কাজী নজরুল ইসলামের
চলচ্চিত্রের গানের তালিকা
১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে নজরুল ম্যাডান থিয়েটারে 'সুরভাণ্ডার'
পদে নিযুক্ত হন। মূলত তিনি যুক্ত হয়েছিলেন
প্রশিক্ষক হিসেবে। তিনি চলচ্চিত্রের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সংলাপের
জন্য শুদ্ধ উচ্চারণ, কণ্ঠশিল্পীদের গানের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন।
এই সূত্রে তিনি প্রথম যুক্ত হন ১৯৩১
খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম বাংলা সবাক চলচ্চিত্র ‘জামাই ষষ্ঠী’তে।
১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে ম্যাডান থিয়েটার্স কোম্পানির তত্ত্বাবধানে
মুক্তিপ্রাপ্ত ৪টি ছবিতে নজরুল যুক্ত ছিলেন প্রশিক্ষক হিসেবে। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে
মুক্তপ্রাপ্ত সবাক চলচ্চিত্র 'ধ্রুব'-তে তিনি
১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দ
এই বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত
-
জামাই ষষ্ঠী (১৯৩১)
প্রথম সবাক বাংলা চলচ্চিত্র। ম্যাডান থিয়েটার কোম্পানির প্রযোজনায়, ছবিটি
১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের ১১ এপ্রিল (শনিবার, ২৮ চৈত্র ১৩৩৭), কলকাতার ক্রাউন সিনেমা
হলে মুক্তি পেয়েছিল। পরিচালক ছিলেন অমর চৌধুরী। সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন
ক্ষিরোদগোপাল মুখার্জি। অভিনয় করেছিলেন প্রোফেসর ভোলানাথ অমর চৌধুরী, মিস
গোলেলা, ক্ষীরোদগোপাল মুখোপাধ্যায়, রাণীসুন্দর, মিস গোলেলা প্রমুখ। এই ছবিতে
নজরুলের কোনো গান যুক্ত হয় নি।
১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দ
ম্যাডান থিয়েটার্স কোম্পানির তত্ত্বাবধানে
মুক্তিপ্রাপ্ত ৪টি ছবিতে নজরুল যুক্ত ছিলেন প্রশিক্ষক হিসেবে।
১৯৩৩-১৯৩৪
-
ধ্রুব:
১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত পায়োনিয়ার
ফিল্মস কোম্পানি 'ধ্রুব' নামক একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা কাজে সম্মত হয়। এই
সূত্রে এই ছবিটির পরিচালকের দায়িত্ব নেন সত্যেন্দ্রনাথ দে। সঙ্গীত পরিচালকের
দায়িত্ব লাভ করেন কাজী নজরুল ইসলাম।
নজরুল এই ছবিতে দেবর্ষি নারদের চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটিতে মোট ১৮টি গান ছিল।
এর ভিতরে ১৭টি গান ছিল নজরুলের রচিত ও সুরারোপিত। নারদের চরিত্রের নির্বাচিত
৩টি গানে তিনি একক কণ্ঠও দিয়েছিলেন। এছাড়া ধ্রুব চরিত্রের কণ্ঠদানকারী শিশু
শিল্পী মাস্টার প্রবোধের সাথে একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনি অবলম্বনে গিরিশচন্দ্র ঘোষের রচিত 'ধ্রুব চরিত'
অবলম্বনে এই ছায়াছবিটি নির্মিত হয়েছিল।
১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি (১৮ পৌষ ১৩৪০) 'ধ্রুব' মুক্তি পেয়েছিল 'ক্রাউন
টকি হাউস' নামক প্রেক্ষাগৃহে। এই বিচারে ধারণা করা যায়, এই ছবির গানগুলো নজরুল
রচনা করেছিলেন ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে। তবে গানগুলোর রচনার সুনির্দিষ্ট
সময়ের কথা জানা যায় নি।
- জাগো ব্যথার ঠাকুর [তথ্য]
সুনীতির গান। শিল্পী আঙ্গুরবালা
- অবিরত বাদর বরষিছে ঝরঝর [তথ্য]
সুনীতির গান। শিল্পী আঙ্গুরবালা]
- চম্কে চপলা মেঘে মগন গগন [তথ্য]
১. ধ্রুব [১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি (সোমবার, ১৭ পৌষ ১৩৪০)।
২. সন্ধ্যামালতী প্রথম সংস্করণ [শ্রাবণ ১৩৭৭ (জুলাই-আগষ্ট ১৯৭১)]।
নজরুল রচনাবলী জন্মশতবার্ষিকী সপ্তম খণ্ড [১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪১৫, ২৫ মে
২০০৮। সন্ধ্যামালতী, গান ৪১। পৃষ্ঠা: ১৪৬]
- ধূলার ঠাকুর ধূলার ঠাকুর [তথ্য]
ধ্রুব [জানুয়ারি ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ মুক্তি পেয়েছিল 'ক্রাউন টকি
হাউস' নামক প্রেক্ষাগৃহে। ধ্রুব-এর গান। শিল্পী মাস্টার প্রবোধ]
- হরি নামের সুধায় ক্ষুধা তৃষ্ণা নিবারি [তথ্য]
ধ্রুব [জানুয়ারি ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ মুক্তি পেয়েছিল 'ক্রাউন টকি
হাউস' নামক প্রেক্ষাগৃহে। ধ্রুব-এর গান। শিল্পী মাস্টার প্রবোধ]
- আমি রাজার কুমার পথ ভোলা [তথ্য]
ধ্রুব [জানুয়ারি ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ মুক্তি পেয়েছিল 'ক্রাউন টকি
হাউস' নামক প্রেক্ষাগৃহে। ধ্রুব-এর গান। শিল্পী মাস্টার প্রবোধ]
- হে দুখ-হরণ ভক্তের শরণ [তথ্য]
ধ্রুব [জানুয়ারি ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ মুক্তি পেয়েছিল 'ক্রাউন টকি
হাউস' নামক প্রেক্ষাগৃহে। মুনি-পত্নীর গান।শিল্পী: পারুল বালা]
- শিশু নটবর নেচে নেচে যায় [তথ্য]
ধ্রুব [জানুয়ারি ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ মুক্তি পেয়েছিল 'ক্রাউন টকি
হাউস' নামক প্রেক্ষাগৃহে। মুনি-পত্নী। শিল্পী পারুল বালা।]
- মধুর ছন্দে নাচে আনন্দে [তথ্য]
ধ্রুব [জানুয়ারি ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ মুক্তি পেয়েছিল 'ক্রাউন টকি
হাউস' নামক প্রেক্ষাগৃহে। নারদের গান।শিল্পী: কাজী নজরুল ইসলাম]
- গহন বনে শ্রীহরি নামের [তথ্য]
নারদের গান।শিল্পী: কাজী নজরুল ইসলাম]
- দাও দেখা দাও দেখা [তথ্য]
ধ্রুব [জানুয়ারি ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ মুক্তি পেয়েছিল 'ক্রাউন টকি
হাউস' নামক প্রেক্ষাগৃহে। ধ্রুব-এর গান।শিল্পী: মাষ্টার প্রবোধ]
- ফুটিল মানস-মাধবী-কুঞ্জে (মম মানস-মাধবীলতার) [তথ্য]
ধ্রুব
[জানুয়ারি ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ মুক্তি পেয়েছিল 'ক্রাউন টকি হাউস' নামক
প্রেক্ষাগৃহে। নারদের গান।শিল্পী: কাজী নজরুল ইসলাম]
- হৃদি-পদ্মে চরণ রাখো [তথ্য]
ধ্রুব [জানুয়ারি ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ মুক্তি পেয়েছিল 'ক্রাউন টকি
হাউস' নামক প্রেক্ষাগৃহে। নারদ ও ধ্রুবের গান।শিল্পী: কাজী নজরুল ইসলাম
ও মাস্টার প্রবোধ]
- ফিরে আয় ওরে ফিরে আয় [তথ্য]
ধ্রুব [জানুয়ারি ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ মুক্তি পেয়েছিল 'ক্রাউন টকি
হাউস' নামক প্রেক্ষাগৃহে। সুনীতির গান।শিল্পী: আঙ্গুরবালা]
- নাচো বনমালী করতালি দিয়া [তথ্য]
ধ্রুব [জানুয়ারি ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ মুক্তি পেয়েছিল 'ক্রাউন টকি
হাউস' নামক প্রেক্ষাগৃহে। ধ্রুবের গান।শিল্পী: মাস্টার প্রবোধ]
- জয় পীতাম্বর শ্যাম সুন্দর [তথ্য]
ধ্রুব [জানুয়ারি ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ মুক্তি পেয়েছিল 'ক্রাউন টকি
হাউস' নামক প্রেক্ষাগৃহে।ধ্রুব ও সুনীতির গান। শিল্পী: আঙ্গুরবালা ও
মাস্টার প্রবোধ]
- কাঁদিস্নে আর কাঁদিস্নে মা [তথ্য]
ধ্রুব [জানুয়ারি ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ মুক্তি পেয়েছিল 'ক্রাউন টকি
হাউস' নামক প্রেক্ষাগৃহে।ধ্রুব-এর গান। শিল্পী: মাস্টার প্রবোধ]
১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দ
-
পাতাল পুরী:
১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত 'পাতালপুরী' সিনেমার
সংগীত পরিচালনা করেন নজরুল। তিনি এবং পরিচালক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় ছিলেন এ ছবির
গীতিকার। 'পাতালপুরী' সিনেমাটি কয়লাখনির শ্রমিক ও সেই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর
জীবনসংগ্রাম নিয়ে নির্মিত হয়েছিল। এ ছবির জন্য 'ঝুমুর' সুরে গান রচনা করেন নজরুল।
তিনি কয়লাখনি অঞ্চল সম্পর্কে জানার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন।
[প্রচারপুস্তিকা]
১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দ
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাহিনি অবলম্বনে, প্রমথেশ বড়ুয়ার পরিচালনায় ১৯৩৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল 'গৃহদাহ'। এ ছবির সংগীত পরিচালক ছিলেন রাইচাঁদ বড়াল ও পঙ্কজ মল্লিক। এই ছবির গান রচনা করেছিলেন-
অজয়
ভট্টাচার্য। নজরুল গবেষকদের মতে এই সিনেমার সুরকার ছিলেন নজরুল। তবে
এর প্রচার পুস্তিকায় সুরকারের নাম নেই। [প্রচার পুস্তিকা]
১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দ
- গ্রহের ফের:
১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তি পায় রহস্য কাহিনিভিত্তিক
চলচ্চিত্র 'গ্রহের ফের।
এই ছবির গান রচনা করেছিলেন
অজয়
ভট্টাচার্য। একটি বিদ্যাপতির পদ গান হিসেবে
ব্যবহার করা হয়েছিল। এই ছবির প্রচার পুস্তিকা
থেকে জানা যায়, গানগুলোর সুর করেছিলেন নজরুল ইসলাম। দ্রষ্টব্য
[প্রচার পুস্তিকা]
১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দ
-
বিদ্যাপতি
: কবি বিদ্যাপতির
জীবনীভিত্তিক এ ছবির মূল গল্প ছিল নজরুলের। যদিও চিত্রনাট্য, সংলাপ ও পরিচালনায়
ছিলেন দেবকী বসু। ছবিটির সুরকার ছিলেন নজরুল ও রাইচাঁদ বড়াল। বাংলা 'বিদ্যাপতি'র
সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে হিন্দিতে নির্মিত হয় 'বিদ্যাপতি'। সে ছবিও ব্যবসাসফল হয়েছিল।
[প্রচার
পুস্তিকা]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৩৮
খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত হয় চলচ্চিত্র ‘গোরা’। ছবিটির
পরিচালক ছিলেন নরেশ মিত্র। ছবিটির সংগীত পরিচালক ছিলেন
নজরুল। এই ছবি প্রচার পুস্তিকায় ৪টি গান পাওয়া যায়।
[প্রচার
পুস্তিকা]এর ভিতরে রবীন্দ্রনাথের গান ছিল ৩টি এবং নজরুলের গান ছিল ১টি।
১. সখি প্রতিদিন হায়, এসে ফিরে
যায় কে। রবীন্দ্রনাথ
২. ওহে সুন্দর মম গৃহে আজি। রবীন্দ্রনাথ
৩. রোদন ভরা এ বসন্ত। রবীন্দ্রনাথ
৪. ঊষা এলো চুপি চুপি্ [তথ্য]
নজরুল ইসলাম।
১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ
-
‘সাপুড়ে’।
নিউ থিয়েটার্সের নিবেদিত এই ছায়াছবিটি ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ মে (বৃহস্পতিবার,
১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৬) কলকাতার 'পূর্ণ থিয়েটার'-এ মুক্তি পেয়েছিল।
পরিচালক ছিলেন দেবকী এ ছবির কাহিনী রচনা করেছিলেন নজরুল ইসলাম আর চিত্রনাট্য তৈরি
করেছিলেন দেবকী বসু।
ছবির প্রধান চরিত্রে ছিলেন- মনোরঞ্জন
ভট্টাচার্য, রতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, পাহাড়ী সান্যাল, কানন দেবী, কৃষ্ণচন্দ্র দে,
শ্যাম লাহা, অহি সন্যাল, সত্য মুখোপাধ্যায়, মেনকা দেবী, প্রফুল্ল মুখোপাধ্যায়. নরেশ
বোস প্রমুখ।
এই ছবিতে মোট ৮টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল।
এর ভিতরে ৭টি গানের গীতিকার ছিলেন নজরুল ইসলাম। একটি গান রচনা করেছিলেন অজয়
ভট্টাচার্য। গানগুলো হলো- 'আমার এই পাত্রখানি'। এই গানটির শিল্পী ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র
দে। নিচে নজরুলের গানগুলোর বর্ণনানুক্রমিক সূচি দেওয়া হলো।
-
আকাশে হেলান দিয়ে [গান-৬৭] [] [তথ্য]
-
কথা কইবে না বউ [গান-৫৯৯]
[তথ্য]
-
কলার মান্দাস বানিয়ে দাও গো [গান-২২২৩]
[তথ্য]
-
দেখি লো তোর হাত দেখি [গান-২২৪৮]
[তথ্য]
-
পিছল পথে কুড়িয়ে গেলাম [গান-২২৫৬]
[তথ্য]
-
ফুটফুটে ঐ চাঁদ হাসে রে [গান-২২৫৮]
[তথ্য<]
-
হলুদ গাঁদার ফুল, রাঙা পলাশ ফুল [গান-২৯৬]
[তথ্য]
প্রচার পত্রে- অজয় ভট্টাচার্যের রচিত একটি মুদ্রিত
হয়েছিল। গানটি হলো-
১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ
এই বছরে মুক্ত পেয়েছিল ‘নন্দিনী’ (১৯৪১), ‘অভিনয়’ (১৯৪১), ‘দিকশূল’(১৯৪১)
ছবি। এই ছবিগুলোর জন্য তিনি গান লিখেছিলেন।
এই বছরে শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের পৃষ্ঠপোষকতায় নজরুল
‘বেঙ্গল টাইগার্স পিকচার্স’ নামে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। তার
সঙ্গে ছিলেন আব্বাসউদ্দীন আহমদ, ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, হুমায়ূন কবীর, এস
ওয়াজেদ আলী, মোহাম্মদ মোদাব্বের, আজিজুল ইসলাম,সারওয়ার হোসেন, আজিজুল হক প্রমুখ।
১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দ
এই বছর নজরুল তিনটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলেন। এই ছবিগুলো হলো- মদিনা,
চৌরঙ্গী ও দিলরুবা।
-
মদিনা:
এই ছবির চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ছিলেন নজরুল। এ সিনেমার জন্য তিনি ১৫টি গান লেখেন।
কিন্তু এই বছরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে, সিনেমাটি আর মুক্তি পায়নি।
-
চৌরঙ্গী
ফজলী ব্রাদার্সের প্রযোজিত ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ সেপ্টেম্বর (শনিবার ২৬ ভাদ্র ১৩৪৯) এই ছায়াছবিটি রূপবাণী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল।
ছবিটির পরিচালক ছিলেন শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়। প্রযোজক ছিলেন ফজলী ব্রাদার্স। সংলাপ রচনা
করেছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র।
এই ছবির গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন নজরুল।
তাঁর সহকারী হিসেবে ছিলেন কালীপদ সেন। এটিই ছিল
নজরুলের প্রত্যক্ষভাবে চলচ্চিত্রের কাজ।ছবিটিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন- ছায়াদেবী, জ্যোতিঃপ্রকাশ, প্রমীলা
ত্রিবেদী, ডাঃ হরেন মুখার্জ্জি।
এই ছায়াছবিতে মোট নয়টি গান ব্যবহৃত
হয়েছিল। এর ভিতরে চতুর্থ গান 'আরতি প্রদীপ জ্বালি আঁখির তারায়' রচনা করেছিলেন
নবেন্দুসুন্দর। সুর করেছিলেন দুর্গা সেন। অবশিষ্ট ৮টি গানের গীতিকার ও সুরকার
ছিলেন ইসলাম। এ গানগুলো হলো-
১. চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী [গান-৯৮২]
[তথ্য]
২. রুম্ ঝুম্ ঝুম্ ঝুম্ রুম ঝুম্ ঝুম্ খেজুর [গান-৪৭৭]
[তথ্য]
৩. সারা দিন পিটি কার দালানের ছাদ গো [গান-৯৯৭]
[তথ্য]
৪. 'আরতি প্রদীপ জ্বালি আঁখির তারায় [রচয়িতা: নবেন্দুসুন্দর। রাজকুমারীর গান।
সুর দুর্গা সেন]
৫. প্রেম আর ফুলের জাতি কূল নাই [গান-১৫৫২]
[তথ্য]
৬. জহরত পান্না হীরার বৃষ্টি [গান-৭২৮]
[তথ্য]
৭. ঘুম পাড়ানী মাসিপিসি ঘুম দিয়ে যেয়ো [গান-১২৭৬]
[তথ্য]
৮. ঘর-ছাড়া ছেলে আকাশের চাঁদ [গান-১২৭২]
[তথ্য]
৯. ওগো বৈশাখী ঝড় [গান-১২০৪]
[তথ্য]
- চৌরঙ্গী ছবির হিন্দি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল, ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ জুলাই
(শনিবার, ১৯ আষাঢ় ১৩৪৯)। এই ছবিতে নজরুলের রচিত টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল। এই
গানগুলো হলো-
- সারা দিন ছাত পীটি হাত হুঁ দুখাইরে [গান-২৪৯২]
[তথ্য]
'দিলরুবা'
এই ছবির গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ছিলেন নজরুল ইসলাম। চৌরঙ্গী হিন্দিতে নির্মিত হলে সে ছবির জন্য ৭টি হিন্দি গান লেখেন নজরুল।
নজরুলের অসুস্থতার সময় এবং মৃত্যুর পর অনেক সিনেমায় তার গান ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক জায়গায় তার ও উত্তরাধিকারীদের অনুমতির তোয়াক্কাও করা হয়নি। তবে অধিকাংশ ছবিতেই নজরুলসংগীতের ব্যবহার দর্শকপ্রিয় হয়েছে।
তাঁর অসুস্থদশায় যে সকল ছবিতে তাঁর গান ব্যবহার করা হয়েছিল,
সেগুলো হলো-
-
‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’লা’। গান: ‘পথহারা পাখি কেঁদে ফেরে একা’
-
চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন (১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দ)
ও ‘জীবন থেকে নেয়া’ গান: ‘কারার ঐ লৌহকপাট’
- ‘লায়লা-মজনু’। গান: ‘লাইলি তোমার এসেছে ফিরিয়া, মজনু গো আঁখি খোলো’
বর্ণানুক্রমিক সূচি
কালানুক্রমিক সূচি
তথ্যসূত্র: