ক্যালিডোনিয়ান গিরিজনি
Caledonian orogeny

ক্যালিডোনিয়ান পর্বতমালার ঘটনাকে ক্যালিডোনীয় গিরিজনি বলা হয়। ভূবিদ্যায় উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের উত্তর ও পূর্ব-দক্ষিণে প্রসারিত পর্বতমালাকে ক্যালিডোনীয় পর্বতমালা বলা হয়।

এই পর্বতমালার খণ্ডগুলো ছড়িয়ে আছে
স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ওয়েল্‌স্, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশসমূহে (সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে) এবং পূর্ব-উত্তর আমেরিকা জুড়ে। এদের ভিতরে
 পূর্ব-উত্তর আমেরিকার পর্বতমালাকে বলা হয় এ্যাপ্পালশিয়ান। বিশেষ করে কানাডার নিউফাউল্যান্ডের পর্বতমালাকে এই শ্রেণিতে ফেলা হয়।

ক্যালাডিয়ান পরব্তমালাকে কয়েকটি অংশে ভাগ করা হয়। এই ভাগগুলো হলো-

১. ব্রিটিশ আইরিশ। এর ভিতরে রয়েছে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ওয়েল্‌স্ এবং ব্রিটেনের উত্তরাঞ্চল।
২.
স্ক্যান্ডিনেভিয়া। এর ভিতরে রয়েছে নরওয়ে ও সুইডেন
৩. পূর্ব-গ্রীনল্যান্ড। এর ভিতরে রয়েছে গ্রিনল্যান্ডের পূর্বাঞ্চল
৪. স্ভালভার্ড: নরওয়ের দীপাঞ্চল

সিলুরিয়ান অধিযুগের (৪৪.৩৮-৪১.৬ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) শুরুতে গোণ্ড্‌ওয়ানা মহা-মহাদেশ ছিল বিষুবরেখা এবং দক্ষিণ গোলার্ধ জুড়ে। এই মহামহাদেশ দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে দক্ষিণ মেরুর দিকে একটি বিশাল ভূখণ্ডের সৃষ্টি করেছিল। ফলে উত্তর মেরুর দিকে সৃষ্টি হয়েছিল বিশাল মহাসাগর। এই সময় গোণ্ড্‌ওয়ানা মহা-মহাদেশ
ছোট-বড় বেশ কিছু ভূখণ্ড ছিল। এর ভিতরে উল্লেখযোগ্য তিনটি ভূখণ্ডকে বিজ্ঞানীর মহাদেশ আখ্যা দিয়ে থাকেন। এই তিনটি মহাদেশ হলো-

সিলুরিয়ান অধিযুগের ৪১ কোটি ৮০ লক্ষ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে লাউরেশিয়া, বাল্টিক ঢাল-ভূখণ্ড এবং এ্যাভোলিনিয়া ক্রেটনের ভিতরে সংঘর্ষ হয়েছিল এবং এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছিল ইউরোমেরিকা মহামহাদেশ। এই সংঘর্ষের ফলে উৎপন্ন হয়েছিল স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ওয়েল্‌স্, সুইডেন, নরওয়ের জুড়ে ক্যালিডোনিয়ান পর্বতমালার সৃষ্টি হয়েছিল।


সূত্র: