ফিফা
ফুটবল বিশ্বকাপ (পুরুষ)
১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে প্রদেয় ট্রফি |
Federation Internationale de Football Association। সংক্ষেপে FIFA(ফিফা) কর্তৃক প্রবর্তিত পুরুষদের জন্য বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা। ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে ফিফা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে পুরুষদের ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হয়। এরপর থেকে প্রতি চার বছর অন্তর এই প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে, ১৯৪২ এবং ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় নি।
বিশ্বকাপ ট্রফি:
১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে পুরুষদের বিশ্বকাপ
ফুটবলের জন্য FIFA World
Cup Trophy (ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি)
নির্ধারণ করা হয়। এর মূল নাম ছিল 'ভিক্টোরি'। তবে সাধরণভাবে একে বলা হতো
'বিশ্বকাপ'। ফরাসি ভাষায় এর নাম ছিল 'কোউপ ডু মোন্ড' (Coupe
du Monde)। ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ফিফার
সাবেক সভাপতি জুলে রিমের স্মরণে এর নামকরণ করা হয় 'জুলে
রিমে ট্রফি'। শর্ত ছিল তিন বার বিশ্বকাপ বিজয়ী দলকে এই ট্রফি চিরতরে দিয়ে
দেওয়া হবে। তাই ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে ব্রাজিল তৃতীয় বারের মতো বিশ্বকাপ জয় করার
পর এটি তাদেরকে স্থায়ীভাবে দিয়ে দেয়া হয়। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে
ফিফা
নতুন একটি কাপ
তৈরি করে। এই ট্রফির নাম
দেওয়া হয় ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি। এই ট্রফির জন্য ফিফা নকশা দেওয়ার জন্য উন্মুক্ত
আহ্বান জানায়। এসব নমুনার ভিতর থেকে মোট ৫৩টি নমুনা বাছাই করে প্রদর্শন করা হয়।
সাতটি মহাদেশ থেকে আগত বিশেষজ্ঞগণ, ইতালির শিল্পী সিলভিও গাজ্জানিগার
(Silvio Gazzaniga)
তৈরিকৃত নমুনাটিকে বিশ্বকাপ ট্রফি হিসেবে নির্বাচন করেন।
নতুন এই ট্রফিটির উচ্চতা ৩৬ সেন্টিমিটার, ১৮-ক্যারট সোনা দিয়ে তৈরি ও ওজন
৬,১৭৫ গ্রাম। এর ভিত্তি দু’স্তরের মূল্যবান ম্যালাকাইট দিয়ে তৈরি। ভিত্তির
নিচের দিকে ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আজ পর্যন্ত সকল বিশ্বকাপজয়ীর নাম গ্রথিত করা
আছে। এই নতুন ট্রফি বিজয়ী দেশকে স্থায়ীভাবে আর দেয়া হয় না। তবে বিশ্বকাপ
বিজয়ীদল পরবর্তী বিশকাপ পর্যন্ত ট্রফিটি তাদের কাছে রাখতে পারবে। বিজয়ী দলকে
মূল ট্রফির পরিবর্তে সোনার প্রলেপ দেয়া নকল বিশ্বকাপ দেয়া হয়। ২০৩৮
খ্রিষ্টাব্দে এটির ভিত্তিতে নতুন বিজয়ী দলের নাম লেখার মত আর জায়গা থাকবে না।
তখন এ ট্রফিটি হয়তো বাদ দেয়া হবে।
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলসমূহ
২০১০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিজয়ী দেশ ব্রাজিল। এদের জয়ের সংখ্যা ৫টি। দ্বিতীয় স্থানে আছে ইতালি ৪ বার। এছাড়া আর্জেন্টিনা, জার্মানি (পশ্চিম জার্মানি হিসেবে), ট্রফিটি দু’বার করে জিতেছে। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন জয় করেছে একবার করে।
এক নজরে পুরুষ বিশ্বকাপের বিজয়ী, ফলাফল
বছর | আয়োজক | ফাইনাল | তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
বিজয়ী | ফলাফল | দ্বিতীয় স্থান | তৃতীয় স্থান | ফলাফল | চতুর্থ স্থান | ||||
১৯৩০ বিস্তারিত |
উরুগুয়ে | উরুগুয়ে | ৪–২ | আর্জেন্টিনা | যুক্তরাষ্ট্র যুগোস্লাভিয়া |
||||
১৯৩৪ বিস্তারিত |
ইতালি | ইতালি |
২–১ অতিরিক্ত সময়ে |
চেকোস্লোভাকিয়া |
জার্মানি |
৩–২ | অস্ট্রিয়া |
||
১৯৩৮ বিস্তারিত |
ফ্রান্স | ইতালি |
৪–২ | হাঙ্গেরি |
ব্রাজিল |
৪–২ | সুইডেন |
||
১৯৫০ বিস্তারিত |
ব্রাজিল | উরুগুয়ে |
ব্রাজিল |
সুইডেন |
স্পেন |
||||
১৯৫৪ বিস্তারিত |
সুইজারল্যান্ড | পশ্চিম জার্মানি |
৩–২ | হাঙ্গেরি |
অস্ট্রিয়া |
৩–১ | উরুগুয়ে |
||
১৯৫৮ বিস্তারিত |
সুইডেন | ব্রাজিল |
৫–২ | সুইডেন |
ফ্রান্স |
৬–৩ | পশ্চিম জার্মানি |
||
১৯৬২ বিস্তারিত |
চিলি | ব্রাজিল |
৩–১ | চেকোস্লোভাকিয়া |
চিলি |
১–০ | যুগোস্লাভিয়া |
||
১৯৬৬ বিস্তারিত |
ইংল্যান্ড | ইংল্যান্ড |
৪–২ | পশ্চিম জার্মানি |
পর্তুগাল |
২–১ | সোভিয়েত ইউনিয়ন |
||
১৯৭০ বিস্তারিত |
মেক্সিকো | ব্রাজিল |
৪–১ | ইতালি |
পশ্চিম জার্মানি |
১–০ | উরুগুয়ে |
||
১৯৭৪ বিস্তারিত |
জার্মানি | পশ্চিম জার্মানি |
২–১ | নেদারল্যান্ড |
পোল্যান্ড |
১–০ | ব্রাজিল |
||
১৯৭৮ বিস্তারিত |
আর্জেন্টিনা | আর্জেন্টিনা | ৩–১ | নেদারল্যান্ড | ব্রাজিল | ২–১ | ইতালি | ||
১৯৮২ বিস্তারিত |
স্পেন | ইতালি | ৩–১ | পশ্চিম জার্মানি | পোল্যান্ড | ৩–২ | ফ্রান্স | ||
১৯৮৬ বিস্তারিত |
মেক্সিকো | আর্জেন্টিনা |
৩–২ | পশ্চিম জার্মানি |
ফ্রান্স |
৪–২ | বেলজিয়াম |
||
১৯৯০ বিস্তারিত |
ইতালি | পশ্চিম জার্মানি |
১–০ | আর্জেন্টিনা |
ইতালি |
২–১ | ইংল্যান্ড |
||
১৯৯৪ বিস্তারিত |
যুক্তরাষ্ট্র | ব্রাজিল |
৩–২ টাইব্রেকারে |
ইতালি |
সুইডেন |
৪–০ | বুলগেরিয়া |
||
১৯৯৮ বিস্তারিত |
ফ্রান্স | ফ্রান্স |
৩–০ | ব্রাজিল |
ক্রোয়েশিয়া |
২–১ | নেদারল্যান্ড |
||
২০০২ বিস্তারিত |
দক্ষিণ
কোরিয়া ও জাপান |
ব্রাজিল |
২–০ | জার্মানি |
তুরস্ক |
৩–২ | দক্ষিণ কোরিয়া |
||
২০০৬ বিস্তারিত |
জার্মানি | ইতালি |
১–১ অতিরিক্ত সময়ে (৫–৩) টাইব্রেকারে |
ফ্রান্স |
জার্মানি |
৩–১ | পর্তুগাল |
||
২০১০ বিস্তারিত |
দক্ষিণ আফ্রিকা | স্পেন |
১–০ অতিরিক্ত সময়ে |
নেদারল্যান্ড | জার্মানি | ৩–২ | উরুগুয়ে | ||
২০১৪ বিস্তারিত
|
ব্রাজিল
|
জার্মানি |
১–০ অতিরিক্ত সময়ে |
আর্জেন্টিনা
|
নেদারল্যান্ড | ৩–০ | ব্রাজিল | ||
২০১৮ বিস্তারিত |
রাশিয়া |