ব্যাখ্যা:
যোগশাস্ত্রের হঠযোগের সাধনাকে কার্যকরী করার প্রক্রিয়াকে অঙ্গ
হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই অঙ্গের প্রকারভেদ নিয়ে কিছুটা মত পার্থক্য আছে। গোরক্ষ মুনির
মতে যোগাঙ্গ ছয়টি। এগুলো হলো- আসন, প্রাণসংহার বা প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধারণা,
ধ্যান ও সমাধি। পক্ষান্তরে মার্কেণ্ডয় মুনির মতে- যোগাঙ্গের সংখ্যা আটটি। এগুলো
হলো-যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধারণা, ধ্যান ও সমাধি।
ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টপূর্ব
দ্বিতীয়-তৃতীয় শতকে পতঞ্জলি যোগসূত্রগুলো একত্রিত করে, একটি পৃথক
শাস্ত্রে রূপ দেন। এই সঙ্কলনে সূত্র রয়েছে ১৯৫টি। এই সূত্রগুলো আটটি অঙ্গে বিভক্ত।
এই কারণে একে অষ্টাঙ্গ বলা হয়। এই অঙ্গগুলো হলো—
১.
যম
২.
নিয়ম
৩.
আসন
৪.
প্রাণায়াম
৫.
প্রত্যাহার
৬. ধারণ
৭.
ধ্যান
৮.
সমাধি
ভারতীয়