অন্তঃপুরবাসিনী
বানান বিশ্লেষণ : অ+ন্‌+ত্+অ+ঃ+প্+উ+র্+অ+ব্‌+আ+স্+ই+ন্+ঈ।
উচ্চারণ:
ɔn.t̪op.pu.ro.ba.ʃi.ni (অন্.তোপ্.পু.রো.বা.শি.নি)

অ-এর পরবর্তী ন্ত বিভাজিত হয়ে ন্.ত তৈরি করে। অ-এর সাথে ন্‌.ত-এর ন্ যুক্ত হয়ে অন্ ধ্বনি তৈরি করে।
অবশিষ্ট ত ধ্বনো বিসর্গের সাথে যুক্ত হয়ে তোহ্ ধ্বনি তৈরি করে। কিন্তু পরবর্তী পুর শব্দের সাথে মিলিত হওয়ার সময়, প-এর দ্বিত্ব হয়। এর প্রথম প ধ্বনিসহ, প্রথমাংশের উচ্চারণ হয় অন্তোপ্। এর দ্বিতীয় প-এর সাথে উ ধ্বনি যুক্ত হয়ে পু ধ্বনি তৈরি করে।

আবার পুর শব্দটি বাসিনীর সাথে সমাসবদ্ধ হওয়ার কারণে, পুর শব্দটি পুরো ধ্বনিতে পরিণত হয়। এর পরবর্তী তিনটি ব্যঞ্জনধ্বনি স্বরধ্বনির সাথে যুক্ত হয়ে বা.শি.নি ধ্বনি তৈরি করবে। উল্লেখ্য এখানে স ধ্বনিটি শ-এর মতো হবে। 

শব্দ-উৎস: সংস্কৃত न्तः ন্তঃ>বাংলা ন্ত+সংস্কৃত पुर পুর>বাংলা পুর+ সংস্কৃত वासिनी (বাসিনী)>বাংলা বাসিনী
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:

অন্তঃ {অম্ (গতি) + অর (অরন্), ত্ (তুট) আগম}+ পুর {পৄ (পূরণ, পালন) +অ (ঘঞ্), কর্মবাচ্য} + বাসিনী {বস্ (বাস করা)+ইন (ইনি) +ঈ (ঙীপ্), স্ত্রীলিঙ্গ}

পদ:
বিশেষ্য

১. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { | নারী | ব্যক্তি | জীবসত্তা | জীবন্তবস্তু | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
অর্থ:
 নৃজাতির স্ত্রীসত্তা। পুরষের দ্বারা গর্ভবতী হয়ে সন্তান উৎপাদেনে সক্ষম। একসময় প্রচলিত ছিল, নারী বাড়ির ভিতরে থাকবে। দীর্ঘদিনের এই চর্চার মধ্য দিয়ে নারীর সমার্থকশব্দ হিসেবে অন্তঃপুরবাসিনী শব্দের উৎপত্তি। এই অর্থে নারীর সমার্থক শব্দগুলো হলো- অন্তঃপুরচারিণী, ন্তঃপুরবাসিনী, অন্তঃপুরিকা

সমার্থক শব্দাবলি:
অওরত, অওরৎ, অঙ্গন, অঙ্গনাজন, অন্তঃপুরচারিণী, ন্তঃপুরবাসিনী, অন্তঃপুরিকা, অবলা, আউরত, আওরত, আওরৎ, কামিনী, নার, বনিতা, বামা,  মহিলা, মানবী, মানুষ, মেয়ে, মেয়েছেল, মেয়েমানুষ, মেয়েলোক, যোষা, যোষিৎ, যোষিতা, ললনা, শর্বরী, স্ত্রীস্ত্রীজন, স্ত্রীলো
ইংরেজি :
female, female person