অর্থ 
বানান বিশ্লেষণ:অ+র্+থ্+অ
উচ্চারণ: 
ɔrt̪.t̪ʰo
[অর্ত্.থো]
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত অর্থ>
বাংলা অর্থ
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:  
√
	
	অর্থি
	{√
	
	অর্থ
		(বিবেচনা করা) +
	ই (ণিচ)}+
	অ (অ),
	ভাববাচ্য । 
	
	
	
	√
	
	ঋ
		(প্রার্থনা করা) +
		থ (থন্),
		কর্মবাচ্য। 
 
	
 পদ:
বিশেষ্য 
	-  ১.১.
 
	ঊর্ধ্বক্রমবাচক শব্দ
	{| 
	বার্তা | 
	যোগাযোগ |
	বিমূর্তন |
	বিমূর্ত-সত্তা | 
	সত্তা|}
 অর্থ: কোনো সঙ্কেতের বিষয় সম্পর্কে যা দ্বারা জানা যায় বা জানানো যায়। ভাষার ক্ষেত্রে অর্থ শব্দটি 
		দ্বারা সমার্থক শব্দকেই বিশেষভাবে বুঝানো হয়। অনেক সময় একটি শব্দের দ্বারা 
		বিষয়কে প্রকাশ করা না গেলে, বাক্যের সাহায্যে বা বর্ণনা করে বুঝানো হয়। 
		ভাষা ছাড়া অন্যান্য সকল প্রতীকের অর্থ নানাভাবে বুঝার চেষ্টা করা হয়।
		- সমার্থক শব্দাবলি: অভিধেয়,  
	তাৎপর্য, মানে, চিহ্ন , বার্তা, তাত্ত্বিক ধারণা । 
- অধঃক্রমবাচক: { নির্দিষ্ট অর্থ, রূপক অর্থ, 
	নিহিতার্থ, স্পষ্ট অর্থ, বার্তা }
- অংশবাচক: {শব্দ, বাক্য,চিহ্ন, ধারণা }
- সমগ্রবাচক: {যোগাযোগ, বিমূর্ততা, বক্তব্য }
 
- বিপরীতার্থক শব্দ: অনর্থ  
 যৌগিক শব্দাবলি:
	
		- 
		 পূর্ব-পদ:  অর্থকৃত, অর্থকোবিদ, 
		অর্থগাম্ভীর্য্য, অর্থগৌরব, অর্থগ্রহ, অর্থন্যাস, অর্থপূর্ণ, অর্থপ্রদ, 
		অর্থবহ, অর্থবাদ, অর্থবিচার, অর্থবিৎ, অর্থবিদ, অর্থবোধ, অর্থভেদ, 
		অর্থশূন্য, অর্থসঙ্গতি, অর্থহানি, অর্থহীন, অর্থাগম, অর্থান্তর। 
- পরপদ: গৌরবার্থ,
			যথার্থ, সমার্থ, সম্মানার্থ।
 ইংরেজি
	meaning, 
		significance, signification, import
১.২. 
ঊর্ধ্বক্রমবাচক শব্দ
	{| অর্থ |
ধনসম্পদ | 
সম্পত্তি | 
	  অধিকার | 
	  সম্পর্ক | 
	  বিমূর্তন | 
	  বিমূর্ত সত্তা | 
	  সত্তা |
	
		-  
		 
		অর্থ:  যার দ্বারা ধনসম্পদ বা উপার্জনের মান
	 নিরূপিত হয়। 
 
		
			-  সমার্থক শব্দাবলি:
			মুদ্রা  ধন, 
			বিত্ত,  সম্পদ
	(ধনসম্পদের অবস্থাগত অনিশ্চিত পরিমাণ) 
-  অধঃক্রমবাচক: নগদ অর্থ, 
			কাগুজে টাকা, ধাতব মুদ্রা, বৈদ্যুতিন অর্থ, বৈদিশিক নুদ্রা, জাতীয় 
			মুদ্রা  
-  অংশবাচক: {একক মান (যেমন 
			১ টাকা), মুদ্রার ধরন, ধাতবমুদ্রা (সোনা, রূপা, তামা ইত্যাদি), কাগুজে 
			মুদ্রা, বৈদ্যুতিন মুদ্রা। অংশীভূত মুদ্রা (পয়সা, সেন্ট) } 
-  সমগ্রবাচক: {অর্থনীতি, 
			মুদ্রাব্যবস্থা, আর্থিক ব্যবস্থা, আর্থিক অবস্থা, বাণিজ্য, জাতীয় সম্পদ} 
 
-  
		বিপরীতার্থক: অনর্থ 
 
 যৌগিক শব্দাবলি: 
	-  
	পূর্ব-পদ: অর্থকর, অর্থকরী, অর্থকষ্ট, অর্থকামী, অর্থকৃচ্ছ্র, 
				অর্থগৃধ্ন, অর্থঘ্ন,  অর্থচিন্তা, 
				অর্থচেষ্টা,  অর্থজ, অর্থজাত , 
				অর্থতত্ত্ব, অর্থদণ্ড, অর্থনীতি, অর্থনীতিজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ, 
				অর্থনৈতিক, অর্থপর, অর্থপরায়ণ, অর্থপাল, অর্থপিপাসা, অর্থপিপাসু, 
				অর্থপিশাচ, অর্থপ্রদ, অর্থপ্রাপ্তি, অর্থবান, অর্থবিদ্যা, 
				অর্থবিনিয়োগ, অর্থবল, অর্থ-বিনিয়োগ, অর্থবিজ্ঞান, অর্থবিজ্ঞানী, 
				অর্থবৈকল্প, অর্থব্যয়, অর্থভাগ্য, অর্থভাণ্ডার, অর্থমন্ত্রক, 
				অর্থমন্ত্রণালয়,অর্থমন্ত্রী, অর্থলাভ, অর্থলালসা, অর্থলিপ্সা, 
				অর্থলিপ্সু, অর্থলোভ, অর্থশালী, অর্থশাস্ত্র, অর্থশূন্য, 
				অর্থশূন্যতা, অর্থসংগ্রহ, অর্থসংস্থান, অর্থসঙ্কট, অর্থসঞ্চয়, 
				অর্থসঞ্চয়ী, অর্থসচিব, অর্থসমস্যা, অর্থসম্পদ, অর্থসাহায্য, 
				অর্থসিদ্ধি, অর্থহানি, অর্থহীন, অর্থাগম।
১.২.হিন্দু ধর্ম মতে-
চতুবর্গের  (ধর্ম, অর্থ, মোক্ষ ও কাম) দ্বিতীয় বর্গ হলো অর্থ। 
এর ভিতর ধর্ম, অর্থ ও কামকে একত্রে বলা হয়-ত্রিবর্গ। এখানে অর্থ সম্পদ অর্থে নির্দেশিত হয়।
অর্থ: ২.
	√
	 
অর্থি
	{  
	√
	
	অর্থ
		(বিবেচনা করা) +
	ই (ণিচ)}
	ভাববাচ্য। 
	পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা 
{। অর্থ  |
		আকাঙ্ক্ষা
| 
	অভিজ্ঞা |
	মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা |
	বিমূর্তন | 
	বিমূর্ত সত্তা |
	সত্তা | }
অর্থ:  
২.১  
মানুষের ইচ্ছায় বা প্রয়োজনে যে ফললাভ হয় বা ফললাভের আকাঙ্ক্ষাকে পোষণ করে, সেটা জীবনের একটি বিশেষ মানকে  ধারণ করে। এই মান প্রচলিত মুদ্রা মানের দ্বারা নির্ধারিত হয় না।
 
	-  সমার্থক শব্দাবলী:
  যাচন, প্রার্থনা, অভিলাষ, ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা কামনা। যেমন- সিদ্ধার্থ [ যে ইচ্ছা 
সিদ্ধ (পূরণ) হয়েছে অর্থ (প্রার্থনা)]। 
	
		- অধঃক্রমবাচক: দারিদ্র্যজনিত প্রার্থনা, ভক্তিপূর্ণ প্রার্থনা
- অংশবাচক: আশা, কামনা, অভিলাষ, চাহিদা, উদ্দেশ্য
- সমগ্রবাচক: মানবিক আকাঙ্ক্ষা, মানসিক অবস্থা, মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা, 
পুরুষার্থ  (হিন্দু দর্শনের চার লক্ষ্য: 
ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ)  কখনও কখনও এখানে অর্থ = কামনা/লাভ।
 
- বিপরীতার্থক: অনর্থ 
 অর্থে:
 ২.২  
নিরূপিত মান। 
 
	-  সমার্থক শব্দাবলী:  
	 অর্থ, মান 
	-  অধঃক্রমবাচক: বৈধ,  যথাযথ, যথার্থ 
-  অংশবাচক: বৈধ, যথাযথ, যথার্থ
- সমগ্রবাচক: 
মানদণ্ড, মূল্যবোধ
 
- বিপরীতার্থক: অনর্থ 
যৌগিক শব্দাবলি:
	
 সূত্র:  
 
	 
	- চলন্তিকা। রাজশেখর বসু। এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ। 
	১৪০৮। 
- বঙ্গীয় শব্দকোষ (প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য 
	অকাদেমী। ২০০১।	 
- বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫। 
- বাংলা বানান চিন্তা (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। অধ্যাপক পি. 
	আচার্য। জুলাই ১৯৯৭। 
- বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন 
	দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০। 
- বাঙ্গালা শব্দকোষ। যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি। ভূর্জপত্র। 
	দোলযাত্রা ১৩৯৭।
- বাংলা একাডেমী সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান স্বরবর্ণ অংশ। আবু ইসহাক। 
	ফাল্গুন ১৪০৪/ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮।  
- ব্যাবহারিক বাংলা উচ্চারণ অভিধান। আনিসুজ্জামান, ওয়াহিদুল হক, জামিল 
	চৌধুরী, নরেন বিশ্বাস। জাতীয় গণমাধ্যম ইনসটিটিউট। ৮ ফাল্গুন ১৩৯৪ 
- শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০। 
- শব্দসঞ্চয়িতা। ডঃ অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়। নিউ সেন্ট্রাল বুক 
	এজেন্সি প্রাঃ লিমিটেড। ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৯৫।
- শব্দার্থ প্রকাশিকা। কেশবচন্দ্র রায় কর্মকার। দেব সাহিত্য কুটির। 
	মার্চ ২০০০। 
- সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২।
	
-  সরল বাঙ্গালা অভিধান
। সুবলচন্দ্র মিত্র।
	
	
	wordnet 2.1