এ্যাভালোনিয়া
Avalonia
প্রাচীন পৃথিবীর
একটি ক্ষুদ্র মহাদেশ।

প্যালোজোয়িক যুগে (৫৪.১-২৫.১৯০২ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) এই ক্ষুদ্র মহাদেশটির সৃষ্টি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। মূলত গোণ্ড্‌ওয়ানা মহা-মহাদেশের প্রান্তীয় অংশে আগ্নেয়গিরির সূত্রে এই এ্যাভালোনিয়ার ভিত্তি তৈরি হয়েছিল। প্রায় ৭৩ কোটি খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৫৭ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে মহাদেশীয় পাত সঞ্চালনের সূত্রে ধীরে ধীরে সাগর তল থেকে এ্যাভালোনিয়া মহাদেশ জেগে উঠে।

৫০ কোটি ৪০ লক্ষ বৎসর খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে প্যান্নোশিয়া মহা-মহাদেশ ভেঙে যায় এবং ভূখণ্ডগুলো নতুনভাবে সজ্জিত হয়ে চারটি প্রধান মহা-মহাদেশে পরিণত হয়। এই মহাদেশগুলো হলো লাউরেনশিয়া, বাল্টিকা, সাইবেরিয়া (Siberia) এবং গোণ্ড্‌ওয়ানা (Gondwana)। এই সময় এ্যাভালোনিয়া ক্ষুদ্র মহাদেশটি গোণ্ড্‌ওয়ানা থেকে উত্তরদিকে সরে যেতে থাকে। এই সময় এই মহাদেশের ভিতরে ছিল কানাডা এবং পশ্চিম ইউরোপ।

ওর্ডোভিসিয়ান অধিযুগের ৪৬-৪৫.৮ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এ্যাভালোনিয়া মহাদেশ এবং  গোণ্ড্‌ওয়ানা মহা-মহাদেশের ভিতরে বেশ বড় ব্যবধানের সৃষ্টি হয়েছিল। আর ৪১ কোটি ৮০ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে লাউরেনশিয়া, বাল্টিকা এবং এ্যাভালোনিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ হয়।  এই সংঘর্ষের ফলে এই সংঘর্ষের ফলে স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ওয়েল্‌স্, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশসমূহে (সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে) ক্যালিডোনীয় গিরিজনি সৃষ্টি হয়েছিল।

এই সংঘর্ষের সূত্রে এ্যাভালোনিয়া নতুন ভৌগোলিক রূপ পেয়েছিল। বর্তমান কালের ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চল, বেলজিয়ামের আর্ডেনেস, ইংল্যান্ড, ওয়েলস্, আয়ারল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, কানাডার নিউফাউল্যান্ড, নোভা স্কোটিয়া, নিউ ব্রুনসউইক এবং নিউ ইংল্যান্ডের উপকূলীয় অংশের আদি রূপ লাভ করেছিল।


সূত্র: