গ্যাস্ট্রোপোডা
Gastropoda
 

প্রাণিরাজ্যের মোলাস্কা (Mollusca) পর্বের একটি শ্রেণি বিশেষ। প্রাচীন গ্রিক γαστήρ (gastér, stem: gastr-) "stomach", and πούς (poús, stem: pod-) "foot" (পাকস্থলী-পদ)>ইংরেজি Gastropoda>গ্যাস্ট্রোপোডা। ১৭৯৫ খ্রিষ্টাব্দে এর নামকরণ করেছিলেন ফরাসি জীববিজ্ঞানী
Georges Cuvier
 

 ১৭৯৫ খ্রিষ্টাব্দে এর নামকরণ করেছিলেন কুভের (Cuvier) । সাধারণভাবে শামুক জাতীয় প্রাণীকে এই শ্রেণির অন্তর্গত করা হয়েছে। দৈহিক বৈশিষ্ট্যানুসারে এখন পর্যন্ত এই শ্রেণির প্রাণীগুলোকে ৬১১টি গোত্রে ভাগ করা হয়েছে। এই শ্রেণির প্রজাতিসংখ্যা প্রায় ৭০-৮০ হাজার।

 

এদের বেশিরভাগের খোলস সমকোণী প্যাচকে কেন্দ্র করে গঠিত। ফলে খোলসে নানাধরনের কোণের সৃষ্টি করে। অবশ্য পরিণত বয়সে এদের এসব কোণ হারিয়ে যায়। ফলে প্রজাতিভেদে এদের বাইরের আকার বিচিত্র রকমের হয়ে যায়। জাতিগত বৈশিষ্ট্য হিসেবে দেখা যায়, এদের দেহ পাকানো অবস্থায় থাকে।  এদের খোলকের ভিতরের নরম দেহ এবং মাথা ও পা বরাবর প্রায় ১৮০ ডিগ্রি মোচড়ানো থাকে। এই দেহকে ঘিরে রয়েছে প্যালিয়াম আবরণ। এই আবরণ এর খোলসের নিচে থাকে। এর সাথে যুক্ত থাকে মোলাস্কীয় ফুলকা। এই ফুলকা মূলত থাকে এর মাথার পিছনের উপরিভাগে। আদি গ্যাস্ট্রোপোডাগুলোর দেহে একজোড়া ফুলকা দেখা যায়।

 

এদের রয়েছে সুগঠিত মস্তিস্ক এবং দুই থেকে চারটি শুঁড়। সংবেদনশীল এই শুঁড়গুলো দিয়ে এর বাইরে জগতের পরিবেশ পরিস্থিত অনুভব করে। এদের চক্ষু আছে এবং চলার উপযোগী পা আছে।

গ্যাস্ট্রোপোডার শ্রেণিবিভাজন
মোলাস্কা
পর্বের প্রাণীর আবির্ভাব ঘটেছিল ৫৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে। ৫০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এই পর্ব থেকে উদ্ভব হয়েছিল গ্যাস্ট্রোপোডা শ্রেণির প্রাণী। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে Bouchet & Rocroi গ্যাস্ট্রোপোডার যে শ্রেণিকরণ করেছিলেন, সেই শ্রেণিবিভাজন অনুসারে যে কয়েকটি থাক পাওয়া যায়, তা হলো-