সন্দ্বীপ জেলা
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের সদর জেলা- চট্টগ্রাম জেলার মেঘনা মোহনায় অবস্থিত একটি উপজেলা।  নির্বাচনী এলাকা- ১৯৩, চট্টগ্রাম ১৬।

সন্দ্বীপের নামকরণ:  নিয়ে নানা মতামত রয়েছে। যেমন-

ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক: ২২°২৯‌‌‌'১৪" উত্তর ৯১°২৬'৪৭" পূর্ব।
ভৌগোলিক অবস্থান: এর পূর্বে সন্দ্বীপ চ্যানেল ও চ্যানেলের পূর্ব পাড়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা ও মীরসরাই উপজেলা; উত্তরে বামনী নদী; পশ্চিমে মেঘনা নদী, নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, সুবর্ণচর উপজেলা ও হাতিয়া উপজেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর।

জনসংখ্যা: ২,৭৮,৬০৫ জন । পুরুষ ১,২৮,৬৫৬ জন, নারী ১,৪৯,৯৪৯ জন (২০১১ খ্রিষ্টাব্দের জনগণনা অনুসারে)। লোক সংখ্যার ঘনত্ব ৩৬৫ জন (প্রতি বর্গ কিলোমিটার)।

ইতিহাস: ধারণা করা হয় প্রায়, খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ অব্দের দিকে এই দ্বীপে জনবসতি গড়ে উঠছিল। ্রথম দিকে কৃষিকাজ ও মৎস্য শিকার ছিল এদের অন্যতম জীবিকা। পরে এই অঞ্চলে লবণ ও জাহাজশিল্প গড়ে উঠে। বঙ্গদেশের পূ্বাঞ্চলে সাথে বাণিজ্যের সুবিধার জন্য েশী-বিদেশী জাহাজ এখানে নোঙর করতো। এই সূত্রে এই অঞ্চলে নতুন নতুন বসতি গড়ে ওঠা শুরু হয়।

১৪৩৭ খ্রিষ্টাব্দে আরাকান রাজা
মিন খায়ই হরিকেলের
রামু দখল করেন। ১৪৪৯ খ্রিষ্টাব্দের দিকে সন্দ্বীপ-সহ চট্টগ্রামের পশ্চিমাঞ্চল ছিল বাংলার সুলতান রুকুনুদ্দীন বারবাকের শাসনাধীন। ১৪৫৯ খ্রিষ্টাব্দের শেষার্ধে আরাকানের রাজা বা সো ফিয়ু বাংলার সুলতানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের যুদ্ধ করেন এবং চট্টগ্রাম-এর উপর পূর্ণ কর্তৃত্ব লাভ করতে সক্ষম হন

১৪৮১ খ্রিষ্টাব্দ একটি বড় ধরনের বিদ্রোহ দেখা দেয় চট্টগ্রাম-এ। ফলে এই বছরের ডিসেম্বর মাসের দিকে বা সো ফিয়ু চট্টগ্রাম-এ অভিযান চালান। বিদ্রোহীদের সাথে ভয়ঙ্কর কয়েকদিন ধরে যুদ্ধ হয় এবং শেষ পর্যন্ত তিনি এই বিদ্রোহ দমন করতে সক্ষম হন।

১৪৯৩ খ্রিষ্টাব্দে হোসেন শাহ বাংলার সুলতান হন। তিনি চট্টগ্রামের অধিকার নিতে গেলে ত্রিপুরার রাজা ধনমানিক্যের সাথে সংঘাত সৃষ্টি হয়। ১৫১৩-১৫১৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত উভয় রাজার ভিতর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। রাজা ধনমানিক্যের মৃত্যুর পর হোসেন শাহ‌ চট্টগ্রাম তাঁর দখলে আনেন এবং উত্তর আরাকান পর্যন্ত তাঁর রাজ্য বিস্তার করতে সক্ষম হন। এই সময় সন্দ্বীপ হোসেন শাহহের অধিকারে আসে।

১৫১৭ খ্রিষ্টাব্দের দিকে পর্তুগিজরা চট্টগ্রামে আসা শুরু করে। এরা প্রথমাস্থায় বাণিজ্য করতে এলেও, পরে তারা জলদস্যু হয়ে যায়। সুলতান এদের দমন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

১৫৩২ খ্রিষ্টাব্দে নসরৎ শাহ আততায়ীর হাতে নিহত হন।  এরপর সিংহাসনে বসেন তাঁর পুত্র আলাউদ্দিন ফিরোজ। ফিরোজ শাসনকার্যে অনুপযুক্ত ছিলেন। তাঁর কুশাসনের বিরুদ্ধে আমিররা বিদ্রোহ করেন। বাংলার এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আরাকান- এর ১৩তম রাজা মিন বিন, ১৫৩২ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই অক্টোবর, চট্টগ্রাম দখল করে নেন। এরপর ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখে,  আরাকান- এর সৈন্যরা ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করে। সুলতানের সৈন্যরা আরাকানিদের বিরুদ্ধে যথাসাধ্য প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং প্রায় ১০দিন আরাকানিদের ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুলতানের সৈন্যরা পরাজিত হয় এবং ১১ই ডিসেম্বর এরা আরাকানি সৈন্যরা ঢাকা প্রবেশ করে। এরা ঢাকা এবং এর আশপাশের অঞ্চলে ব্যাপক লুটতরাজ ও হত্যাকাণ্ড চালাতে থাকে। ফলে ১৫৩৩ খ্রিষ্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি তরুণ সুলতান আলাউদ্দিন ফিরোজের পক্ষে রানি রাজা মিন বিন-কে কর প্রদান করে। এরপর ১৩ই এপ্রিল মিন বিন- ঢাকা ত্যাগ করে। ১৪ই মে তিনি অধিকৃত অঞ্চলের জন্য একজন্য গভর্নর নিয়োগ করেন। ফলে চট্টগ্রাম আরাকানিদের
অধিকারেই থেকে যায়।

তখন সামরিক সহায়তার বিনিময়ে ১৫৩৭ খ্রিষ্টাব্দে পোর্তুগিজরা চট্টগ্রামে বাণিজ্য কুঠি নির্মাণ করে। এই সময় তারা বন্দর এলাকার শুল্ক আদায়ের অধিকার লাভ করে। এতকিছুর পরেও ১৫৩৮ খ্রিষ্টাব্দে শের শাহ‌-র সেনাপতি চট্টগ্রাম দখল করেন। কিন্তু শের শাহ‌-এর এই সেনপাতি চট্টগ্রামের উপর পূর্ণ কর্তৃত্ব লাভ করতে পারেন নি। ১৫৮০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত আফগানদের ত্রিপুরা আর আরাকানীদের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হয়েছে।


চট্টগ্রাম অঞ্চলে পোর্তুগিজরা দস্যুতা বৃদ্ধি পেলে আরাকান রাজা ১৬০৩ খ্রিষ্টাব্দে পোর্তুগিজদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। এই অভিযানের ফলে পোর্তুগিজদের সম্পূর্ণরূপে পরাজিত করা সম্ভব হয় নি। বিশেষ করে সন্দীপ অঞ্চল পোর্তুগিজ জলদস্যু গঞ্জালেস দখলে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।

১৬১৫ খ্রিষ্টাব্দে আরকান রাজার সৈন্যদের সাথে পর্তুগি্দের সাথে একটি বড় ধরনের যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে সন্দ্বীপে অবস্থতি পর্তুগিজ সেনাপতি ইমানুয়েল মার্তুস ২০০ শতাধিক সৈন্য-সহ নিহত হন। এর সন্দ্বীপের আশপাশের অঞ্চলে আরাকান রাজার অধিকারে আসে। ১৬১৬ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগিজ সৈন্যরা সন্দ্বীপ ত্যাগ করলে, এই দ্বীপাঞ্চলটি আরাকান রাজার অধিকারে আসে। যুদ্ধশেষে আরাকান সৈন্যরা সন্দ্বীপ ত্যাগ করলে, স্থানীয় জমিদার দেলোয়ার খাঁ এখানকার সর্বময় ক্ষমতার অধিকার লাভ করেন। তিনি আরাকান ও পর্তুগিজদের প্রভাব উপেক্ষা করে প্রায় স্বাধীন রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন।


১৬৬৫ খ্রিষ্টাব্দের মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব বাংলার সুবেদার শায়েস্তা খানকে চট্টগ্রাম দখলের নির্দেশ দেন। শায়েস্তা খান ১৬৬৫ খিষ্টাব্দের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চট্টগ্রাম অভিযান শুরু করেন। তাঁর পুত্র বুজুর্গ উমেদ খানকে সার্বিক নেতৃত্ব দেওয়া হয় এবং নৌ-সেনাপতি ইবনে হোসেনকে নৌ-বাহিনীর নেতৃত্ব প্রদান করা হয়। অন্যদিকে শায়েস্তা খান নিজে রসদ সরবরাহের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেনাবাহিনী ও নৌ-বাহিনী একই সময়ে একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে স্থল ও সমুদ্রপথে যাত্রা করে। স্থল বাহিনীকে জঙ্গল কেটে রাস্তা তৈরি করে অগ্রসর হতে হয়েছিল। সমুদ্রে এবং পরে কর্ণফুলী নদীতে একটি বড় যুদ্ধে পর্তুগিজদের সাহায্য নিয়ে মোগলরা প্রথম জয় পায়। এই সময় টমাস প্রাট নামে এক ইংরেজ আরাকানীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে মোঘলদের পরাজিত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।   ১৬৬৬ খিষ্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারিতে এরা আরাকানদের চট্টগ্রাম দুর্গ অবরোধ করে। এই যুদ্ধে জয়লাভের পর ২৭শে জানুয়ারি বুজুর্গ উমেদ খান দুর্গে প্রবেশ করেন এবং চট্টগ্রামকে মুগল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। সম্রাটের অনুমতি সাপেক্ষে শায়েস্তা খান চট্টগ্রামের নাম পরিবর্তন করে ইসলামাবাদ করেন।

১৬৮৬ খ্রিষ্টাব্দে  জব চার্নক এবং ১৬৮৮ খ্রিষ্টাব্দে কাপ্তেন হিথের চট্টগ্রাম দখল করতে ব্যর্থ হয়। ১৬৭০ ও ১৭১০ খ্রিষ্টাব্দে আরাকানীরা চট্টগ্রাম দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ১৭২৫ আরাকানরা বিশাল এক সেনাবাহিনী নিয়ে চট্টগ্রাম দখল করতে সক্ষম হয়, কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই মোগলরা আরাকানদের বিতারিত করে।

 

১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৩শে জুন ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশীর প্রান্তরের যুদ্ধ নবাব সিরাজদৌল্লা পরাজিত হলে, ইংরেজরা বাংলার সিংহাসনে মীরজাফরকে অধিষ্ঠিত করেন। এই সময় ইংরেজরা চট্টগ্রাম বন্দরের অধিকার লাভের জন্য নবাব মীরজাফরের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু মীরজাফর ইংরেজদের কাছে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্তৃত্ব দিতে তুলে দেন নি। ইংরেজদের স্বার্থ রক্ষা না হওয়ার কারণে,  মীরকাশিমের সাথে এক গোপন চুক্তি করে, মীরজাফরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে মীরাজফরকে ক্ষমতাচ্যুত করে, ১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দে মীরকাশিমকে সিংহাসনে বসায়। অবশ্য এজন্য মীরকাশিম ইংরেজদেরকে দুই লক্ষ পাউন্ড উৎকোচ প্রদান করে এবং এই সময়  ইংরেজরা বর্ধমান, মেদেনীপুর ও চট্টগ্রামের অধিকার লাভ করে। চট্টগ্রামের শেষ ফৌজদার রেজা খাঁ সরকারিভাবে চট্টগ্রামের শাসন প্রথম ইংরেজ চিফ ভেরেলস্ট-এর হাতে সমর্পন করেন। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামে হয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন।

কোম্পানির শাসনামলে চট্টগ্রামবাসীর ওপর করারোপ দিনে দিনে বাড়তে থাকে। মীরকাশিমের সাথে ইংরেজদের বৈরী সম্পর্ক তৈরি হলে, ইংরেজরা মীরজাফরকে পুনরায় সিংহসনে বসায়।
 
১৭৭৬ খ্রিষ্টাব্দে হরিষপুরের সন্দীপের জমিদার আবু তোরাপ কৃষকদের সংগঠিত করে ইংরেজদের প্রতিরোধ করেন। এরপরে ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে তিনি পরাজিত ও নিহত হলে সন্দীপের প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ে। এই সময় ১৭৭৬ থেকে ১৭৮৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত চাকমারা ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পাহাড়ি এলাকায় চাকমাদের পরাস্ত করতে না পেরে ইংরেজরা তাদের বিরুদ্ধে কঠিন অর্থনৈতিক অবরোধ করে। শেষ পযর্ন্ত চাকমা বিদ্রোহও থেমে যায়।


ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি সন্দ্বীপ ছিল চট্টগ্রামের অধীনে। ব্রিটিশ শাসনামলের ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে নোয়াখালী জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এই সময় সন্দ্বীপ ছিল থানা। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে এই থানটিকে পুনরায় চট্টগ্রামের অধীনে আনা হয়।

১৯৬৬
খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখান থেকে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফার প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন।

১৯৭১ সালে এ উপজেলা ১নং সেক্টরের অধীন ছিল। ১০ মে পাকবাহিনী সন্দ্বীপ শহরে আইনজীবী জাহেদুর রহমানসহ অনেক নিরীহ লোককে গুলি করে হত্যা করে এবং অনেক ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় ও লুটপাট করে। ৭ ডিসেম্বর সন্দ্বীপ শত্রুমুক্ত হয়।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, সন্দ্বীপ ১ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে সন্দ্বীপ থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।

বর্তমানে এই জেলায় রয়েছে ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। উল্লেখ্য পূর্বে ইউনিয়ন ছিল ২০টি। ভাঙনের ফলে ৬টি ইউনিয়ন বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

বরতমান ১৪টি ইউনিয়ন হলো-

  1. উড়িরচর (উপ-দ্বীপ)
  2. গাছুয়া
  3. সন্তোষপুর
  4. কালাপানিয়া
  5. হরিশপুর
  6. বাউরিয়া
  7. মুছাপুর
  8. রহমতপুর
  9. আজিমপুর
  10. মাইটভাঙ্গা
  11. সারিকাইত
  12. মগধরা
  13. হারামিয়া
  14. আমানউল্যা

বিলুপ্ত ইউনিয়নগুলো হলো

  1. হুদাখালী
  2. দীর্ঘাপাড়া
  3. কাটগড়
  4. ইজ্জতপুর
  5. নয়মন্তি
  6. বাটাজোড়া
     
১৯৫০ থেকে ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সন্দ্বীপের ভাঙ্গন অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। তখনও পর্যন্ত নয়ামস্তি, ইজ্জতপুর, বাটাজোড়া, কাটগড়, হুদ্রাখালী ও দীর্ঘাপাড় (বিলুপ্তপ্রায়) ইউনিয়ন পুরাপুরি বিদ্যমান ছিল। বর্তমানে হরিশপুর, রহমতপুর ও আজিমপুর ইউনিয়ন আকারে একটি গ্রামের চেয়েও ছোট।

ইতিমধ্যে যেসকল গ্রাম সাগর গর্ভে হারিয়ে গেছে সেগুলো হলো- সুধারামপুর, মোহাম্মদপুর, সুলতানপুর, মোক্তারপুর, সৌরভপুর, ইজ্জতপুর ও শফিপুর। উল্লেখ্য সুধারামপুর ও মোহাম্মদপুর যথাক্রমে ইজ্জতপুর ও রুহিনী গ্রামের পশ্চিমে ছিল। সুলতানপুর গ্রাম নয়ামস্তির দক্ষিণে ও সারিকাইতের পশ্চিমে ছিল। মোক্তারপুর গ্রাম রুহিনী গ্রামের উত্তর পশ্চিমে ছিল। প্রিন্সিপাল জিয়াউল হক এর বাড়ি মোহাম্মদপুর গ্রামে ছিল, শফিপুর গ্রাম বাটাজোড়া ও কাঠগড়ের মাঝামাঝি ছিল।
সূত্র :
http://www.banglapedia.org
http://www.chittagong.gov.bd/