ভাষাংশ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনাসংগ্রহের সূচি


কড়ি ও কোমল

গ্রন্থ পরিচিতি

উৎসর্গ
শ্রীযুক্ত সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর
দাদা মহাশয়
করকমলেষু


সূচি
কবির মন্তব্য
প্রাণ | পুরাতন  | নূতন | উপকথা | যোগিয়া | কাঙালিনী | ভবিষ্যতের রঙ্গভূমি | মথুরায় | নের ছায়া | কোথায় | শান্তি | পাষাণী মা | হৃদয়ের ভাষা | পত্র | বিরহীর পত্র | মঙ্গলগীত | খেলা | বসন্ত-অবসান | বাঁশি | বিরহ | বাকি | বিলাপ | সারাবেলা | আকাঙ্ক্ষা | তুমি | গান | ছোটো ফুল | যৌবন-স্বপ্ন | ক্ষণিক মিলন | গীতোচ্ছ্বাস | স্তন | চুম্বন | বিবসনা | বাহু | চরণ | হৃদয়-আকাশ | অঞ্চলের বাতাস | দেহের মিলন | তনু | স্মৃতি | হৃদয়-আসন | কল্পনার সাথি | হাসি | নিদ্রিতার চিত্র | কল্পনামধুপ | পূর্ণ মিলন | বন্দী | কেন | মোহ | পবিত্র প্রেম | পবিত্র জীবন | মরীচিক | গান-রচনা | সন্ধ্যার বিদায় | রাত্রি | বৈতরণী | মানবহৃদয়ের বাসনা | সিন্ধুগর্ভ | ক্ষুদ্র অনন্ত | সমুদ্র | অস্তমান রবি | অস্তাচলের পরপারে | প্রত্যাশা | স্বপ্নরুদ্ধ | অক্ষমতা | জাগিবার চেষ্টা | কবির অহংকার | বিজনে | সিন্ধুতীরে | সত্য | আত্মাভিমান | আত্ম-অপমান | ক্ষুদ্র আমি | প্রার্থনা | বাসনার ফাঁদ | চিরদিন | বঙ্গভূমির |  প্রতি | বঙ্গবাসীর প্রতি | আহ্বানগীত | শেষ কথা |
সংযোজন : শরতের শুকতার
| পত্র | পত্র | জন্মতিথির উপহার | চিঠি | পত্র


 

বিশ্বভারতী কর্তৃক প্রকাশিত রবীন্দ্ররচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ডের (শ্রাবণ ১৩৯১) গ্রন্থ পরিচয় অংশে লিখিত এই গ্রন্থ সম্পর্কিত পাঠ।

গ্রন্থপরিচয়
কড়ি ও কোমল

 

    'কড়ি ও কোমল'  আশুতোষ চৌধুরী মহাশয়-কর্তৃক সম্পাদিত হইয়া ১২৯৩ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। আশুতোষ চৌধুরী এই কবিতাগুলি 'যথোচিত পর্যায়ে সাজাইয়া' প্রকাশ করিয়াছিলেন।
   
'তাঁহারই' পরে প্রকাশের ভার দেওয়া হইয়াছিল। "মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে"চতুর্দশপদী কবিতাটি তিনিই গ্রন্থের প্রথমেই [গ্রন্থারম্ভের পূর্বে প্রবেশকরূপে] বসাইয়া দিলেন। তাঁহার মতে এই কবিতাটির মধ্যেই সমস্ত গ্রন্থের মর্মকথাটি আছে।'
                                                                                              
জীবনস্মৃতি

    জীবনস্মৃতিতে 'শ্রীযুক্ত আশুতোষ চৌধুরী' ও 'কড়ি ও কোমল' অধ্যায় দুইটিতে কবি 'কড়ি ও কোমল' সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করিয়াছেন। সঞ্চয়িতার ভূমিকায় 'কড়ি ও কোমল' সম্বন্ধে তিনি মন্তব্য করিয়াছেন
    '
কড়ি ও কোমলে অনেক ত্যাজ্য জিনিস আছে, কিন্তু সেই পর্বে আমার কাব্য-ভূসংস্থানে ডাঙা জেগে উঠতে আরম্ভ করেছে।'
                                                                                         
সঞ্চয়িতা, পৌষ ১৩৩৮

    'কড়ি ও কোমল' এর বর্তমান ভূমিকাটি রচনাবলী সংস্করণের জন্য নূতন লিখিত।
    'কড়ি ও কোমল' এর প্রথম সংস্করণে মুদ্রিত নিম্নোক্ত কবিতাগুলি পরবর্তীকালে এই গ্রন্থ হইতে বর্জিত হইয়াছে। তন্মধ্যে প্রথম চারটি কবিতা শ্রীমতী ইন্দিরা দেবীকে পত্ররূপে লিখিত হইয়াছিল।

            পত্র: মাগো আমার লক্ষ্মী
            পত্র: বসে বসে লিখলেম চিঠি
            জন্মতিথির উপহার: একটি কাঠের বাক্স: স্নেহ উপহার এনেছি রে
            চিঠি: চিঠি লিখব কথা ছিল
            শরতের শুকতারা: একাদশী রজনী পোহায় ধীরে ধীরে
            কো তুঁহু: কো তুঁহু বোলবি মোয়
            পত্র: দামু বোস আর চামু বোসে কাগজ বেনিয়েছে

    উল্লিখিত কবিতাগুলির মধ্যে 'কো তুঁহু' পরে 'ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী'তে সংকলিত হইয়াছে, এ কথা পূর্বেই উল্লেখ করা হইয়াছে। 'পত্র' (মা গো আমার লক্ষ্মী ইত্যাদি), 'জন্মতিথির উপহার', 'চিঠি' ও 'শরতের শুকতারা' 'শিশু' গ্রন্থে পরিবর্তিত আকারে 'বিচ্ছেদ', 'উপহার', 'পরিচয়' ও 'অস্তসখী' নামে সংকলিত। পূর্বোল্লিখিত কয়েকটি কবিতা ব্যতীত, প্রথম সংস্করণের অন্য কবিতাগুলি বর্তমানে প্রচলিত স্বতন্ত্র সংস্করণের অন্তর্গত আছে।
    বর্তমান স্বতন্ত্র সংস্করণের কয়েকটি কবিতা রচনাবলী-সংস্করণ 'কড়ি ও কোমল' হইতে পরিত্যক্ত হইল, সেগুলি অন্য গ্রন্থের অঙ্গীভূত করিয়া সংকলিত।
    'বিদেশী ফুলের গুচ্ছ' শীর্ষক কবিতাগুলি (এবং ইহার পূর্ব ও পরবর্তী কালে রচিত অনুবাদ-কবিতাগুলি) রচনাবলীতে একটি স্বতন্ত্র অনুবাদ-বিভাগে সংকলিত হইবে।
    নিম্নলিখিত কবিতাগুলি পরবর্তীকালে শিশু গ্রন্থেও মুদ্রিত হইয়াছিল, বর্তমানেও মূদ্রিত আছে। রচনাবলীতে সেগুলি 'কড়ি ও কোমল' হইতে বর্জিত কিন্তু রচনাবলীর পরবর্তী নবম খণ্ডে 'শিশু'রই অঙ্গীভূত রহিয়াছে।
            বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর: দিনের আলো নিবে এল
            সাত ভাই চম্পা: সাতটি চাঁপা সাতটি গাছে
            পুরানো বট: লুটিয়ে পড়ে জটিল জটা
            হাসিরাশি: নাম রেখেছি বাবলারানী
            মা লক্ষ্মী: কার পানে মা, চেয়ে আছ
            আকুল আহ্বান: অভিমান করে কোথায় গেলি
            মায়ের আশা: ফুলের দিনে সে যে চলে গেল
            পাখির পালক: খেলাধুলো সব রহিল পড়িয়া
            আশীর্বাদ: ইহাদের করো আশীর্বাদ

    এই প্রসঙ্গে বলা আবশ্যক যে, উল্লিখিত কবিতাগুলি ব্যতীত 'কড়ি ও কোমল' এর আরো কতকগুলি কবিতা 'শিশু'তে সংকলিত। রচনাবলী যেগুলি 'কড়ি ও কোমল' এরই অন্তর্‌ভুক্ত রাখা হইল, রচনাবলী-সংস্করণ 'শিশু' হইতে সেগুলি পরিত্যক্ত হইল।
   
'বিদায় করেছ যারে নয়নজলে' এই গানটি 'মায়ার খেলা'তে মুদ্রিত হইয়াছে বলিয়া রচনাবলীতে 'কড়ি ও কোমল' হইতে পরিত্যক্ত হইল।