নেমাটোডা
nematoda
প্রাণিজগতের
প্রোটোস্টোমিয়া
নামক থাকের অন্তর্গত
একটি বিশেষ পর্ব বিশেষ।
[গ্রিক শব্দ
Nema অর্থ
Thread
তথা সুতা
এবং
Eidos
অর্ধ Form
তথা আকার।
সুতার মতো আকার এই অর্থে এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছে।
১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দে
Diesing
এই
পর্বের
নামকরণ করেছিলেন।
এদের দেহ
দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম ও নলাকার।
দেহের অগ্র ও পশ্চাৎ প্রান্ত সুচালো।
দেহ পুরু
কিউটিকল দ্বারা আবৃত। দেহগহ্বর আছে। তবে তা মেসোডার্মে দ্বারা আবৃত থাকে না। তাই এই
আবরণকে সুডোসিলোম বলা হয়।
এই পর্বের
প্রজাতিগুলোর সম্পূর্ণ পৌষ্টিক তন্ত্র এবং পায়ুপথ। পৌষ্টিকতন্ত্রে
পেশীময় গলবিল এবং
পরিপাকের সহাহক
গ্রন্থি আছে।
তবে
মূল পৌষ্টিক নালী
বেশ সোজা এবং শাখাবিহীন। এই নালী মুখ থেকে পায়ু পর্যন্ত বিস্তৃত।
এদের দেহে
বৃত্তাকার স্নায়ু-অঙ্গুলি
লক্ষ্য করা যায়।
কিছু স্নায়ু কোষ লম্বালম্বিভাবে
অবস্থান করে এবং এইভাবে
স্নায়ুরজ্জু
তৈরি করে।
এদের দেহে
সংবহনতন্ত্র ও শ্বসনতন্ত্র অনুপস্থিত।
এরা একলিঙ্গক
প্রাণী।
একই বয়সের পুরুষেরা স্ত্রীদের চেয়ে
আকারে
ছোট হয়। প্রজনন অঙ্গ একটি বা
দুটি থাকে। পুরুষ প্রজনন নালিকা
অবসারণীতে
উন্মুক্ত
হয়।
কিন্তু স্ত্রী প্রজনন নালিকা নিজস্ব ছিদ্র পথে উন্মুক্ত।
বসবাসের বিচারে স্থলজ বা জলজ হয়ে থাকে। তবে
এই পর্বের
অধিকাংশই পরজীবী। এই পর্বের উল্লেখযোগ্য প্রাণীর মধ্যে
রয়েছে গোল
কৃমি বা কেঁচো কৃমি, হুকওয়ারম, চোখের কৃমি।
ক্রমবিবর্তনের ধারা
৫৪.১ কোটি
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে
এক্ডাইসোজোয়া
থাকের উদ্ভব
হয়েছিল।
এই থাক থেকে
৫৪.১
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের
দিকে
নেমাটোইডা
থাকের উদ্ভব হয়েছিল। পরে
এই
থাকটি দুটি পর্বে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই পর্ব দুটি হলো- নেমাটোডা
ও নেমাটোমোর্ফা।
৫৪.১-৫৩
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের
ভিতরে নেমাটোডা
পর্বটি চারটি শ্রেণিতে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই শ্রেণিগুলো হলো- ক্রোমাডোরিয়া,
এনোপ্লিয়া, সেসের্নেন্টিয়া এবং ডোরিলাইমিয়া।