ভরদ্বাজ ও রৈভ্য নামক ঋষির ভিতর প্রগাঢ় বন্ধুত্ব ছিল। ভরদ্বাজের পুত্র যবক্রীত রৈভ্যের পুত্রবধুর সতীত্ব নষ্ট করার চেষ্টা করলে, রৈভ্য যবক্রীতকে হত্যা করেন। ভরদ্বাজ পুত্রের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে রৈভ্যকে অভিশাপ দিয়ে, আগুনে আত্মহত্যা করেন। ভরদ্বাজের অভিশাপে রৈভ্যের মৃত্যু হয়। পরে রৈভ্যের পুত্র অর্বাবসু তপস্যার দ্বারা ভরদ্বাজ, রৈভ্য ও যবক্রীতের পুনর্জীবন লাভ করাতে সমর্থ হন। ভরদ্বাজ পুনর্জীবন লাভের পর রোগমুক্তির উপায় জানার জন্য দেবলোকে গিয়ে ইন্দ্রের কাছে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। পরে পৃথিবীতে ফিরে অন্যান্য ঋষিদের আয়ুর্বেদ শিক্ষা দেন। মহাভারতের মতে- ইনি হরিদ্বারে বসবাস করতেন। রামায়ণে দেখা যায়- ইনি সীতাকে সম্বর্ধনা দিয়েছিলেন।