রস
বানান বিশ্লেষণ: র্+অ+শ্+অ
উচ্চারণ:
rɔʃ
(রশ্)।
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত রস>
বাংলা >রস
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:
√
রস্ (আস্বাদন করা) +
অ (অচ্)
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {
তথ্য
|
বার্তা
| যোগাযোগ
|
বিমূর্তন |
বিমূর্ত-সত্তা |
সত্তা
|}
অর্থ: এমন একটি বার্তা যা অপরের কাছে
বিশেষ অর্থবহ হয়ে উপস্থাপিত হয়।
ভারতীয় নাট্য, কাব্য ও
অলঙ্কার শাস্ত্রে এই অর্থবহ বিশেষ বার্তাকে রস বলা হয়।
[রস
(নন্দনতত্ত্ব)]
২,
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{ জীবনধারা |
নির্দিষ্ট কার্যকলাপ |
মনুষ্য কার্যকলাপ |
বিশেষ ঘটনা
|
মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা |
বিমূর্তন|
বিমূর্ত-সত্তা|
সত্তা
|}
অর্থ: বৈষ্ণব
সাহিত্যে বা সাধনায় জীবনধারাকে পাঁচটি পন্থায় ভাগ করা হয়ে থাকে। এর প্রতিটি
ভাগকে রস বলে। এই পাঁচট রস হলো-
শান্ত, দাস্য, সখ্য,
বাৎসল্য, মধুর (উজ্জ্বল)।
৩.
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
আস্বাদন সংবেদন |
সংবেদন|
ইন্দ্রিয়গত উপলব্ধি |
মৌলিক জ্ঞানগত প্রক্রিয়া |
জ্ঞান-প্রক্রিয়া
জ্ঞান
|
মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত
|
সত্তা
|}
অর্থ: যা শুধু মুখবিবরের
দ্বারা শনাক্ত হয়। সাধারণত খাদ্যগ্রহণের সময় যে অনুভূতি জন্য, তার বিচারে রসকে
বিচার করা হয়। ভারতীয় দর্শনে এই রসকে ছয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এই ভাগগুলো হলো
−
মধুর,
অম্ল, লবণ, কটু, কষায়, তিক্ত।
৪.
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
দেহগত তরল বস্তু |
দেহগত বস্তু |বস্তু
|
দৈহিক সত্তা |
সত্তা| }
অর্থ:
প্রাণী বা দেহে উৎপন্ন বা স্থিত তরল বস্তুর
সাধারণ নাম। যেমন-
-
জীবদেহের রস:
বীর্য,রক্ত, রজঃ, হরমোন, রস, লালা,
কোষ রস, ঘায়ের রস।
-
উদ্ভিদজাত রস: আখের রস, খেজুরের রস,
তালের রস, ফলের রস, কাঠের রস
ইত্যাদি।
-
পরিপাকতন্ত্রের রস: মধ্যযুগীয় চিকিৎসাব্যবস্থায় মনে করা হতো মুখের লালা এবং পরিপাক
তন্ত্র থেকে নিঃসরিত তরল পদার্থের মিশ্রণে সৃষ্ট এমন এমন একটি দ্রব্যগত দশা,
যার আধিক্যে বা ঘাটতিতে দেহে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। আয়ুর্বেদে এর
আধিক্যকে বলা হয় রসাধিক্য।