যোগ শাস্ত্র
হিন্দু
ধর্মের ঋষিদের দ্বারা উদ্ভাবিত ও চর্চিত শাস্ত্র বিশেষ। এর অপর নাম যোগশাস্ত্র।
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{ যোগশাস্ত্র
|
হিন্দু ধর্ম
|
ধর্ম বিশ্বাস
|
অতিপ্রাকৃতিক বিশ্বাস
|
বিশ্বাস
|
প্রজ্ঞা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক
ঘটনা |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
ইংরেজি:
yoga।
ব্যাখ্যা: হিন্দুধর্মের বিধান
সম্বলিত যোগ নামক বিশেষ জ্ঞান যা শাস্ত্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এই
শাস্ত্রের অনুশীলনযোগ্য অধ্যায় হলো যোগাঙ্গ।
- যোগাঙ্গ:
যোগশাস্ত্রের হঠযোগের সাধনাকে কার্যকরী করার প্রক্রিয়াকে অঙ্গ
হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই অঙ্গের প্রকারভেদ নিয়ে কিছুটা মত পার্থক্য আছে। গোরক্ষ মুনির
মতে যোগাঙ্গ ছয়টি। এগুলো হলো- আসন, প্রাণসংহার বা প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধারণা,
ধ্যান ও সমাধি। পক্ষান্তরে মার্কেণ্ডয় মুনির মতে- যোগাঙ্গের সংখ্যা আটটি। এগুলো
হলো-যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধারণা, ধ্যান ও সমাধি।
ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টপূর্ব
দ্বিতীয়-তৃতীয় শতকে পতঞ্জলি যোগসূত্রগুলো একত্রিত করে, একটি পৃথক
শাস্ত্রে রূপ দেন। এই সঙ্কলনে সূত্র রয়েছে ১৯৫টি। এই সূত্রগুলো আটটি অঙ্গে বিভক্ত।
এই কারণে একে অষ্টাঙ্গ বলা হয়। এই অঙ্গগুলো হলো—
১.
যম
২.
নিয়ম
৩.
আসন
৪.
প্রাণায়াম
৫.
প্রত্যাহার
৬. ধারণ
৭.
ধ্যান
৮.
সমাধি
ভারতীয়