বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
নয় এ মধুর খেলা
পাঠ ও পাঠভেদ:
নয় এ মধুর খেলা—
তোমায় আমায় সারাজীবন সকাল-সন্ধ্যাবেলা নয় এ মধুর খেলা ॥
কতবার যে নিবল বাতি, গর্জে এল ঝড়ের রাতি-
সংসারের এই দোলায় দিলে সংশয়েরই ঠেলা ॥
বারে বারে বাঁধ ভাঙিয়া বন্যা ছুটেছে।
দারুণ দিনে দিকে দিকে কান্না উঠেছে।
ওগো রুদ্র, দুঃখে সুখে এই কথাটি বাজল বুকে-
তোমার প্রেমে আঘাত আছে, নাইকো অবহেলা ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
ক. রচনাকাল ও স্থান:
গীতিমাল্য,
প্রথম সংস্করণ-
অন্তর্ভুক্ত এই গানটির নিচে স্থান ও তারিখ হিসেবে উল্লেখ আছে- 'রোহিত সাগর/১৯
সেপ্টেম্বর ১৯১৩। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫২ বৎসর ৫ মাস।
উল্লেখ্য ২৬ ভাদ্র [১১ সেপ্টেম্বর] রবীন্দ্রনাথ ইংল্যান্ড
থেকে S.S. City of
Lahore নামক জাহাজে ভারতবর্ষের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। জাহাজে তিনি ৩টি
গান রচনা করেন। এর মধ্যে তাঁর জাহাজটি
৩
আশ্বিন [শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর] রোহিত সাগর (লোহিত সাগর)-এ থাকাবস্থায়
এই গানটি রচনা করেছিলেন ।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
স্বরবিতান চত্বারিংশ (৪০) খণ্ডের ১৮ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৫৮-৫৯। [নমুনা]
রেকর্ড সূত্র: পাওয়া যায় নি।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। [স্বরলিপিটি গীতলেখা দ্বিতীয় ভাগ থেকে স্বরবিতান-৪০’এ গৃহীত হয়েছে।]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান-৪০’এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪।৪।৪ মাত্রা ছন্দে ত্রিতাল-এ নিবদ্ধ।
রাগ : ইমন। অঙ্গ: বাউল। তাল: ত্রিতাল [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)] পৃষ্ঠা: ৬১
রাগ: বিভাস (বাংলা)। তাল: ত্রিতাল [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১০৬]
গ্রহস্বর-র্সা। লয়-দ্রুত। ব্রহ্মসঙ্গীত।