পৃথিবীর ভূসংস্থানের পরিবর্তনের পাশাপাশি এই অধিযুগে এ্যান্ডিয়ান-সাহারান বরফযুগের কারণে পৃথিবীতে শীতল অবস্থা বিরাজ করছিল। এর ফলে বহু জলজ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল আবার নানা ধরনের নতুন জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের আবির্ভাব হয়েছিল। এছাড়া আগের ওর্ডোভিসিয়ান অধিযুগের শেষের দিকে সাগরের পানিতে প্রবালকীটের জন্ম হয়েছিল। এই অধিযুগের শুরু থেকেই প্রবালকীটের মাধ্যমে সাগরতলে প্রবালপ্রাচীরের সূচনা হয়েছিল।
 |
|
প্লাকোডার্মি |
এই
পরিবেশে সাগরের জলে
গ্ন্যাথোস্টোমাটা
মৎস্য জাতীয়
প্রাণী থেকে প্লাকোডার্মি
(Placodermi)
জাতীয় মাছের উদ্ভব হয়। এই মাছের মাথা ও দেহকাণ্ড সংযোজক অংশ বর্মাবৃত
ছিল। এর কাছাকাছি সময়ে
গ্ন্যাথোস্টোমাটা অধপর্ব থেক উদ্ভব হয় অস্থি এবং তরুণাস্থির সমন্বয়ে মৎস্য।
১৮৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজ বিজ্ঞানী ওয়েন এর নাম দিয়েছিলেন- এ্যাকান্থোডি
(Acanthodii)।
বর্তমানে একে
গ্ন্যাথোস্টোমাটা অধপর্বের একটি শ্রেণি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
৪১.৮
কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ: বিচ্ছিন্ন দশায় লাউরেনশিয়া,
বাল্টিকা এবং
এ্যাভালোনিয়া
কাছাকাছি চলে আসে এবং সরু প্রণালীযুক্ত একটি বিশাল মহামহাদেশে সৃষ্টি করে।
বিজ্ঞানীরা এই দশাটির নাম
দিয়েছেন ওল্ডেরিয়া মহা-মহাদেশ।
সংঘর্ষ হয় এবং এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছিল ইউরোমেরিকা মহামহাদেশ। এই সংঘর্ষের ফলে স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ওয়েল্স্, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশসমূহে (সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে) ক্যালিডোনীয় গিরিজনি সৃষ্টি হয়েছিল।
এই সময় ফিলিপাইন দ্বীপুপঞ্জ উত্তর মেরুর দিকে ছিল। এ ছাড়া দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকা ছিল দক্ষিণ মেরু বরাবর। আর কর্কটক্রান্তিতে উত্থিত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চল। এই সময় ভূখণ্ডগুলো একটি অস্থায়ী দশায় পৌঁছায়।
এই সময়ে সারকোপ্টেরিজাই শ্রেণির মৎস্য থেকে উদ্ভব হয়েছিল হৃপিডিস্টিয়া (Rhipidistia) জাতীয় মৎস্য।