বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
মোর মরণে তোমার হবে জয়
পাঠ ও পাঠভেদ:
মোর মরণে তোমার হবে জয়।
মোর জীবনে তোমার পরিচয় ॥
মোর দুঃখ যে রাঙা শতদল
আজি ঘিরিল তোমার পদতল,
মোর আনন্দ সে যে মণিহার মুকুটে তোমার বাঁধা রয় ॥
মোর ত্যাগে যে তোমার হবে জয়।
মোর প্রেমে যে তোমার পরিচয়।
মোর ধৈর্য তোমার রাজপথ
সে যে লঙ্ঘিবে বনপর্বত,
মোর বীর্য তোমার জয়রথ তোমারি পতাকা শিরে বয় ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [ নমুনা]
পাঠভেদ:
পাঠভেদ
আছে।
স্বরবিতান-৪৩'এর ৮৩ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত পাঠভেদ অনুসারে নিচের পাঠভেদটি দেখানো হলো।
আজি
ঘিরিল তোমার পদতল্ :
স্বরলিপি, গীতলেখা ৩ (১৩২৭)
আজি
ঘিরিল তোমার পদতল : কথার অংশ,
গীতলেখা ৩ (১৩২৭)
গীতবিতান (আশ্বিন
১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 229-তে
লিখিত এই গানের শেষে সময় ও স্থান লেখা আছে- '২২ ভাদ্র/
সুরুল'।
উল্লেখ্য,
১৩২১ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে
রবীন্দ্রনাথের বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুরুলের কুঠি বাড়িতে কৃষি-গবেষণার
জন্য বসবাস শুরু করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথ প্রতিদিনই গরুর গাড়িতে সকাল
বেলায় শান্তিনিকেতন থেকে সুরুল যেতেন এবং বিকেলে ফিরে আসতেন। রবীন্দ্রনাথের
এই যাতায়াত শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল
২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত।
রবীন্দ্রনাথের এই যাতায়াত
শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল
২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত।
তাঁর এই আসা-যাওয়ার ভিতরে ২০শে আশ্বিন
পর্যন্ত ৫৭টি গান রচনা করেছিলেন। এর ভিতরে এই গানটি তিনি
২২ ভাদ্র [মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর] সুরুল-এ রচনা করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৩
বৎসর ৪ মাস।
[৫৩ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ২০৭, উপ-বিভাগ: দুঃখ-১৬।
গীতালি
প্রথম সংস্করণ [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। ২৮ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৩৪। [নমুনা]
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ২৩৮।
গীতলেখা তৃতীয় ভাগ (১৩২৭ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
সঞ্চয়িতা [বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৩৮, গীতালি, শিরোনাম: জয়। ৪৯৩-৪৯৪] [নমুনা: প্রথমাংশ, দ্বিতীয়াংশ]
স্বরবিতান ত্রয়োশ্চত্বারিংশ (৪৩) খণ্ডের ১৯ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৫৬-৫৭ [নমুনা]
পত্রিকা:
আনন্দসঙ্গীত (আশ্বিন-কার্তিক ১৩২৩ বঙ্গাব্দ)। স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল। কিন্তু স্বরলিপিকারের নাম অনুল্লিখিত ছিল।
তত্ত্ববোধিনী [ফাল্গুন ১৮৩৬ শকাব্দ, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। পঞ্চাশীতিতম সাম্বৎসরিক ব্রহ্মোৎসবের সায়ংকালীন অধিবেশনের নবম গান। পৃষ্ঠা ১৯৫]
প্রবাসী (অগ্রহায়ণ ১৩২১ বঙ্গাব্দ)। [নমুনা]
প্রকাশনা:
- প্রকাশের কালানুক্রম: গানটি প্রথম ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়েছিল গীতালির অন্তর্ভুক্ত হয়ে। এই বছরের অগ্রহায়ণ মাসে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল প্রবাসী পত্রিকার অগ্রহায়ণ সংখ্যায়। এরপর গানটি ১৩২১ বঙ্গাব্দের 'মাঘোৎসব ৮৫' -এ গানটি প্রথম গীত হয়েছিল এবং তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩২১' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। ১৩২৩ বঙ্গাব্দে কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল এবং একই বছরে আনন্দসঙ্গীত পত্রিকার আশ্বিন-কার্তিক সংখ্যায় গানটি স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল। এরপর ১৩২৭ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতলেখা তৃতীয় ভাগে গানটি দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এছাড়া ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে সঞ্চয়িতা'র গীতালি অংশে 'জয়' শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এরপর ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি গীতবিতান -এর দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত গীতবিতান -এর প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা পর্যায়ের উপবিভাগ দুঃখ-এর ১৬ সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ২০৭ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ্রহস্বর-পা। লয়-মধ্য।