দ্রুপদ
বানান্ বিশ্লেষণ: দ্+র্+উ+প্+অ+দ্+অ
উচ্চারণ:
d̪ru.pɔd̪
(দ্রুপদ)
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত
দ্রুপদ>
বাংলা
দ্রুপদ
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{ক্ষত্রিয় |
হিন্দু পৌরাণিক মানব |
হিন্দু পৌরাণিক সত্তা |
ভারতীয় পৌরাণিক সত্তা |
পৌরাণিক সত্তা |
অতিপ্রাকৃতিক সত্তা |
কাল্পনিক সত্তা |
কল্পনা |
সৃজনশীলতা |
কর্মক্ষমতা |
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা |
বিমূর্তন |
বিমূর্ত-সত্তা |
সত্তা |
}
অর্থ:
হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র। এঁর পিতা ছিলেন রাজা
পৃষত।
পৃষতের সাথে
ভরদ্বাজ
মুনির বন্ধুত্ব ছিল।
সেই সূত্রে দ্রুপদ
প্রতিদিনই
ভরদ্বাজের
আশ্রমে যেতেন।
এর ফলে ভরদ্বাজের পুত্র
দ্রোণের সাথে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।
পৃষতের মৃত্যুর পর
দ্রুপদ রাজা হন।
দ্রোণ পশুরামের কাছ
থেকে অস্ত্র শিক্ষা শেষে,
দ্রুপদের রাজদরবারে আসেন।
ইনি দ্রুপদকে সখা
সম্বোধন করায়,
দ্রুপদ দ্রোণকে অপমান করেন।
এই কারণে দ্রোণ
প্রতিশোধ গ্রহণের তীব্র ইচ্ছা নিয়ে দরবার ত্যাগ করেন।
দ্রোণ কৌরব-পাণ্ডবদের
অস্ত্র শিক্ষা শেষে গুরু দক্ষিণা হিসাবে দ্রুপদকে বন্দী করে আনার কথা বললে,
এঁরা দ্রুপদের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ ঘোষণা করেন এবং অর্জুন দ্রুপদকে বন্দী করে দ্রোণের কাছে নিয়ে আসেন।
পরে পূর্বের কথা স্মরণ
করিয়ে দিয়ে,
দ্রোণ নিজের জন্য অর্ধেক
রাজত্ব রেখে বাকী অর্ধেক রাজত্ব দ্রুপদকে দান করেন।
এরপর দ্রুপদ এই অপমানের
প্রতিশোধ গ্রহণের উপায় খুঁজতে লাগলেন।
ইনি ভাগীরথী নদীর তীরে
ভ্রমণ করতে করতে যাজ ও উপযাজ নামক দুই জন ঋষির দেখা পান।
দ্রোণকে হত্যা করতে
পারে এমন পুত্র লাভের জন্য,
পুত্রেষ্টি যজ্ঞ করার উদ্দেশ্যে
ইনি যাজকে রাজী করান।
যজ্ঞ শেষে ইনি যজ্ঞ থেকে
ধৃষ্টদ্যুম্ন নামক পুত্র ও দ্রৌপদী নামক কন্যা লাভ করেন।
দ্রৌপদী জন্ম থেকেই
যুবতী ছিলেন বলে,
দ্রুপদ অচিরেই এক স্বয়ংবর সভার
মাধ্যমে দ্রৌপদীর বিবাহের আয়োজন করেন।
উক্ত সভার শর্ত পূরণ করে,
অর্জুন দ্রৌপদীকে লাভ
করেন।
পরে ঘটনাক্রমে দ্রৌপদীর সাথে
পঞ্চপাণ্ডবের বিবাহ স্থির হলে,
তিনি তা অনুমোদন করেন।