প্রতিকণা
বানান বিশ্লেষণ: প্+র্+অ+ত্+ই+ক্+অ+ণ্+আ
উচ্চারণ:
[প্রো.তি.ক.না]
[pro.t̪i.kɔ.na]
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত উপসর্গ
प्रति (প্রতি)
+সংস্কৃত
कणा>বাংলা
প্রতিকণা।
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: উপসর্গ
প্রতি-√কণ্
(সংক্ষেপণ)
+অ
(অচ্),
কর্তৃবাচ্য
+আ
(টাপ্)
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{ |
হ্যাড্রোন |
মৌলিক কণা
|
অতি-পারমাণবিক কণা |
কায়া
|
এককঅংশ
|
দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু
|
দৈহিক
সত্তা
|
সত্তা
|}
ইংরেজি:
antiparticle।
অর্থ:
অতিপারমাণবিক কণা
কণার অন্তর্গত বিপরীতধর্মী মৌলিক কণা বিশেষ।
মূলত সমগ্র বিশ্বচরাচরে যে সকল বস্তু
দিয়ে, তাকে স্বাভাবিক ধর্মী বস্তু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই সকল বস্তু গঠিত হয়
স্বাভাবিক কণা দিয়ে। এই সকল কণার বিপরীত ধর্মী কিছু মৌলিক কণা দিয়ে তৈরি হয়
প্রতিবস্তু। স্বাভাবিক বস্তুর পরমাণুতে থাকে ঋণাত্বক
ইলেক্ট্রন ও ধনাত্মক
প্রোটন।
এই রকম একটি
ইলেক্ট্রন
ও একটি
প্রোটন দিয়ে তৈরি হয়
স্বাভাবিক
হাইড্রোজেন। কিন্তু
প্রতিবস্তুতে থাকে ধনাত্মক
ইলেক্ট্রন ও
ঋণাত্বক প্রোটন।
এই বিপরীত ধর্মী কণার দ্বারা সৃষ্টি হয় প্রতিবস্তু। এই নিয়মে
ধনাত্মক
ইলেক্ট্রন ও
ঋণাত্বক প্রোটন
দিয়ে তৈরি হয়ে প্রতি-হাইড্রোজেন।
প্রকৃতিতে স্বাভাবিক কণা এবং প্রতিকণা এক সাথে থাকতে পারে না। এরা পরস্পরের সংস্পর্শে এলে বিস্ফোরণের দ্বারা ধ্বংস হয়ে যায় এবং ফোটন কণার সৃষ্টি করে।