• উদ্ভিদের ধরন: এই গোত্রের অধিকাংশ উদ্ভিদই চিরহরিৎ বা পর্ণমোচী বৃক্ষ। এদের কাণ্ড বেশ মজবুত এবং শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত থাকে।
• আঠালো রস: এদের কাণ্ড, পাতা এবং ফলের খোসায় বিশেষ ধরনের আঠালো বা রেজিনযুক্ত রস থাকে। এদের কাণ্ড, পাতা এবং ফলে সুবিন্যস্ত রেজিন নালী থাকে। এই নালী থেকে এক ধরনের আঠালো এবং সুগন্ধি রস নির্গত হয়। এদের অনেক উদ্ভিদে 'ইউরুশিওল'   নামক রাসায়নিক থাকে, যা মানুষের ত্বকে অ্যালার্জি বা চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে (যেমন: কাজুবাদামের খোসার রস)।
• পাতা: এদের পাতা একান্তরভাবে সজ্জিত থাকে। পাতা একক বা পক্ষল যৌগিক হয়। পাতাগুলো সাধারণত সরল (যেমন: আম) অথবা এক-পক্ষল যৌগিক (যেমন: পেস্তা)। এরা কাণ্ডে একান্তরভাবে সজ্জিত থাকে। পাতায় চামড়ার মতো পুরু ভাব দেখা যায়।
• ফুল: ফুলগুলো আকারে ছোট এবং গুচ্ছবদ্ধ থাকে। এরা সাধারণত একলিঙ্গী বা উভয়লিঙ্গী হতে পারে। এদের ফুলে একটি 'ইন্ট্রাস্টামিল ডিস্ক' থাকে যা মধু নিঃসরণ করে পতঙ্গদের আকৃষ্ট করে।
• ফল: এদের ফল মূলত 'ডুপ' বা অশ্মল ধরনের । ফলের বাইরের অংশ রসালো হলেও ভেতরে একটি শক্ত বীজ থাকে (যেমন: আম)।
• বীজাধার: এদের বীজের চারপাশে কোনো জটিল তন্তুময় জালিকা থাকে না । এরূও জালিকা স্পন্ডিওয়াইডি বা আমড়া উপ-গোত্রে দেখা যায়। হাইপারট্রফি  কাজুবাদামের ক্ষেত্রে দেখা যায় এদের পুষ্পাক্ষ ফুলে গিয়ে রসালো ফলে পরিণত হয় এবং প্রকৃত ফলটি (বাদাম) নিচে ঝুলে থাকে।

• অ্যানাকার্ডিওয়াইডি। আবির্ভাবকাল ৭ থেকে ৬.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। আম, কাজুবাদাম ও পেস্তা বাদাম এই উপ-গোত্রের অন্তর্ভুক্ত।
• স্পন্ডিওয়াইডি। আবির্ভাবকাল ৬ থেকে ৫.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। আমড়া জাতীয় উদ্ভিদের সমন্বয়ে গঠিত উপগোত্র

• এ্যানাকার্ডি: আবির্ভাবকাল ৫.৬ থেকে ৪ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই গোষ্ঠীটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ক্রান্তীয় অঞ্চলে দ্রুত বৈচিত্র্যময় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ম্যাঞ্জিফেরা (আম) গণের বিবর্তনীয় বিস্তার এই সময়ের মধ্যেই শুরু হয়েছিল। এই গোষ্ঠীর উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে- আম, কাজুবাদাম, বৌয়া, গ্লুটা ইত্যাদি
• সেমেকার্পি: আবির্ভাবকাল ৫ থেকে ৪ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এই গোষ্ঠী এ্যানাকারগোষ্ঠীর একটি নিকটাত্মীয় শাখা। এরা মূলত এশিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের আর্দ্র ক্রান্তীয় বনাঞ্চলে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে স্বতন্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই গোষ্ঠীর উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে- ভেলা বা ভল্লাতক, বিমলি, হোলিগার্থ ইত্যাদি।