অংশা
বানান বিশ্লেষণ:
অ+ং+শ্+আ
উচ্চারণ : oŋ.ʃa
(ওঙ্.শা)।
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত
অংশা>বাংলা
অংশা।
রূপতাত্ত্বিক
বিশ্লেষণ:
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {দৈবসত্তা
|
অতিপ্রাকৃতিক সত্তা |
অতিপ্রাকৃতিক বিশ্বাস |
বিশ্বাস |
প্রজ্ঞা |
জ্ঞান |
অভিজ্ঞা |
মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত সত্তা |
সত্তা | }
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে– কংসবধের জন্য কৃষ্ণ যখন বিষ্ণুর অবতার রূপে মর্তধামে আসেন, সে সময়ে বিষ্ণুর অনুরোধে দুর্গাও যশোদার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন।
হিন্দু ধর্ম মতে-
বিষ্ণুর
দ্বাপর যুগ-এর
একজন
অবতার এবং মোট দশম
অবতারের অষ্টম অবতার।
বসুদেবের ঔরসে
দেবকীর অষ্টম গর্ভে কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল।
কংস
নামক এক অত্যাচারী রাজার অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য
দেবতারা
ব্রহ্মার
শরণাপন্ন হলে,
ব্রহ্মা
সকল দেবতাদের নিয়ে সমুদ্রের ধারে বসে
বিষ্ণুর আরাধনা শুরু করেন।
বিষ্ণু
সে আরাধনায় সন্তুষ্ট হয়ে তাঁর সাদা ও কালো রঙের দুটি চুল দিয়ে বললেন যে,
বসুদেবের
ঔরসে
দেবকীর সন্তান হিসাবে কৃষ্ণ হয়ে জন্মাবেন।
কৃষ্ণের প্রতীক হলো কালো চুল।
তাঁর সহযোগী হবে
বলরাম,
এর প্রতীক সাদা চুল।
এই জন্মে তিনি কংসাসুরকে হত্যা করবেন।
উল্লেখ্য
বসুদেবের
অপর স্ত্রী
রোহিণীর গর্ভে বলরাম জন্মেছিলেন।
দেবকীর
পিতা
দেবক
ও
কংসের
পিতা
উগ্রসেন আপন দুই ভাই ছিলেন।
সেই সূত্রে
কংস
ছিলেন
দেবকীর
কাকাতো ভাই অর্থাৎ
কংস ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের মামা।
দেবর্ষি
নারদ
এসে
কংসকে
কৃষ্ণ-বলরাম-এর
জন্মের কারণ বর্ণনা করে যান।
এই সংবাদ পেয়ে
কংস
দেবকীর গর্ভজাত সকল সন্তানকে জন্মের পরপরই হত্যা করতে থাকলেন।
কৃষ্ণ-এর
জন্ম হয়
দ্বাপর
যুগের শেষে ভাদ্র-রোহিণী নক্ষত্রে,
এক ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ রাত্রিতে।
জন্মের পরপরই
বসুদেব
কংসের
ভয়ে এই শিশুটিকে ব্রজধামে নন্দের বাড়িতে রেখে আসেন এবং
তাঁর সদ্যজাতা কন্যাকে আনেন।
ব্রহ্ম-বৈববর্ত পুরাণের মতে এই কন্যা ছিলেন দুর্গা। এই পুরাণে এই সদ্যজাতা কন্যাকে
অংশা নামে অভিহিত করা হয়েছে। বিষ্ণুর অনুরোধে তিনি যশোদার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
[ব্রহ্ম-বৈবর্ত্ত, শ্রীকৃষ্ণ খণ্ড, সপ্তম অধ্যায়]
সূত্র :