন্দ্র দাস, শ্যামদাস, ভীমদাসসহ
ফয়জুল্লাহ, সুকুর মুহাম্মদ প্রভৃতি মুসলমানের নামও পাওয়া যায়।
অধ্যাপক ড. সুনীতিভূষণ কানুনগো'র রচিত গ্রন্থ
চট্টগ্রামে মগশাসন
থেকে জানা যায়—
১৫৮০ খ্রিষ্টাব্দে দক্ষিণ
চট্টগ্রামে আরাকানী শাসন শুরু হলেও,
মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে এই
দ্বীপটিতে আরাকান-শাসনের ছোঁয়া লাগে নি। কালক্রমে এই দ্বীপটি জলদস্যুদের নিরাপদ
আস্তানায় পরিণত হয়েছিল। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে—
১৭৭৯ খ্রিষ্টাব্দে রবার্ট
ওয়ারলেজ নামক জনৈক ইংরেজ কর্মচারী বন্দোবস্ত নেবার জন্য আবেদন করেন এবং সেই সূত্র
১৭৮২ খ্রিষ্টাব্দের ২০ নভেম্বর তারিখে রবার্ট ওয়ারলেজ চট্টগ্রামের ইংরেজ কালেক্টর
চার্লস ক্রাফটস-এর কাছ থেকে, ২০,০০০ টাকার বিনিময়ে দ্বীপটির মালিকানা লাভ করেন।
কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে যোগাযোগের অসুবিধার কারণে, তিনি স্থানীয় দেওয়ান কালিচরণ
কানুনগোর কাছে ৪০,০০০ টাকার বিনিময়ে দ্বীপটির মালিকানা হস্তান্তর করেন। কালিচরণ
কানুনগো নিঃসন্তান থাকায়—
তিনি
চণ্ডিচরণ নামক একটি ছেলেকে দত্তক পুত্ররূপে গ্রহণ করেন। ১৭৯০ খ্রিষ্টাব্দে
কালিচরণের মৃত্যুর পর, চণ্ডিচরণ এই দ্বীপের মালিক হন। কালিচরণের বিধবা স্ত্রী
প্রভাবতীর জীবদ্দশায় চণ্ডিচরণ, শরৎচন্দ্র নামক এক পুত্রসন্তান রেখে মৃত্যুবরণ
করেন। এই সময় শরৎচন্দ্র অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন, ফলে ১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দে
প্রভাবতীর নামে বন্দোবস্তের নবায়ন সম্পন্ন হয়। প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়ার পর, শরৎচন্দ্র জমিদার
হিসাবে মহেশখালী দ্বীপ শাসন করেন। প্রজাবৎসল জমিদার হিসাবে শরৎচন্দ্রের খ্যাতি ছিল।
তিনি জনসাধারণের পানীয় জলের অভাব দূর করার জন্য বিশাল একটি দীঘি খনন করেছিলেন।
উল্লেখ্য এই দীঘিটি বর্তমানে উপজেলা প্রশাসনের সম্মুখে অবস্থিত।
পাকিস্তান সৃষ্টির পর, ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে বাবু অজিত কুমার রায় বাহাদুর চৌধুরী
মহেশখালী দ্বীপের জমিদার ছিলেন। এই সময় নুরুল আমিন সরকার জমিদারি প্রথার বিলোপ
ঘোষণা করে। ফলে মহেশখালী তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান সরকারি সম্পত্তিতে পরিণত হয়।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে, মহেশখালী বাংলাদেশের একটি ভূখণ্ড হিসাবে
অন্তর্ভূক্ত।
মহেশখালীর আয়তন ও অবস্থান
এই উপজেলার আয়তন ৩৬২,১৮
বর্গ কিলোমিটার। এর উত্তরে চকোরিয়া উপজেলা, দক্ষিণে
কক্সবাজার সদর উপজেলা ও
বঙ্গোপসাগর, পূর্বে
চকোরিয়া উপজেলা ও
কক্সবাজার সদর উপজেলা,
পশ্চিমে কুতুবদিয়া উপজেলা এবং
বঙ্গোপসাগর। এর উপজেলা সদরটির বর্তমান আয়তন প্রায় ৩ বর্গকিলোমিটার (২০১২
খ্রিষ্টাব্দ)। এই উপজেলা এবং কক্সবাজার সদর উপজেলাকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে মহেশখালী প্রণালী।
তবে পেকুয়া
উপজেলার সাথে এই উপজেলার উত্তরাংশ বিচ্ছিন্ন করেছে
কোয়েলিয়া নদী। এর বিপরীত দিকে
এই উপজেলা থেকে কুতুবদিয়া উপজেলাকে
বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে কুতুবদিয়া প্রণালী। তবে
মহেশখালী
প্রণালীটি ক্রমে ক্রমে নাব্যতা হারাচ্ছে এবং প্রণালীর ভিতরে চর জেগে উঠছে। ফলে এই
দ্বীপটি পুরোপুরিভাবে এক সময় মূল ভূখণ্ডের সাথে মিশে যেতে পারে বলে ভূতাত্ত্বিকরা
মনে করছেন। এছাড়া এই উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং ধলঘাটা ও মাতারবাড়ী ইউনিয়নের
পশ্চিমে, ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে বিরাট চর জেগে উঠেছে। ফলে, কালক্রমে পুরো
উপজেলাটি একটি অখণ্ড ভূমিতে পরিণত হতে পারে বলে অনেকের ধারণা।
কোয়েলিয়া
নদীটি মহেশখালী উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে এই উপজেলারই মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নকে
বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। বর্তমানে এই নদীর উপর নির্মিত সংযোগ সেঁতু, মহেশখালীর মূল
ভূখণ্ডের সাথে মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নের স্থল যোগাযোগের একমাত্র পথ।
প্রশাসনিক অবস্থা
এই উপজেলাটি আগে কক্সবাজার মহকুমার একটি থানা ছিল। ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে এই থানটিকে কক্সবাজার জেলার একটি উপজেলায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে এই উপজেলাটি ৮টি ইউনিয়ন, ২৫টি মৌজা এবং ১৭০টি গ্রাম গঠিত। ইউনিয়নগুলোর নাম হলো— বড় মহেশখালী, ছোটো মহেশখালী, ধলঘাটা, হোয়ানক, কালারমারছড়া, মাতারবাড়ি, শাপলাপুর ও কুতুবজৌম।
এই উপজেলায় মহেশখালী ছাড়াও আর তিনটি দ্বীপ আছে। এই দ্বীপগুলি হলো—সোনাদিয়া, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা।
মহেশখালীর অর্থনীতি :
বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো এই দ্বীপে সকল ধরনের প্রধান ফসল উৎপন্ন হয়। তবে এই
দ্বীপের ঐতিহ্যবাহী কৃষি পণ্য হলো পান। মোট জনসংখ্যার ২১.১৭% নানারকম
কৃষিকাজের জড়িত। পক্ষান্তরে শুধু পান চাষের সাথে জনসংখ্যা প্রায় ১৫% । এছাড়া রয়েছে লবণচাষী
৫৫%, ব্যবসায়ী ৬.৯০% এবং চাকরিজীবি ০.৯৭%। বর্তমানে উল্লিখিত পেশার পাশাপাশি,
সামুদ্রিক মাছ শিকার, চিংড়ি চাষ এবং তা প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প যুক্ত হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
জমিদার অজিত কুমার রায় বাহাদুর মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য, ৩২
একর জমি দান করেছিলেন। উল্লেখ্য এই বিদ্যালয়টি মহেশখালী উপজেলায় প্রথম প্রতিষ্ঠিত
বিদ্যালয়। বর্তমানে এই উপজেলায় তিনটি মহাবিদ্যালয় আছে।
মহেশখালীর লোকসংস্কৃতি
মহেশখালীর লোকসংস্কৃতি ও লোক উৎসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উৎসব হলো আদিনাথ মেলা।
প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের কোনো একদিন থেকে এই মেলা শুরু হয়ে প্রায় দশ-পনেরো দিন
পর্যন্ত চলে। অন্যান্য মেলার মতই, এই মেলায় মাটির তৈরি হাঁড়ি পাতিল, কলসি,
বাঁশ-বেতের তৈরি হাতা, ধুছনী, লোহার তৈরি দা-বটি ইত্যাদি পণ্য কেনাবেচা হয়।
মেলা উপলক্ষে নাটক, যাত্রা, সার্কাস, পুতুল নাচ ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
মহেশখালীর প্রাণীকূল
মূল ভূ-খণ্ডের সাথে যুক্ত থাকার সময় এই দ্বীপে এক সময় হাতি, বাঘ, হরিণ, বানর,
ভালুক, বিভিন্ন প্রকারের সাপ, পরিযায়ী পাখি, দেশীয় পাখিসহ বিভিন্ন প্রকারের
জীবজন্তু ছিল। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও এই সব প্রাণীর কিছু অংশ দ্বীপে
থেকে গিয়েছিল। স্থায়ীভাবে মনুষ্য বসতি স্থাপনের পর, এই সকল জীবজন্তুর অধিকাংশই
বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ স্থানীয়ভাবে এই দ্বীপে কিছু হরিণ, বানর,
কয়েক প্রজাতির সাপ দেখা গেছে মাত্র। শীতের মৌসুমে এই দ্বীপ অল্প কিছু মৌসুমী পাখি
চোখে পড়ে।
যোগাযোগ:
মহেশখালী উপজেলার উত্তর দিক থেকে দক্ষিণে উপজেলা পর্যন্ত ২টি পাকা সড়ক রয়েছে।
বদরখালী সাঁকো নির্মাণের ফলে মহেশখালী মুল ভূখণ্ডের সাথে সরাসরি যুক্ত হয়েছে। এই
সাঁকো থেকে উপজেলা হেড কোয়ার্টার পর্যন্ত সড়কপথের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার।
এই
উপজেলার কোহেলিয়া নদীর উপর অপর একটি সংযোগ সেতুর মূল মহেশখালীর সাথে উপজেলার
মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়ন-কে যুক্ত করেছে।
এছাড়া কক্সবাজার থেকে মহেশখালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রণালী-পথে মালবাহী ট্রলার, স্পীডবোট, যাত্রীবাহী লঞ্চ, নৌকা চলাচল করে থাকে। মহেশখালীতে ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ স্থাপিত হওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যোগাযোগ সম্ভবপর। বাংলাদেশের প্রায় সকল মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্কের এই দ্বীপ সচল রয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ:
মহেশখালীর অন্যতম প্রাকৃতি দুর্যোগ ঘটে,
বঙ্গোপসাগর-এ উদ্ভূত সাইক্লোন। ঐতিহাসিকদের মতে সবচেয়ে
বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটেছিল ১৫৫৯
খ্রিষ্টাব্দ। এই দুর্যোগে মহেশখালী মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এরপর বড়
ধরনের দুর্যোগ ঘটেছিল ১৯৯১
খ্রিষ্টাব্দের ২৯ শে এপ্রিল তারিখে। এই দিনের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় প্রায় ২০০-২৫০
কিলোমিটার বেগে মহেশখালীতে আঘাত হেনেছিল। এই সময় ৬.১ মিটার উঁচু সামুদ্রিক
জলোচ্ছ্বাস দ্বীপটির উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। সরকারি হিসেবে এই সময় কক্সবাজার
জেলায় নিহত হয়েছিল প্রায় ৫০,০০০ মানুষ। এর ভিতরের অধিকাংশই মানুষই ছিল
মহেশখালী উপজেলার। এই সময় প্রচুর গবাদি পশু নিহত হয় এবং লবণাক্ত পানির কারণে
চাষযোগ্য জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
দর্শনীয় স্থান
আদিনাথ মন্দির (মহাদেবের মন্দির)।
তথ্য সূত্রঃ
http://www.banglapedia.org