বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
গান সংখ্যা:
শিরোনাম: এই-যে কালো
মাটির বাসা শ্যামল সুখের ধরা
পাঠ ও পাঠভেদ:
এই-যে কালো মাটির বাসা শ্যামল সুখের ধরা-
এইখানেতেই আঁধার-আলোয় স্বপন-মাঝে চরা ॥
এরই গোপন হৃদয়-'পরে ব্যথার স্বর্গ বিরাজ করে
দুঃখে-আলো-করা ॥
বিরহী তোর সেইখানে যে একলা বসে থাকে-
হৃদয় তাহার ক্ষণে ক্ষণে নামটি তোমার ডাকে।
দুঃখে যখন মিলন হবে আনন্দলোক মিলাবে তবে
সুধায়-সুধায়-ভরা ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
পাঠভেদ: পাঠভেদ আছে।
ঐ যে
কালো মাটির বাসা [প্রবাসী, অগ্রহায়ণ ১৩২১]
এই-যে কালো
মাটির বাসা
[অখণ্ড গীতবিতান]
তথ্যানুসন্ধান
ক.
রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 229-তে
লিখিত এই গানের শেষে সময় ও স্থান লেখা আছে- '১৬ই ভাদ্র/ সুরুল/সন্ধ্যা'।
উল্লেখ্য,
১৩২১ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে
রবীন্দ্রনাথের বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুরুলের কুঠি বাড়িতে কৃষি-গবেষণার
জন্য বসবাস শুরু করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথ প্রতিদিনই গরুর গাড়িতে সকাল
বেলায় শান্তিনিকেতন থেকে সুরুল যেতেন এবং বিকেলে ফিরে আসতেন। রবীন্দ্রনাথের
এই যাতায়াত শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল
২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত।
রবীন্দ্রনাথের এই যাতায়াত
শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল
২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত।
তাঁর এই আসা-যাওয়ার ভিতরে ২০শে আশ্বিন
পর্যন্ত ৫৭টি গান রচনা করেছিলেন। এর ভিতরে এই গানটি তিনি
১৬ ভাদ্র সন্ধ্যা [বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর]-এ সুরুলে রচনা করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৩
বৎসর ৪ মাস।
[৫৩ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ২১০, উপ-বিভাগ: দুঃখ-১৯।
রেকর্ডসূত্র:
পাওয়া যায় নিপ্রকাশের কালানুক্রম: