গ্রাম
বানান বিশ্লেষণ:
গ্+র+আ+ম্+অ
উচ্চারণ:
gram
(গ্রাম্)
১. শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত
গ্রাম>
বাংলা
গ্রাম
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:
√
গ্রস্
(গ্রহণ) +
ম (মন্)
=গ্রাম
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
| {
বসতি
।
ভৌগোলিক এলাকা
।
অঞ্চল
|
অবস্থান
|
দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু
|
দৈহিক সত্তা
|
সত্তা
|
অর্থ :
স্থান অধিগ্রহণের মাধ্যমে স্থাপিত জনবসতি। এই অর্থে গ্রাম।
সমার্থক শব্দাবলী: গাঁ, গাঁও, গ্রাম, জনপদ, পল্লী।
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{।
গ্রাম
।
স্বরবিন্যাস
।
।
স্বর
।
সাঙ্গীতিক স্কেল
।
সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি
।
যৌগিকধ্বনি
।
শ্রাব্য-ধ্বনি
|
শব্দ
|
শব্দলক্ষণ গুণ
|
লক্ষণগুণ
।
সত্তাগুণ
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত
|
সত্তা
|}
অর্থ:
সঙ্গীতশাস্ত্রে স্বর অধিগ্রহণ পূর্বক স্বরক্রমবিন্যাস গঠন। বৈদিক যুগের শেষের দিকে গন্ধর্ব জাতির সঙ্গীতাচার্যদের দ্বারা গ্রাম সৃষ্টি হয়েছিল। আদিতে গ্রাম ছিল তিনটি। এগুলো হলো- ষড়্জগ্রাম, মধ্যমগ্রাম ও গান্ধার গ্রাম
দেখুন:
গ্রাম [সঙ্গীতশাস্ত্র]
২.
শব্দ-উৎস:
গ্রিক
γράμμα (
grámma
)
> ল্যাটিন
gramma>
ফরাসি
gramme
>ইংরেজি
Gram>
বাংলা
গ্রাম।
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{মেট্রিক পদ্ধতি। ভরের পরিমাপক একক।
পরিমাপ একক
।
সুনির্দিষ্ট পরিমাণ
|
মৌলিক পরিমাপ
|
মাপ
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
| }
অর্থ:
এটি ছিল ফরাসি মেট্রিক পদ্ধতিতে মেট্রিক পদ্ধতিতে ভরের একক বিশেষ। পরে সেন্টিমিটার-গ্রাম-সেকেন্ড (সিজিএস) পদ্ধতিতে ভরের একক হিসেবে গৃহীত হয়। এর একক চিহ্ন
g
(জি)।
সূত্র:
চলন্তিকা। রাজশেখর বসু। এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ। ১৪০৮।
বঙ্গীয় শব্দকোষ (প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য অকাদেমী। ২০০১।
বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫।
বাংলা একাডেমী সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান । আবু ইসহাক। চৈত্র ১৪০৯/এপ্রিল ২০০৩।
বাংলা বানান চিন্তা (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। অধ্যাপক পি. আচার্য। জুলাই ১৯৯৭।
বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০।
শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০।
শব্দসঞ্চয়িতা। ডঃ অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়। নিউ সেন্ট্রাল বুক এজেন্সি প্রাঃ লিমিটেড। ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৯৫।
শব্দার্থ প্রকাশিকা। কেশবচন্দ্র রায় কর্মকার। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০।
সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২।
সমগ্র ব্যাকরণ কৌমুদী। সাহিত্য সংসদ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ডিসেম্বর ২০০৩।
সরল বাঙ্গালা অভিধান সুবলচন্দ্র মিত্র।
wordnet 2.1