নট
বানান বিশ্লেষণ: ন্+অ+ট্+অ
উচ্চারণ: নট্ (
nɔʈ )।
শব্দ-উৎস: সংস্কৃত নট> বাংলা নট
পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা

উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে বিলাবল ঠাটের একটি রাগ। ভাতখণ্ডেজির মতে- এই রাগের আরোহে  ধৈবত এবং গান্ধার বক্র। অবরোহে কোথাও কোথাও অল্প পরিমাণ নিষাদ ব্যবহৃত হয়। এই রাগে মধ্যম স্বরের সাথে গান্ধারের সঙ্গতি বেশ বলিষ্ঠ মনে হয়। এই রাগের একটি স্বতন্ত্র রূপ রয়েছে। এই রাগের সাথে অন্যরাগের মিশ্রণে অনেক নতুন রাগের সৃষ্টি হয়েছে। যেমন- নট-নারায়ণ, নট-বিহাগ, কামোদনট, কেদারনট ইত্যাদি।

রাগ বিজ্ঞান অভিধান-মতে এই রাগে দুই নিষাদ ব্যবহৃত হয়।

আরোহণ:  স র, গ ম, পমপ, ধনর্স  
অবরোহণ: র্স ন ধ ধণপ পমগম রগমপ সরস
ঠাট: বিলাবল
জাতি : সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ
বাদীস্বর: মধ্যম
সমবাদী স্বর: ষড়্‌জ
অঙ্গ: পূর্বাঙ্গ।
সময়: দিবা দ্বিতীয় প্রহর।

ভাতখণ্ডেজির হিন্দুস্থানী সঙ্গীত-পদ্ধতি গ্রন্থে বর্ণিত চলন:

১। সা, সা, ম, ম, গম, মপপ, মগ, গম, মপ, ধনিসা, নিধ, নিপ, রেগ, গমপ, সারেসা ।
২। সারেসা, গম, পম, গম, ধনিপ, মপধনিপ, মপমগম, মপ, সাধনিপ, রেগপম, গম, সারেসা ।
৩। পমগম, পমপ, ধনিসানিধনিপ, সা, রেগম, রেরেসা, সাধনিপ, মপসা, ধনিপমপ, মগ, ম, সাগ, গম, প, রেগমপ, সারেসা ।
৪। পপসা, নিসারেরেসা, সারেগগম, রেরেসা, সানিধনিপ, মপমগম, সাধনিপ, গগমপ, সারেসা ।

রাজা নওয়াব আলী খান তাঁর মারফুন্নাগমত গ্রন্থে- এই রাগটির জাতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন- সম্পূর্ণ-ঔড়ব। তাঁর মতে- এই রাগের অবরোহে- ধৈবত ও গান্ধার বর্জিত।  এই গ্রন্থে এই রাগের উৎপত্তি প্রসঙ্গে লিখেছেন- ;সঙ্গীতবিদদের মতে- এই রাগটি ছায়া, কামোদ ও আলাইবা রাগের সংমিশ্রণে গঠিত এবং পূর্বাঙ্গ প্রধান। আরোহীতে ধৈবত ও গান্ধার বর্জিত হওয়ার ফলে এই রাগটি বিলাবল হতে পারে না, এবং মধ্যম বাদী হওয়ার ফলে ছায়া ও কামোদ থেকে পৃথক হয়ে যায়।' এই গ্রন্থ মতে নটের সাধারণ পরিচয় দাঁড়ায়-

আরোহণ:  স গ ম ম, প মম ম, প ধ ন র্স
অবরোহণ: র্স ধ ন প, ম প মগ ম, স র স।
ঠাট: বিলাবল
জাতি : সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ
বাদীস্বর: মধ্যম
সমবাদী স্বর: ষড়্‌জ
অঙ্গ: পূর্বাঙ্গ।
সময়: দিবা দ্বিতীয় প্রহর।


তথ্যসূত্র: