পুলোমা
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
|
হিন্দু
পৌরাণিক সত্তা
|
ভারতীয় পৌরাণিক সত্তা |
পৌরাণিক সত্তা |
কাল্পনিক সত্তা |
কল্পনা |
সৃজনশীলতা |
কর্মক্ষমতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি
একই নামে তিনটি চরিত্র পাওয়া যায়।
১.
ঋষি ও প্রজাপতি ভৃগুর পত্নী।
ভৃগুর স্ত্রী হওয়ার পূর্বে পুলোমা নামক এক রাক্ষস এঁকে বিবাহ করার জন্য প্রস্তাব
পাঠান।
কিন্তু পুলোমা'র
পিতা রাক্ষস-পুলোমার হাতে কন্যাকে সমর্পণ না করে ভৃগুর সাথে বিবাহ দেন।
ফলে রাক্ষস ভৃগুপত্নীকে অপহরণের সুযোগ খুঁজতে থাকেন।
একবার গর্ভবতী পুলোমাকে ঘরে রেখে ভৃগু স্নানে যান।
ভৃগু যাবার সময় ঘরের অধিষ্ঠিত অগ্নি উপর স্ত্রীর রক্ষাভার দিয়ে যান।
এই সুযোগে রাক্ষস পুলোমা ভৃগুপত্নীকে অপহরণ করতে আসেন।
ইনি অগ্নির কাছে প্রশ্ন করেন যে,
পূর্বে আমি এই
কন্যাকে স্ত্রী হিসাবে পাওয়ার জন্য মনে মনে বরণ করেছিলাম।
এরপর
ভৃগু একে স্ত্রী হিসাবে লাভ করেন।
আইনত পুলোমা (ভৃগুপত্নী) তাঁরই স্ত্রী হওয়া উচিৎ।
উত্তরে
অগ্নি
বলেন যে,–
যেহেতু
মন্ত্রপাঠ করে তুমি তাঁকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ কর নি তাই সে তোমার স্ত্রী নয়।
এরপর রাক্ষস বরাহরূপ ধারণ করে,
ভৃগুপত্নীকে
অপহরণ করে রওনা হন।
কিন্তু পথিমধ্যে
ভৃগুপত্নী'র
গর্ভস্থ সন্তান
চ্যাবন ভূমিষ্ট হয় এবং
চ্যাবনেরর তেজে এই রাক্ষস ভস্মীভূত হয়।
[মহাভারত,
আদিপর্ব,
পঞ্চম-সপ্তম অধ্যায়।
]
২. দানব বিশেষ। ইনি ছিলেন দনুর পুত্র এবং ইন্দ্র-পত্নী শচীর পিতা। রাবণ স্বর্গ আক্রমণকালে ইন্দ্রজিৎ সাথে ইন্দ্র ও ইন্দ্রের পুত্রের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে- পুলোমা পৌত্র জয়ন্তকে নিয়ে পালিয়ে যান। অনুহ্লাদ পুলোমা-কন্যা শচীকে অপহরণকালে পুলোমা অনুমতি দিয়েছিল। পরে ইন্দ্র পুলোমা এবং অনুহ্লাদকে হত্যা করেন।
৩. কশ্যপ-এর স্ত্রী ও বৈশ্বানরের কন্যা।