অরুণ
বানান বিশ্লেষণ:
অ+র্+উ+ণ্+অ
উচ্চারণ : o.run
(ও.রুন্)।
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত
অরুণঃ>বাংলা
অরুণ।
রূপতাত্ত্বিক
বিশ্লেষণ:
√ঋ
(গমন করা)
+উন্
(উনন্),
কর্তৃবাচ্য।
পদ: বিশেষ্য
১. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| নক্ষত্র | মহাকাশীয় বস্তু | প্রাকৃতিক লক্ষ্যবস্তু | এককঅংশ | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
অর্থ: যা নিজেকে ব্যাপ্ত করে, এই অর্থে সূর্যের অপর নাম– অরুণ।
[দেখুন : সূর্য [জ্যোতির্বিজ্ঞান]
সমার্থক শব্দাবলি: অংশু, অংশুধর, অংশুপতি, অংশুবাণ, অংশুভর্তা, অংশুমৎ, অংশুমান, অংশুমালী, অংশুহস্ত, অঞ্জিষ্ঠ, অম্বরীষ, অরুণ, অর্ক, অর্চিষ্মান, অর্যমা, অশীতকর, অশীতমরীচি, অহঃপতি, অহকান্ত, অহপতি, অহর্পতি, অহর্মণি, অহস্কর, অহিমকর, অহিমকিরণ, অহিমতেজা, অহিমদীধিতি, অহিমময়ূখ, অহিমরশ্মি, অহিমাংশু, আদিত্য, আফতাব, ইতু, উষ্ণকর, উষ্ণকিরণ, উষ্ণদীধিত, উষ্ণরশ্মি, উষ্ণাংশু, ঊষাপতি, কমলিনীকান্ত, কমলিনীনায়ক, কাশ্যপেয়, কিরণমালী, খমণি, খরকর, খরাংশু, গভস্তিপাণি, গভস্তিমান, গভস্তিহস্ত, গ্রহপতি, গ্রহরাজ, গ্রহাধীশ, চিত্রভানু, চিত্ররথ, জগচ্চক্ষু, জ্যোতিষ্মান, তপন, তমোঘ্ন, তমোহর, তমোরি, তমোহা, তাপন, তিমিরনাশক, তিমিররিপু, তিমিরারি, ত্বিষাম্পতি, দিনকর, দিননাথ, দিনপতি, দিনমণি, দিনেশ, দিবাকর, দিবানাথ, দিবাবসু, দিবামণি, দ্বাদশাত্মা, দ্যুমণি, ধামকেশী, ধামনিধি, ধ্বান্তারাতি, ধ্বান্তারি, নভশ্চক্ষু, পদ্মপাণি, পূষা, প্রদ্যোতন, প্রভাকর, বসু, বিকর্তন, বিবস্বান, বিভাকর, বিভাবসু, বিরোচন, বীতিহোত্র, ভানু, ভানুমান, ভাস্কর, ভাস্বান, ময়ূখমালী, মরীচিমালী, মার্তণ্ড, মিত্র, মিহির, রবি, রসাধার, লোলার্ক, শূর, সপ্তসপ্তি, সপ্তাশ্ব, সপ্তাশ্ববাহন, সবিতা, সহস্রকর, সহস্রকিরণ, সহস্ররশ্মি, সহস্রাংশু, সুতপা, সুযাত্র, সুর, সুরজ, সুরয, সুরুজ, সুরোত্তম, সূর্য, হরিতাশ্ব, হরিদশ্ব, হিরণ্যরেতাঃ।
ইংরেজি: sun।
২. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিকসত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | দক্ষতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্তা | সত্তা |}
অর্থ: ইনি মহর্ষি কশ্যপ মুনির ঔরসে ও বিনতার গর্ভে অণ্ডরূপে জন্মেছিলেন। উল্লেখ্য বিনতা দুটি ডিম প্রসব করেছিলেন। দীর্ঘদিন ডিম দুটি ফুটে কোনো সন্তান বের হচ্ছে না দেখে, অধৈর্য হয়ে বিনতা এর একটি ডিম অকালে ভেঙে ফেলেন। এই ডিম থেকে ঊরুহীন অবস্থায় অরুণের জন্ম হয়। তাই এর অপর নাম হয়েছিল অনূরু বা ঊরুহীন। জন্মের পর অরুণ তাঁর মাকে অভিশাপ দিয়ে বলেন যে- পাঁচশত বৎসর বিনতা তাঁর সপত্নী কদ্রুর দাসী হিসাবে থাকবেন। যদি অসময়ে ইনি অপর ডিমটি না ভাঙেন, তবে ওই ডিম থেকে জন্ম হওয়া সন্তান- তাঁর এই দাসত্ব থেকে মুক্ত করবেন। অরুণ সূর্যের রথের সারথি ছিলেন। সপ্ত অশ্বযোগে ইনি এই রথ পরিচালনা করতেন। এর অপর ভাইয়ের নাম ছিল গরুড়। এঁর স্ত্রীর নাম ছিল শ্যেনী। এঁদের সম্পাতি ও জটায়ু নামে দুটি সন্তান ছিল।
সমার্থক নাম: অনূরু।
সূত্র :