২৬
বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
২৫ বৈশাখ ১২৯৪ বঙ্গাব্দ থেকে ২৪
বৈশাখ ১২৯৫ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত (৭ মে ১৮৮৬- ৬ মে ১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দ)
১২৯৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে কলকাতার ৪৯
পার্ক স্ট্রিটের বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ একটি কবিতা রচনা করেন। এই কবিতাটির শিরোনাম
'শূন্য হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষা'। এই কবিতাটি বর্তমানে মানসী গ্রন্থে পাওয়া যায়।
শূন্য হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষা। আবার মোরে পাগল করে দেবে কে?
[মানসী, রবীন্দ্ররচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড,
বিশ্বভারতী। শ্রাবণ ১৩৯১। পৃষ্ঠা : ১২৭-১৩০]
এই কবিতার প্রথম দুটি এবং শেষ স্তবকে
সুরারোপ করেন। কবে তিনি সুরারোপ করেছিলেন তা জানা যায় না। বাণী অংশের রচনার
বিচারে বলা যায়, রবীন্দ্রনাথ এই গানটি রচনা করেছিলেন ২৬ বৎসর ২ মাস বয়সে।
গীতবিতানে এই গানটি পাওয়া যায়। এর প্রথম পংক্তি হলো—
আবার মোরে পাগল করে দেবে কে?
১২৯৪ বঙ্গাব্দের ১০ শ্রাবণ [সোমবার ২৫
জুলাই, ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দ] রবীন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠা কন্যা মাধুরীলতার অন্নপ্রাসন
হয়। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ একটি গান রচনা করেন। গানটি হলো—
ওহে নবীন অতিথি, তুমি নতুন কি চিরন্তন।
১২৯৪ বঙ্গাব্দের ১৫ অগ্রহায়ণ তারিখে তবু শিরোনামে একটি কবিতা রচনা করেন। কবিতাটি মানসী কাব্যগ্রন্থে স্থান পেয়েছে। [মানসী, রবীন্দ্ররচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড, বিশ্বভারতী। শ্রাবণ ১৩৯১। পৃষ্ঠা : ১৩৮-১৩৯]। এই কবিতাটিকে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী গ্রন্থে লিখেছেন- ১২৯৭ পৌষ 'তবু' কবিতাটি ভাঙ্গিয়া গানটি রচিত। আলোচ্য গানটি হলো—
তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে।
প্রথম কবিতা হিসাবে, এই গানটি রবীন্দ্রনাথের ২৬ বৎসর ৭ মাস বয়সের রচনা।
এই বছরের ১১ই মাঘ
[২৪ জানুয়ারি ১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দ]
আদি ব্রাহ্মসমাজের অষ্টপঞ্চাশ সাংবৎসরিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উক্ত
উৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ মোট ১৭টি গান রচনা
করেছিলেন। গানগুলির ৮টি সকালে ও অবশিষ্ট ৯টি সন্ধ্যায় মহর্ষিভবনের প্রাঙ্গনে
পরিবেশিত হয়েছিল। নিচে গানগুলির তালিকা দেওয়া হলো।
প্রাতঃকালীন অধিবেশনের ৮টি গান
সান্ধ্যকালীন অধিবেশনের ৯টি গান
১. তুমি আপনি জাগাও মোরে [পূজা-২৮৫]
[তথ্য]
২. নূতন প্রাণ দাও, প্রাণ সখা [পূজা-২৮৬]
[তথ্য]
৩. জাগ্রত বিশ্বকোলাহল-মাঝে [পূজা-৩৭০]
[তথ্য]
৪. কেমনে ফিরিয়া যাও না দেখি তাঁহারে [পূজা-৪৪৫]
[তথ্য]
৫. সবে আনন্দ করো [পূজা-২৮৪]
[তথ্য]
৬. হে মন, তাঁরে দেখো [পূজা ও প্রার্থনা-৫২]
[তথ্য]
৭. আজি হেরি সংসার অমৃতময় [পূজা-৫৪০]
[তথ্য]
৮. তোমারি ইচ্ছা হউক পূর্ণ করুণাময় স্বামী [পূজা-১১৩]
[তথ্য]
১. শ্রান্ত কেন ওহে পান্থ [পূজা-৪৫৭]
[তথ্য]
২. পূর্ণ-আনন্দ পূর্ণমঙ্গলরূপে হৃদয়ে এসো [পূজা-৪১৯]
[তথ্য]
৩. অসীম আকাশে অগণ্য কিরণ [পূজা-৩৯৮]
[তথ্য]
৪. আছ অন্তরে চিরদিন, তবু কেন কাঁদি [পূজা-৪২২]
[তথ্য]
৫. জগতে তুমি রাজা [পূজা-৪৭৩]
[তথ্য]
৬. জরজর প্রাণে, নাথ [পূজা-৫১৩]
[তথ্য]
৭. জাগিতে হবে রে [পূজা-১৮০]
[তথ্য]
৮. নাথ হে, প্রেমপথে সব বাধা ভাঙিয়া দাও [পূজা-৪১৮]
[তথ্য]
৯. হৃদয়বেদনা বহিয়া,প্রভু, এসেছি তব দ্বারে [পূজা-৪০১]
[তথ্য]