অংসফলক
বানান বিশ্লেষণ: অ+ং+স্+অ+ফ্+অ+ল্+অ+ক্+অ

উচ্চারণ: ɔŋ.ʃo.pʰɔ.lok (অঙ্‌.শো.ফ.লোক্)

শব্দ-উৎস: সংস্কৃত অংশ+ফলক> বাংলা অংশফলক
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { অস্থি | কঙ্কাল যোজক কলা | যোজক কলা | প্রাণিকলা | কলা | দেহাংশ | খণ্ডাংশ | স্বতন্ত্র সত্তা | দৈহিক সত্তা | সত্তা|}

অর্থ: মানবদেহের দুই কাঁধ বরাবর পিঠের দিকে ত্রিকোণাকার যে দুটি অস্থিখণ্ড থাকে, তাকে অস্থিফলক বলা হয়।
সমার্থক শব্দাবলি: অংসফলক, অংসফলকাস্থি
ইংরেজি: scapula, shoulder blade, shoulder bone

মানুষের বুকের অস্থিচক্রের একটি অংশ। মানুষের দুই কাঁধ বরাবর পিঠের দিকে ত্রিকোণাকার যে দুটি অস্থিখণ্ড থাকে, তাকে সাধারণভাবে অস্থিফলক বা অস্থিফলাকাস্থি  বলা হয়। দুই বাহুকে পৃষ্ঠের দিকে চাপ দিলে এই ফলকদ্বয় বাইরে থেকেই দেখা যায়। এই দুটি ফলকের বিভাজনটা দেখা যায়, মেরুদণ্ড বরাবর। এই ফলকদুটি সহজে নড়চড়া করতে পারে বলেই, মানুষ সহজে বাহুকে স্বচ্ছন্দে সঞ্চালন করতে পারে।

এই ফলকের একটি প্রান্তে গ্লিনয়েড গহ্বর (
glenoid cavity থাকে। এই গহ্বরের ভিতরে বাহুর হিউমেরাস নামক অস্থির মস্তক আবদ্ধ থাকে। আর মূল অংসফলকটি পেশী দ্বারা মেরুদণ্ডের সাথে যুক্ত থাকে।

অংসফলকের মাঝখানের একটু উপরে একটি স্ফিত অংশ আড়াআড়ি অস্থিদণ্ডের মতো দেখা যায়। এই অংশকে বলা হয় স্ক্যাপুলার কাঁটা
(spine of scapul) । এই কাঁটার উপরের অংশকে বলে সুপ্রাস্পাইনাস ফসা (supraspinous fosa) এবং নিচের অংশকে বলা হয় ইন্‌ফ্রাস্পাইনাস ফসা (infraspinous fosa) । স্ক্যাপুলার কাঁটা সম্মুখভাগকে বলা হয় এ্যাক্রোমিয়াল প্রসেস। আর এর তলদেশের মূল অংশফলকে অবস্থিত উপরের প্রান্তকে বলা হয় কোরাকয়েড প্রসেস। আর এর নিচের দিকের প্রান্তদেশে থাকে গ্লিনয়েড গহ্বর ।

সূত্র:

  • বঙ্গীয় শব্দকোষ (প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য অকাদেমী। ২০০১।
  • বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫।
  • শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০।
  • শব্দসঞ্চয়িতা। ডঃ অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়। নিউ সেন্ট্রাল বুক এজেন্সি প্রাঃ লিমিটেড। ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৯৫।
  • সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২।
  • wordnet 2.1
  • http://medicalpicturesinfo.com/scapula/